নারায়ণগঞ্জ ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমি পল্লীবাসীকে জিম্মি করতে মরিয়া ফ্যাসিবাদের দোসররা, জিয়াউল হককে নিয়ে চালাচ্ছে অপপ্রচার টঙ্গীতে সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম, থানায় মামলা আড়াইহাজারে লিজকৃত সম্পত্তির বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাট বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিচার পতির সাথে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাক্ষাৎ রূপগঞ্জে ইয়াবাসহ জিয়া মঞ্চ দলের নেতা গ্রেফতার মহানগর কৃষকদলের সভাপতি এনামুল হক স্বপন ও সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল কে হাসান আল মামুনের শুভেচ্ছা সৌদি আরবে “ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি সোসাইটি”র বনভোজন ও নাশিদ সন্ধ্যা সৌদি প্রবাসী দালাল ইব্রাহিমের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল দেশ রূপান্তরের নতুন সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ

সোনারগাঁয়ে আত্নহত্যার প্ররোচনার মামলা করে আর্থিক ফায়দা হাসিলের পায়তারা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০১৯
  • ২৪৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : সোনারগাঁয়ে ফারজানা আক্তার নামে এক গৃহবধূর আত্নহত্যাকে পুঁজি করে প্রবাসী স্বামী ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা করে ফায়দা লুটার ফায়তারা করছে নিহতের বড় ভাই জাহাঙ্গীর। মামলার ৬ আসামির মধ্যে ২ জন বিদেশে অবস্থান করছে। পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ফারজানা গত ১১ জুন সকালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার চালিডাঙ্গা এলাকার বাচ্চুমিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তারকে ৫ বছর আগে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার বারদী মিছরিপাড়া এলাকার সাত্তার মিয়ার ছেলে মো: সুজন। তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তাননের জন্ম হয়। জীবিকার তাগিদে সুজন গত ৪ মাস আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে যায়। বিদেশ যাওয়ার সময় সুজন শশুর বাড়ী থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। এই পাওনা টাকা পরিশোধ করার কথা বলায় ফারজানা আক্তারকে তার শশুর বাড়ীর লোকজন নির্যাতনসহ বিভিন্ন হুমকি ধমকি প্রদান করে। প্রতিনিয়তই নানা ভাবে অপমান অপদস্ত করে। এসব অপমান সহ্য করতে না পেরে ১১ জুন সকাল সাড়ে ৮ টায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা কুমিল্লা থেকে সোনারগাঁ ছুটে এসে আত্নহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ তুলে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাটিয়ে সাত্তারের স্ত্রী মিনারা বেগম,(নিহতের শাশুরি),ছেলে মো: সুজন(নিহতের স্বামী) সুমন(নিহতের ভাসর), মৃত খালেকের ছেলে ধন মিয়, মান্নান ও মান্নানের স্ত্রী হাফজাকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। যা পরবর্তিতে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে পুলিশ। যার নং ৩৪। ধারা দন্ড বিধির ৩০৬/৩৪। তারিখ ১৫-০৬-২০১৯। মামলায় উল্লেখিত ৬ জন আসামির মধ্যে নিহতের স্বামী সুজন ও তার ভাগিনা মান্নান বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন।

নিহত ফারজানার শশুর বাড়ীর লোকজন জানায়, বিদেশ যাওয়ার সময় সুজন তার শাশুরীর কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ধার নিয়ে ছিল। মাত্র ৪ মাস হয় সুজন বিদেশ গেছে। তাই শশুরবাড়ীর পাওনা টাকা পরিশোধ করতে পারছেনা। কিন্তু ফারজানার মা ও ভাই পাওনা টাকার জন্য প্রতিনিয়তই চাপ প্রয়োগ করতো ফারজানার উপর। মা ও ভাইয়ের চাপেই অভিমান করে ফারজানা আতœহত্যা করেছে বলে মনে করছেন মামলার আসামিরা। নিহতের ভাই মামলার বাদী জাহাঙ্গীর বোনের আতœহত্যাকে পুঁজি করে অর্থিক ফায়দা লুটার পায়তারা করছে বলে তাদের অভিযোগ। কারণ ৮০ হাজার টাকা ধার নিলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে দেড় লাখ টাকা। তাই সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার দাবি জানিয়েছে মামলার আসামি ও তাদের পরিবার।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক মোক্তার এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। মোবাইলে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমি পল্লীবাসীকে জিম্মি করতে মরিয়া ফ্যাসিবাদের দোসররা, জিয়াউল হককে নিয়ে চালাচ্ছে অপপ্রচার

