নারায়ণগঞ্জ ০৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আড়াইহাজারে লিজকৃত সম্পত্তির বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাট বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিচার পতির সাথে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাক্ষাৎ রূপগঞ্জে ইয়াবাসহ জিয়া মঞ্চ দলের নেতা গ্রেফতার মহানগর কৃষকদলের সভাপতি এনামুল হক স্বপন ও সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল কে হাসান আল মামুনের শুভেচ্ছা সৌদি আরবে “ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি সোসাইটি”র বনভোজন ও নাশিদ সন্ধ্যা সৌদি প্রবাসী দালাল ইব্রাহিমের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল দেশ রূপান্তরের নতুন সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ রিয়াদে এনটিভি দর্শক ফোরামের উদ্যোগে জমকালো আয়োজনে ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন যুবকদের আগামীতে এইদেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে – মাজেদুল ইসলাম

সিদ্ধিরগঞ্জে অবৈধ ফ্যামিলি ল্যাব হসপিটালে র‌্যাবের অভিযান : ভূয়া ডাক্তারকে কারাদন্ড : হসপিটাল সিলগালা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০১৯
  • ৪৩০ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডস্থ ফ্যামিলি ল্যাব হসপিটালে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। এমবিবিএস পরিচয়দানকারী ভূয়া ডাক্তার মো: নূরুল ইসলাম শেখকে(২৭) গ্রেফতার করে ১ বছরের কারাদন্ড। হসপিটাল সিলাগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদলতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আনিসুল ইসলাম। মঙ্গলবার(২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭ টায় এ অভিযান চালায় র‌্যাব।
আদমজীতে অবস্থিত র‌্যাব-১১ সিপিএসসির কোম্পানি অধিনায়ক তালুকদার নাজমুল সাকিব জানায়, সরকারি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড সামাদবানু কমপ্লেক্স টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় ফ্যামিলি ল্যাব হমপিটাল লিমিটেড নামে একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান চিকিৎসার নামে রোগীদের সাথে প্রতারনা করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: আনিসুল ইসলামের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করার সময় মো: নূরুল ইসলাম শেখকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে নূরুল ইসলাম জানায় তিনি একজন মেডিকেল এসিসটেন্ট হয়ে এমবিবিএস পরিচয় দিয়ে ওই হসপিটালে ২ বছর ধরে রোগীদের সাথে প্রতারনা করে আসছে। সে তার অপরাধ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত ভূয়া ডাক্তার নূরুল ইসলাম শেখ সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থানার বিলগজারিয়া এলাকার সানাউল্লাহ শেখের ছেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আনিসুল ইসলাম জানান, ফ্যামিলি ল্যাব হসপিটাল লিমিটেড কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাছাড়া ওই হসপিটালে সয়া নামে একটি পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। যা পুষ্টিকর ও সেক্সসোয়াল হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। হসপিটালের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা। অপরেশন থিয়েটারের অবস্থা নাজুক। প্রয়োজনীয় কোন চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। অবৈধ ভাবে হসপিটালটি পরিচালিত হচ্ছে। ফলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে ভূয়া ডাক্তার নূরুল ইসলাম শেখকে ১ বছরের কারাদন্ড ও হসপিটাল সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, অবৈধ ভাবে হসপিটাল পরিচালনা করার অভিযুগে মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সরেজমিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো: বেলাল হোসেন ভূইয়া অবৈধ ভাবে ফ্যামিলি ল্যাব হসপিটাল গড়ে তুলেছেন। চিকিৎসার নামে প্রতারনা সহ নানা অপকর্ম চলছিল এই হসপিটালে। স্থানীয় একশ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে বেলাল দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসার নামে প্রতারনা করছিল। বেলাল হোসেন বি-বাড়ীয়া জেলার কসবা থানার গোপিনাথপুর উত্তর পাড়ার মৃত কাজী ইসমাইল ভূঁইয়ার ছেলে।২০১৭ সালের ২৪  ফেব্রুয়ারি মাসে গনমাধ্যমের কয়েকজন কর্মী ওই হাসপাতালের অবৈধ কর্মকান্ড নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরীর লক্ষ্যে সেখানে গেলে তাদেরকে আটকে রেখে পুলিশ প্রশাসনকে প্রভাবিত করে সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানী করে। মামলাটি এখনও আদালতে চলমান রযেছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

