নারায়ণগঞ্জ ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রি-পেইড মিটার বাতিল চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম সিদ্ধিরগঞ্জের বিক্ষুব্দ গ্রাহকদের সিদ্ধিরগঞ্জের মামলার ফাঁদে চুনা কারখানা মালিকরা আড়াইহাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর উদ্ধোধন চাঁদপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আড়াইহাজারে নৈরাজ্য, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিএনপির শান্তি সমাবেশ যৌথবাহিনীর অভিযান: আড়াইহাজারে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে খানপুর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৭৫ বার পড়া হয়েছে

শহর প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে দিন দিন সেবার মান কমে আসাছে সাথে বাড়ছে বিশৃংখলা এতে কমছে রোগীর সংখ্যাও এমনই অভিযোগ চিকিৎসা সেবাপ্রার্থীদের। তাদের অভিযোগ, সেবার মান ও বিশৃংখলা ক্ষুন্ন হওয়ার কারণে অনেক রোগী এখন চলে যাচ্ছেন প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে। আর এ অবস্থায় হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নত করার যে প্রচেষ্টা তাতে সেবার মান বৃদ্ধি না হলে শুধুমাত্র শয্যা বৃদ্ধিতে সামগ্রিক কোন ফলপ্রসূ হবে না ভুক্তভোগী রোগীদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সচল শয্যা আছে ২৭১টি। হাসপাতালের রোগীর উপস্থিতি সংখ্যা ছিল অনেক কম।

হাসপাতালে কর্মরত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জাপানের সহযোগিতায় ১৯৮৬ সালে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে রোগীদের কারণে হিমশিত খেতে হতো। বারান্দাতেও থাকতো রোগী। কিন্তু দিন দিন বিশৃংখলার কারনে যেমন সিট এর পাশে ময়লা আবর্জনা, দুর্গন্ধ ও ময়লা যুক্ত বাথরুম সহ নানা কারনে সেবার মান কমে আসছে। নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয় আশেপাশের জেলা হতেও প্রচুর রোগী আসতো। কিন্তু এখন সুনাম নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালটির।

ভুক্তভোগী একজন রোগী জানান, হাসপাতালটি দিন দিন অপরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছে। বাথরুমগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসব কারণে এখন আর এ হাসপাতালে থাকাটা বেশ কষ্টকর। সে কারণেই রোগী আর আগের মত আসছে না। তাছাড়া অনেক ওষুধ পাওয়া যায় না। ডাক্তাররাও কখনো কখনো ভালো ব্যবহার করে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী আরএক রোগী জানান, বাংলাদেশ এর বাইরে গিয়ে সরকারী হাসপাতাল গুলো দেখেছি তার সাথে রাত দিনের পার্থক্য। সরকারী হাসপালের এমন করুন অবস্থা আসলেই অনেক দুখঃজনক। এইসব অপরিছন্ন থাকার কারনেই মান কমছে হাসপাতালটির। এমন অবস্থা থাকলে কিছুদিন পর দেখা যাবে মানুষ আসবেই না আর এই হাসপাতালে।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের তৎত্ত¡াবাধায়কের পিএ সিদ্ধিকুর রহমান বলেন, গত কালকেও আমরা হাসপাতাল পর্যবেক্ষন করেছি। কোন রোগী যেন অপরিচ্ছন্নতার মধ্যে না থাকে সেই কারনে আমাদের এই পর্যবেক্ষন। আমাদের গত ২ দিনের পর্যবেক্ষনে অপরিচ্ছন্ন, ময়লা বাথরুম এরকম কোন কিছুই চোখে পরেনি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে খানপুর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা

আপডেট সময় : ০৪:০৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

শহর প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে দিন দিন সেবার মান কমে আসাছে সাথে বাড়ছে বিশৃংখলা এতে কমছে রোগীর সংখ্যাও এমনই অভিযোগ চিকিৎসা সেবাপ্রার্থীদের। তাদের অভিযোগ, সেবার মান ও বিশৃংখলা ক্ষুন্ন হওয়ার কারণে অনেক রোগী এখন চলে যাচ্ছেন প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে। আর এ অবস্থায় হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নত করার যে প্রচেষ্টা তাতে সেবার মান বৃদ্ধি না হলে শুধুমাত্র শয্যা বৃদ্ধিতে সামগ্রিক কোন ফলপ্রসূ হবে না ভুক্তভোগী রোগীদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সচল শয্যা আছে ২৭১টি। হাসপাতালের রোগীর উপস্থিতি সংখ্যা ছিল অনেক কম।

হাসপাতালে কর্মরত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জাপানের সহযোগিতায় ১৯৮৬ সালে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে রোগীদের কারণে হিমশিত খেতে হতো। বারান্দাতেও থাকতো রোগী। কিন্তু দিন দিন বিশৃংখলার কারনে যেমন সিট এর পাশে ময়লা আবর্জনা, দুর্গন্ধ ও ময়লা যুক্ত বাথরুম সহ নানা কারনে সেবার মান কমে আসছে। নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয় আশেপাশের জেলা হতেও প্রচুর রোগী আসতো। কিন্তু এখন সুনাম নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালটির।

ভুক্তভোগী একজন রোগী জানান, হাসপাতালটি দিন দিন অপরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছে। বাথরুমগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসব কারণে এখন আর এ হাসপাতালে থাকাটা বেশ কষ্টকর। সে কারণেই রোগী আর আগের মত আসছে না। তাছাড়া অনেক ওষুধ পাওয়া যায় না। ডাক্তাররাও কখনো কখনো ভালো ব্যবহার করে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী আরএক রোগী জানান, বাংলাদেশ এর বাইরে গিয়ে সরকারী হাসপাতাল গুলো দেখেছি তার সাথে রাত দিনের পার্থক্য। সরকারী হাসপালের এমন করুন অবস্থা আসলেই অনেক দুখঃজনক। এইসব অপরিছন্ন থাকার কারনেই মান কমছে হাসপাতালটির। এমন অবস্থা থাকলে কিছুদিন পর দেখা যাবে মানুষ আসবেই না আর এই হাসপাতালে।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের তৎত্ত¡াবাধায়কের পিএ সিদ্ধিকুর রহমান বলেন, গত কালকেও আমরা হাসপাতাল পর্যবেক্ষন করেছি। কোন রোগী যেন অপরিচ্ছন্নতার মধ্যে না থাকে সেই কারনে আমাদের এই পর্যবেক্ষন। আমাদের গত ২ দিনের পর্যবেক্ষনে অপরিচ্ছন্ন, ময়লা বাথরুম এরকম কোন কিছুই চোখে পরেনি।