নারায়ণগঞ্জ ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আধিপত্য বিস্তার করতে ফতুল্লায় সন্ত্রাসীদের তান্ডব

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০১৯
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার কুতুবআইল শিল্প এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডব। অন্তত দুই শতাধিক বাড়ি ও দোকান ঘর ভাংচুর । ১৫ জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। গুরুতর আহত দুজনকে ঢাকা মেডিকেল ও দুজনকে পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনের লোকজন এ তান্ডব চালায়।
প্রত্যদর্শীরা জানান, ফতুল্লা থানা কমিনিউটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল ও বিএনপি সমর্থক তৈয়ব মিয়ার লোকজনের ওপর আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসুর লোকজন ওই হামলা চালায়। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার বিকেলে মোস্তফা-তৈয়ব গ্রুপের মাদকবিরোধী অভিযানের মিছিলে তাদের এক সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে গিয়াসউদ্দিনের লোকজন।এরপর রাত ৯টায় ফের গিয়াস উদ্দিনের লোকজন লাঠিসোটাসহ পাইপ, রামদা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্রসহ রামারবাগ শাহী মসজিদ এলাকায় তান্ডব চালায়। এতে দুই নারীসহ ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আজিম, আকাইদ, নাজমুল ও আল আমিনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়াও এলাকার সাধারন লোকজনের অন্তত দুই শতাধিক বাড়ি ও দোকান ঘর ভাংচুর করা হয়। এদের মধ্যে গফুর মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক একাধিক গার্মেন্ট মালিক ও শ্রমিকরা জানান, কুতুবআইল শিল্প এলাকায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক কলকারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় লাধিক শ্রমিক কাজ করে।
এসব শ্রমিকরা এ এলাকায় বসবাস করে। শ্রমিকদের কারখানার বাইরে যাতায়াত করতে হয়। সন্ত্রাসীদের এমন তান্তবে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় খানপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অমির রায় জানান, আহতদের অধিকাংশই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন। মাথায় ও পায়ে গুরুতর জখম হওয়া রোগীই বেশি। আমরা ৪ জনকে ঢাকায় রেফার্ড করেছি বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

কমিনিউটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল জানান, ঘটনার সময় আমি বাসায় ছিলাম। ওসি সাহেবের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি এলাকার নিরীহ লোকজনের উপর গিয়াস উদ্দিনের লোকজন হামলা চালিয়ে অসংখ্য বাড়ি ও দোকান ঘর ভাংচুর করেছে এবং সাধারণ লোকজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এবিষয়ে ওসি সাহেবের কাছে আমি বিচার চেয়েছি।
আহত আকাইদের বাবা রাজ্জাক মিয়া জানান, আমি এলাকায় কোন গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। তারপরও গিয়াস উদ্দিনের লোকজন আমার বাসায় হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাংচুর করেছে এবং আমার ছেলেকে কুপিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

কাঁচপুরে পরিবহন চাঁদাবাজ রাব্বিকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ

আধিপত্য বিস্তার করতে ফতুল্লায় সন্ত্রাসীদের তান্ডব

আপডেট সময় : ১২:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার কুতুবআইল শিল্প এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডব। অন্তত দুই শতাধিক বাড়ি ও দোকান ঘর ভাংচুর । ১৫ জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। গুরুতর আহত দুজনকে ঢাকা মেডিকেল ও দুজনকে পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনের লোকজন এ তান্ডব চালায়।
প্রত্যদর্শীরা জানান, ফতুল্লা থানা কমিনিউটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল ও বিএনপি সমর্থক তৈয়ব মিয়ার লোকজনের ওপর আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসুর লোকজন ওই হামলা চালায়। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার বিকেলে মোস্তফা-তৈয়ব গ্রুপের মাদকবিরোধী অভিযানের মিছিলে তাদের এক সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে গিয়াসউদ্দিনের লোকজন।এরপর রাত ৯টায় ফের গিয়াস উদ্দিনের লোকজন লাঠিসোটাসহ পাইপ, রামদা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্রসহ রামারবাগ শাহী মসজিদ এলাকায় তান্ডব চালায়। এতে দুই নারীসহ ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আজিম, আকাইদ, নাজমুল ও আল আমিনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়াও এলাকার সাধারন লোকজনের অন্তত দুই শতাধিক বাড়ি ও দোকান ঘর ভাংচুর করা হয়। এদের মধ্যে গফুর মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক একাধিক গার্মেন্ট মালিক ও শ্রমিকরা জানান, কুতুবআইল শিল্প এলাকায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক কলকারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় লাধিক শ্রমিক কাজ করে।
এসব শ্রমিকরা এ এলাকায় বসবাস করে। শ্রমিকদের কারখানার বাইরে যাতায়াত করতে হয়। সন্ত্রাসীদের এমন তান্তবে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় খানপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অমির রায় জানান, আহতদের অধিকাংশই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন। মাথায় ও পায়ে গুরুতর জখম হওয়া রোগীই বেশি। আমরা ৪ জনকে ঢাকায় রেফার্ড করেছি বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

কমিনিউটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল জানান, ঘটনার সময় আমি বাসায় ছিলাম। ওসি সাহেবের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি এলাকার নিরীহ লোকজনের উপর গিয়াস উদ্দিনের লোকজন হামলা চালিয়ে অসংখ্য বাড়ি ও দোকান ঘর ভাংচুর করেছে এবং সাধারণ লোকজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এবিষয়ে ওসি সাহেবের কাছে আমি বিচার চেয়েছি।
আহত আকাইদের বাবা রাজ্জাক মিয়া জানান, আমি এলাকায় কোন গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। তারপরও গিয়াস উদ্দিনের লোকজন আমার বাসায় হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাংচুর করেছে এবং আমার ছেলেকে কুপিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।