নারায়ণগঞ্জ ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

কাঁচপুর জেনারেল হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান : ভূযা ডাক্তারসহ গ্রেফতার-৩

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯
  • ২১০ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর জেনারেল হাসপাতাল এ্যান্ড ল্যাবে অভিযান চালিয়ে ২ ভূয়া ডাক্তারসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখার প্রেসক্রিপশন, বিভিন্ন প্যাথোলজিক্যাল রিপোর্ট, এক্স-রে রিপোর্ট ও আল্ট্রাসনো রিপোর্ট উদ্ধার করা হয়। একই জুলাই রাতে র‌্যাব-১১ সিপিএসসি এর বিশেষ একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
ধৃতরা হলো ওই হাসপাতালটির এমডি গোপালগঞ্জ জেলার বনগ্রাম বাজার এলাকার উৎপল কুমার রায়, নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার জাংগাল বারপাড়া এলাকার মো: আরিফুজ্জামান লিটন ও রাজবাড়ী জেলার গোপালপুর এলাকার মো: সোলায়মান মোল্লা।
র‌্যাব-১১ এর সদর দপ্তর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দিন চৌধুরী পিপিএম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানানো হয়, মোঃ সোলায়মান মোল্লা ও উৎপল কুমার রায় মূলত ম্যাটস থেকে মেডিকেল এসিসট্যান্ট কোর্স করেছে। তারা ২ জন দীর্ঘদিন ধরে নিজেদেরকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে “কাঁচপুর জেনারেল হাসপাতাল এ্যান্ড ল্যাব’ এ নিয়মিত রোগী দেখে আসছে। হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের নথিপত্র দেখে জানা যায় মোঃ সোলায়মান মোল্লা ইমারজেন্সী মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ও উৎপল কুমার রায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে রোগী দেখে রোগীদের বিভিন্ন প্রকার প্যাথোলজিক্যাল, এক্স-রে ও আল্ট্রাসনো রিপোর্ট প্রস্তুত করে থাকে। উক্ত হাসপাতালে এক্স-রে মেশিনের অনুমতি না থাকার পরও ঝুকিপূর্ণভাবে এক্স-রে মেশিন পরিচালনা করে আসছে। হাসপাতালের এমডি মোঃ আরিফুজ্জামান লিটন ও তারা পরষ্পর যোগসাজসে রোগী দেখে, বিভিন্ন প্রকার অপ্রয়োজনীয় টেষ্ট দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে রোগীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা করে আসছে। তাছাড়া এক বছর পূর্বে এই অনিয়মের কারণে কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করেছিল। ধৃতদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

কাঁচপুর জেনারেল হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান : ভূযা ডাক্তারসহ গ্রেফতার-৩

আপডেট সময় : ১২:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর জেনারেল হাসপাতাল এ্যান্ড ল্যাবে অভিযান চালিয়ে ২ ভূয়া ডাক্তারসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখার প্রেসক্রিপশন, বিভিন্ন প্যাথোলজিক্যাল রিপোর্ট, এক্স-রে রিপোর্ট ও আল্ট্রাসনো রিপোর্ট উদ্ধার করা হয়। একই জুলাই রাতে র‌্যাব-১১ সিপিএসসি এর বিশেষ একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
ধৃতরা হলো ওই হাসপাতালটির এমডি গোপালগঞ্জ জেলার বনগ্রাম বাজার এলাকার উৎপল কুমার রায়, নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার জাংগাল বারপাড়া এলাকার মো: আরিফুজ্জামান লিটন ও রাজবাড়ী জেলার গোপালপুর এলাকার মো: সোলায়মান মোল্লা।
র‌্যাব-১১ এর সদর দপ্তর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দিন চৌধুরী পিপিএম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানানো হয়, মোঃ সোলায়মান মোল্লা ও উৎপল কুমার রায় মূলত ম্যাটস থেকে মেডিকেল এসিসট্যান্ট কোর্স করেছে। তারা ২ জন দীর্ঘদিন ধরে নিজেদেরকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে “কাঁচপুর জেনারেল হাসপাতাল এ্যান্ড ল্যাব’ এ নিয়মিত রোগী দেখে আসছে। হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের নথিপত্র দেখে জানা যায় মোঃ সোলায়মান মোল্লা ইমারজেন্সী মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ও উৎপল কুমার রায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে রোগী দেখে রোগীদের বিভিন্ন প্রকার প্যাথোলজিক্যাল, এক্স-রে ও আল্ট্রাসনো রিপোর্ট প্রস্তুত করে থাকে। উক্ত হাসপাতালে এক্স-রে মেশিনের অনুমতি না থাকার পরও ঝুকিপূর্ণভাবে এক্স-রে মেশিন পরিচালনা করে আসছে। হাসপাতালের এমডি মোঃ আরিফুজ্জামান লিটন ও তারা পরষ্পর যোগসাজসে রোগী দেখে, বিভিন্ন প্রকার অপ্রয়োজনীয় টেষ্ট দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে রোগীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা করে আসছে। তাছাড়া এক বছর পূর্বে এই অনিয়মের কারণে কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করেছিল। ধৃতদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।