আড়াইহাজারে লিজকৃত সম্পত্তির বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাট

সিদ্ধিরগঞ্জে অবৈধ ফ্যামিলি ল্যাব হসপিটালে র‌্যাবের অভিযান : ভূয়া ডাক্তারকে কারাদন্ড : হসপিটাল সিলগালা

আপডেট সময় : ০৪:২৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডস্থ ফ্যামিলি ল্যাব হসপিটালে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। এমবিবিএস পরিচয়দানকারী ভূয়া ডাক্তার মো: নূরুল ইসলাম শেখকে(২৭) গ্রেফতার করে ১ বছরের কারাদন্ড। হসপিটাল সিলাগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদলতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আনিসুল ইসলাম। মঙ্গলবার(২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭ টায় এ অভিযান চালায় র‌্যাব।
আদমজীতে অবস্থিত র‌্যাব-১১ সিপিএসসির কোম্পানি অধিনায়ক তালুকদার নাজমুল সাকিব জানায়, সরকারি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড সামাদবানু কমপ্লেক্স টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় ফ্যামিলি ল্যাব হমপিটাল লিমিটেড নামে একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান চিকিৎসার নামে রোগীদের সাথে প্রতারনা করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: আনিসুল ইসলামের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করার সময় মো: নূরুল ইসলাম শেখকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে নূরুল ইসলাম জানায় তিনি একজন মেডিকেল এসিসটেন্ট হয়ে এমবিবিএস পরিচয় দিয়ে ওই হসপিটালে ২ বছর ধরে রোগীদের সাথে প্রতারনা করে আসছে। সে তার অপরাধ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত ভূয়া ডাক্তার নূরুল ইসলাম শেখ সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থানার বিলগজারিয়া এলাকার সানাউল্লাহ শেখের ছেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আনিসুল ইসলাম জানান, ফ্যামিলি ল্যাব হসপিটাল লিমিটেড কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাছাড়া ওই হসপিটালে সয়া নামে একটি পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। যা পুষ্টিকর ও সেক্সসোয়াল হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। হসপিটালের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা। অপরেশন থিয়েটারের অবস্থা নাজুক। প্রয়োজনীয় কোন চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। অবৈধ ভাবে হসপিটালটি পরিচালিত হচ্ছে। ফলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে ভূয়া ডাক্তার নূরুল ইসলাম শেখকে ১ বছরের কারাদন্ড ও হসপিটাল সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, অবৈধ ভাবে হসপিটাল পরিচালনা করার অভিযুগে মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সরেজমিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো: বেলাল হোসেন ভূইয়া অবৈধ ভাবে ফ্যামিলি ল্যাব হসপিটাল গড়ে তুলেছেন। চিকিৎসার নামে প্রতারনা সহ নানা অপকর্ম চলছিল এই হসপিটালে। স্থানীয় একশ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে বেলাল দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসার নামে প্রতারনা করছিল। বেলাল হোসেন বি-বাড়ীয়া জেলার কসবা থানার গোপিনাথপুর উত্তর পাড়ার মৃত কাজী ইসমাইল ভূঁইয়ার ছেলে।২০১৭ সালের ২৪  ফেব্রুয়ারি মাসে গনমাধ্যমের কয়েকজন কর্মী ওই হাসপাতালের অবৈধ কর্মকান্ড নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরীর লক্ষ্যে সেখানে গেলে তাদেরকে আটকে রেখে পুলিশ প্রশাসনকে প্রভাবিত করে সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানী করে। মামলাটি এখনও আদালতে চলমান রযেছে।