নারায়ণগঞ্জ ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে খানপুর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৪৮ বার পড়া হয়েছে

শহর প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে দিন দিন সেবার মান কমে আসাছে সাথে বাড়ছে বিশৃংখলা এতে কমছে রোগীর সংখ্যাও এমনই অভিযোগ চিকিৎসা সেবাপ্রার্থীদের। তাদের অভিযোগ, সেবার মান ও বিশৃংখলা ক্ষুন্ন হওয়ার কারণে অনেক রোগী এখন চলে যাচ্ছেন প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে। আর এ অবস্থায় হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নত করার যে প্রচেষ্টা তাতে সেবার মান বৃদ্ধি না হলে শুধুমাত্র শয্যা বৃদ্ধিতে সামগ্রিক কোন ফলপ্রসূ হবে না ভুক্তভোগী রোগীদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সচল শয্যা আছে ২৭১টি। হাসপাতালের রোগীর উপস্থিতি সংখ্যা ছিল অনেক কম।

হাসপাতালে কর্মরত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জাপানের সহযোগিতায় ১৯৮৬ সালে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে রোগীদের কারণে হিমশিত খেতে হতো। বারান্দাতেও থাকতো রোগী। কিন্তু দিন দিন বিশৃংখলার কারনে যেমন সিট এর পাশে ময়লা আবর্জনা, দুর্গন্ধ ও ময়লা যুক্ত বাথরুম সহ নানা কারনে সেবার মান কমে আসছে। নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয় আশেপাশের জেলা হতেও প্রচুর রোগী আসতো। কিন্তু এখন সুনাম নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালটির।

ভুক্তভোগী একজন রোগী জানান, হাসপাতালটি দিন দিন অপরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছে। বাথরুমগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসব কারণে এখন আর এ হাসপাতালে থাকাটা বেশ কষ্টকর। সে কারণেই রোগী আর আগের মত আসছে না। তাছাড়া অনেক ওষুধ পাওয়া যায় না। ডাক্তাররাও কখনো কখনো ভালো ব্যবহার করে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী আরএক রোগী জানান, বাংলাদেশ এর বাইরে গিয়ে সরকারী হাসপাতাল গুলো দেখেছি তার সাথে রাত দিনের পার্থক্য। সরকারী হাসপালের এমন করুন অবস্থা আসলেই অনেক দুখঃজনক। এইসব অপরিছন্ন থাকার কারনেই মান কমছে হাসপাতালটির। এমন অবস্থা থাকলে কিছুদিন পর দেখা যাবে মানুষ আসবেই না আর এই হাসপাতালে।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের তৎত্ত¡াবাধায়কের পিএ সিদ্ধিকুর রহমান বলেন, গত কালকেও আমরা হাসপাতাল পর্যবেক্ষন করেছি। কোন রোগী যেন অপরিচ্ছন্নতার মধ্যে না থাকে সেই কারনে আমাদের এই পর্যবেক্ষন। আমাদের গত ২ দিনের পর্যবেক্ষনে অপরিচ্ছন্ন, ময়লা বাথরুম এরকম কোন কিছুই চোখে পরেনি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে খানপুর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা

আপডেট সময় : ০৪:০৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

শহর প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে দিন দিন সেবার মান কমে আসাছে সাথে বাড়ছে বিশৃংখলা এতে কমছে রোগীর সংখ্যাও এমনই অভিযোগ চিকিৎসা সেবাপ্রার্থীদের। তাদের অভিযোগ, সেবার মান ও বিশৃংখলা ক্ষুন্ন হওয়ার কারণে অনেক রোগী এখন চলে যাচ্ছেন প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে। আর এ অবস্থায় হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নত করার যে প্রচেষ্টা তাতে সেবার মান বৃদ্ধি না হলে শুধুমাত্র শয্যা বৃদ্ধিতে সামগ্রিক কোন ফলপ্রসূ হবে না ভুক্তভোগী রোগীদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সচল শয্যা আছে ২৭১টি। হাসপাতালের রোগীর উপস্থিতি সংখ্যা ছিল অনেক কম।

হাসপাতালে কর্মরত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জাপানের সহযোগিতায় ১৯৮৬ সালে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে রোগীদের কারণে হিমশিত খেতে হতো। বারান্দাতেও থাকতো রোগী। কিন্তু দিন দিন বিশৃংখলার কারনে যেমন সিট এর পাশে ময়লা আবর্জনা, দুর্গন্ধ ও ময়লা যুক্ত বাথরুম সহ নানা কারনে সেবার মান কমে আসছে। নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয় আশেপাশের জেলা হতেও প্রচুর রোগী আসতো। কিন্তু এখন সুনাম নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালটির।

ভুক্তভোগী একজন রোগী জানান, হাসপাতালটি দিন দিন অপরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছে। বাথরুমগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসব কারণে এখন আর এ হাসপাতালে থাকাটা বেশ কষ্টকর। সে কারণেই রোগী আর আগের মত আসছে না। তাছাড়া অনেক ওষুধ পাওয়া যায় না। ডাক্তাররাও কখনো কখনো ভালো ব্যবহার করে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী আরএক রোগী জানান, বাংলাদেশ এর বাইরে গিয়ে সরকারী হাসপাতাল গুলো দেখেছি তার সাথে রাত দিনের পার্থক্য। সরকারী হাসপালের এমন করুন অবস্থা আসলেই অনেক দুখঃজনক। এইসব অপরিছন্ন থাকার কারনেই মান কমছে হাসপাতালটির। এমন অবস্থা থাকলে কিছুদিন পর দেখা যাবে মানুষ আসবেই না আর এই হাসপাতালে।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের তৎত্ত¡াবাধায়কের পিএ সিদ্ধিকুর রহমান বলেন, গত কালকেও আমরা হাসপাতাল পর্যবেক্ষন করেছি। কোন রোগী যেন অপরিচ্ছন্নতার মধ্যে না থাকে সেই কারনে আমাদের এই পর্যবেক্ষন। আমাদের গত ২ দিনের পর্যবেক্ষনে অপরিচ্ছন্ন, ময়লা বাথরুম এরকম কোন কিছুই চোখে পরেনি।