নারায়ণগঞ্জ ০২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যতক্ষণ তারেক জিয়া দেশে না আসবে ততক্ষণ রাজপথ ছাড়বোনা : মামুন মাহমুদ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহানের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লীতে ফ্যাসিবাদের দোসরদের রোষানলে জিয়াউল হক সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমি পল্লীবাসীকে জিম্মি করতে মরিয়া ফ্যাসিবাদের দোসররা, জিয়াউল হককে নিয়ে চালাচ্ছে অপপ্রচার টঙ্গীতে সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম, থানায় মামলা আড়াইহাজারে লিজকৃত সম্পত্তির বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাট বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিচার পতির সাথে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাক্ষাৎ রূপগঞ্জে ইয়াবাসহ জিয়া মঞ্চ দলের নেতা গ্রেফতার মহানগর কৃষকদলের সভাপতি এনামুল হক স্বপন ও সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল কে হাসান আল মামুনের শুভেচ্ছা সৌদি আরবে “ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি সোসাইটি”র বনভোজন ও নাশিদ সন্ধ্যা

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে খানপুর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ৩০৪ বার পড়া হয়েছে

শহর প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে দিন দিন সেবার মান কমে আসাছে সাথে বাড়ছে বিশৃংখলা এতে কমছে রোগীর সংখ্যাও এমনই অভিযোগ চিকিৎসা সেবাপ্রার্থীদের। তাদের অভিযোগ, সেবার মান ও বিশৃংখলা ক্ষুন্ন হওয়ার কারণে অনেক রোগী এখন চলে যাচ্ছেন প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে। আর এ অবস্থায় হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নত করার যে প্রচেষ্টা তাতে সেবার মান বৃদ্ধি না হলে শুধুমাত্র শয্যা বৃদ্ধিতে সামগ্রিক কোন ফলপ্রসূ হবে না ভুক্তভোগী রোগীদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সচল শয্যা আছে ২৭১টি। হাসপাতালের রোগীর উপস্থিতি সংখ্যা ছিল অনেক কম।

হাসপাতালে কর্মরত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জাপানের সহযোগিতায় ১৯৮৬ সালে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে রোগীদের কারণে হিমশিত খেতে হতো। বারান্দাতেও থাকতো রোগী। কিন্তু দিন দিন বিশৃংখলার কারনে যেমন সিট এর পাশে ময়লা আবর্জনা, দুর্গন্ধ ও ময়লা যুক্ত বাথরুম সহ নানা কারনে সেবার মান কমে আসছে। নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয় আশেপাশের জেলা হতেও প্রচুর রোগী আসতো। কিন্তু এখন সুনাম নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালটির।

ভুক্তভোগী একজন রোগী জানান, হাসপাতালটি দিন দিন অপরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছে। বাথরুমগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসব কারণে এখন আর এ হাসপাতালে থাকাটা বেশ কষ্টকর। সে কারণেই রোগী আর আগের মত আসছে না। তাছাড়া অনেক ওষুধ পাওয়া যায় না। ডাক্তাররাও কখনো কখনো ভালো ব্যবহার করে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী আরএক রোগী জানান, বাংলাদেশ এর বাইরে গিয়ে সরকারী হাসপাতাল গুলো দেখেছি তার সাথে রাত দিনের পার্থক্য। সরকারী হাসপালের এমন করুন অবস্থা আসলেই অনেক দুখঃজনক। এইসব অপরিছন্ন থাকার কারনেই মান কমছে হাসপাতালটির। এমন অবস্থা থাকলে কিছুদিন পর দেখা যাবে মানুষ আসবেই না আর এই হাসপাতালে।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের তৎত্ত¡াবাধায়কের পিএ সিদ্ধিকুর রহমান বলেন, গত কালকেও আমরা হাসপাতাল পর্যবেক্ষন করেছি। কোন রোগী যেন অপরিচ্ছন্নতার মধ্যে না থাকে সেই কারনে আমাদের এই পর্যবেক্ষন। আমাদের গত ২ দিনের পর্যবেক্ষনে অপরিচ্ছন্ন, ময়লা বাথরুম এরকম কোন কিছুই চোখে পরেনি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

যতক্ষণ তারেক জিয়া দেশে না আসবে ততক্ষণ রাজপথ ছাড়বোনা : মামুন মাহমুদ

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে খানপুর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা

আপডেট সময় : ০৪:০৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

শহর প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে দিন দিন সেবার মান কমে আসাছে সাথে বাড়ছে বিশৃংখলা এতে কমছে রোগীর সংখ্যাও এমনই অভিযোগ চিকিৎসা সেবাপ্রার্থীদের। তাদের অভিযোগ, সেবার মান ও বিশৃংখলা ক্ষুন্ন হওয়ার কারণে অনেক রোগী এখন চলে যাচ্ছেন প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে। আর এ অবস্থায় হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নত করার যে প্রচেষ্টা তাতে সেবার মান বৃদ্ধি না হলে শুধুমাত্র শয্যা বৃদ্ধিতে সামগ্রিক কোন ফলপ্রসূ হবে না ভুক্তভোগী রোগীদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সচল শয্যা আছে ২৭১টি। হাসপাতালের রোগীর উপস্থিতি সংখ্যা ছিল অনেক কম।

হাসপাতালে কর্মরত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জাপানের সহযোগিতায় ১৯৮৬ সালে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে রোগীদের কারণে হিমশিত খেতে হতো। বারান্দাতেও থাকতো রোগী। কিন্তু দিন দিন বিশৃংখলার কারনে যেমন সিট এর পাশে ময়লা আবর্জনা, দুর্গন্ধ ও ময়লা যুক্ত বাথরুম সহ নানা কারনে সেবার মান কমে আসছে। নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয় আশেপাশের জেলা হতেও প্রচুর রোগী আসতো। কিন্তু এখন সুনাম নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালটির।

ভুক্তভোগী একজন রোগী জানান, হাসপাতালটি দিন দিন অপরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছে। বাথরুমগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসব কারণে এখন আর এ হাসপাতালে থাকাটা বেশ কষ্টকর। সে কারণেই রোগী আর আগের মত আসছে না। তাছাড়া অনেক ওষুধ পাওয়া যায় না। ডাক্তাররাও কখনো কখনো ভালো ব্যবহার করে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী আরএক রোগী জানান, বাংলাদেশ এর বাইরে গিয়ে সরকারী হাসপাতাল গুলো দেখেছি তার সাথে রাত দিনের পার্থক্য। সরকারী হাসপালের এমন করুন অবস্থা আসলেই অনেক দুখঃজনক। এইসব অপরিছন্ন থাকার কারনেই মান কমছে হাসপাতালটির। এমন অবস্থা থাকলে কিছুদিন পর দেখা যাবে মানুষ আসবেই না আর এই হাসপাতালে।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের তৎত্ত¡াবাধায়কের পিএ সিদ্ধিকুর রহমান বলেন, গত কালকেও আমরা হাসপাতাল পর্যবেক্ষন করেছি। কোন রোগী যেন অপরিচ্ছন্নতার মধ্যে না থাকে সেই কারনে আমাদের এই পর্যবেক্ষন। আমাদের গত ২ দিনের পর্যবেক্ষনে অপরিচ্ছন্ন, ময়লা বাথরুম এরকম কোন কিছুই চোখে পরেনি।