ফতুল্লা প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ভূঁইগড় রূপায়ন টাউন আবাসিক এলাকায় ফাট মালিকেদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মারধরের প্রতিবাদে মানব বন্ধন বিক্ষোভ মিছিল। হামলাকারী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনগংদের বিচার দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার বাদ জুম্মা এলাকার সর্বস্থরের ফাট মালিকরা এই মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে। ফ্যাট কিনলে চাঁদা দাবী, ভুতুড়ে সার্ভিস চার্জ, পানির বিল, বিদ্যুৎ বিল, ডিস লাইনের বিল, ইন্টারনেট বিল, ময়লার বিল, সিকিউরিটি বিল, আনসার বিলসহ নানা অজুহাতে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার প্রতিবাদ করায় নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বৃহস্পতিবার রাতে রূপায়ন টাউনের ভিতরে প্রবেশ করে হামলা চালায়। হামলাকারীরা শিা মন্ত্রণালয়ের নিরিা বিভাগের একজন উপ পরিচালকসহ ৫ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠে ফাট মালিকরা।
মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন,বকেয়া বিল দাবী করে ফ্যাট মালিকদের কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের চেষ্টা চালানো হয়। চাঁদা না দিয়ে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করায় বৃহস্পতিবার রাতে ফ্যাট মালিকদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের মালিকানা সম্পত্তি ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেয় সন্ত্রাসীরা। হামলায় শিা মন্ত্রণালয়ের উপ পরিচালক আব্দুস সালাম আজাদসহ ৫ জন আহত হয়। আহতরা নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩‘শ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। ঘটনার রাতেই আবু সাঈদ পাটোয়ারী ও আশরাফ সিদ্দিকী নামে দুই ব্যক্তি হামলার নেতৃত্বদানকারী সন্ত্রাসী নাজিম উদ্দিন চেয়ারম্যানকে প্রধান করে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দিয়ে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রাখতে রূপায়ন টাউনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
শিা মন্ত্রণালয়ের উপ পরিচালক আহত আব্দুস সালাম আজাদের স্ত্রী জানান, নাজিম উদ্দিনের সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। আমার স্বামী এখন হাসপাতালে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি বিচার চাই। আমাদের নিরাপত্তা চাই। মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব সারোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের আত্মীয় স্বজনরা এলে বহুবার নিরাপত্তা কর্মী ফোন দিয়ে নিশ্চিত করে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়। কিন্তু সন্ত্রাসীদের কেন নিরাপত্তা কর্মী প্রতিহত করেনি তা আমার বোধগম্ম নয়। গেইটে আনসার ও সিকিউরিটি কর্মী থাকা স্বত্ত্বেও বিনা বাধায় সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করে আমাদের ফ্যাটে এসে হামলা চালায় কি করে। হামলাকারীরা রূপায়ন টাইন কর্তৃপরে পালিত সন্ত্রাসী বলে দাবি করেন তিনি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীা করে প্রতিটি সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান সারোয়ার হোসেন।একই দাবি জানিয়েছেন ফাট মালিক হারুনুর রশীদ, খাজা আহমেদ, শামীম চৌধুরী, বাকির ভূঁইয়া, নুর আলম, এমএ ছালাম, ও নুর ইসলামসহ প্রমুখ।
এ বিষয়ে রূপায়ন টাউনের মহা ব্যবস্থাপক সারোয়ার হোসেন বলেন, আমার জানা মতে রূপায়ন কর্তৃপক্ষ কোন সন্ত্রাসী লালন পালন করে না। চাঁদাও দাবী করে না। তবে আমার জানার বাইরে কেউ করে থাকলে তা আমি জানি না।
অভিযুক্ত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও মোবাইল রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।