সোনারগাঁয়ে আত্নহত্যার প্ররোচনার মামলা করে আর্থিক ফায়দা হাসিলের পায়তারা

আপডেট সময় : ১২:১৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার : সোনারগাঁয়ে ফারজানা আক্তার নামে এক গৃহবধূর আত্নহত্যাকে পুঁজি করে প্রবাসী স্বামী ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা করে ফায়দা লুটার ফায়তারা করছে নিহতের বড় ভাই জাহাঙ্গীর। মামলার ৬ আসামির মধ্যে ২ জন বিদেশে অবস্থান করছে। পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ফারজানা গত ১১ জুন সকালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার চালিডাঙ্গা এলাকার বাচ্চুমিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তারকে ৫ বছর আগে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার বারদী মিছরিপাড়া এলাকার সাত্তার মিয়ার ছেলে মো: সুজন। তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তাননের জন্ম হয়। জীবিকার তাগিদে সুজন গত ৪ মাস আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে যায়। বিদেশ যাওয়ার সময় সুজন শশুর বাড়ী থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। এই পাওনা টাকা পরিশোধ করার কথা বলায় ফারজানা আক্তারকে তার শশুর বাড়ীর লোকজন নির্যাতনসহ বিভিন্ন হুমকি ধমকি প্রদান করে। প্রতিনিয়তই নানা ভাবে অপমান অপদস্ত করে। এসব অপমান সহ্য করতে না পেরে ১১ জুন সকাল সাড়ে ৮ টায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা কুমিল্লা থেকে সোনারগাঁ ছুটে এসে আত্নহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ তুলে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাটিয়ে সাত্তারের স্ত্রী মিনারা বেগম,(নিহতের শাশুরি),ছেলে মো: সুজন(নিহতের স্বামী) সুমন(নিহতের ভাসর), মৃত খালেকের ছেলে ধন মিয়, মান্নান ও মান্নানের স্ত্রী হাফজাকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। যা পরবর্তিতে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে পুলিশ। যার নং ৩৪। ধারা দন্ড বিধির ৩০৬/৩৪। তারিখ ১৫-০৬-২০১৯। মামলায় উল্লেখিত ৬ জন আসামির মধ্যে নিহতের স্বামী সুজন ও তার ভাগিনা মান্নান বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন।

নিহত ফারজানার শশুর বাড়ীর লোকজন জানায়, বিদেশ যাওয়ার সময় সুজন তার শাশুরীর কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ধার নিয়ে ছিল। মাত্র ৪ মাস হয় সুজন বিদেশ গেছে। তাই শশুরবাড়ীর পাওনা টাকা পরিশোধ করতে পারছেনা। কিন্তু ফারজানার মা ও ভাই পাওনা টাকার জন্য প্রতিনিয়তই চাপ প্রয়োগ করতো ফারজানার উপর। মা ও ভাইয়ের চাপেই অভিমান করে ফারজানা আতœহত্যা করেছে বলে মনে করছেন মামলার আসামিরা। নিহতের ভাই মামলার বাদী জাহাঙ্গীর বোনের আতœহত্যাকে পুঁজি করে অর্থিক ফায়দা লুটার পায়তারা করছে বলে তাদের অভিযোগ। কারণ ৮০ হাজার টাকা ধার নিলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে দেড় লাখ টাকা। তাই সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার দাবি জানিয়েছে মামলার আসামি ও তাদের পরিবার।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক মোক্তার এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। মোবাইলে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি।