নারায়ণগঞ্জ ০৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলের মিছিলে রিফাতের চমক সিদ্ধিরগঞ্জে সৃষ্টি যুব সংসদের উদ্যোগে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া সিদ্ধিরগঞ্জে সন্ত্রাস চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ আজাদের নির্দেশে কালাপাহাড়িয়ায় বিএনপির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রি-পেইড মিটার বাতিল চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম সিদ্ধিরগঞ্জের বিক্ষুব্দ গ্রাহকদের

বন্দরে বশিরের ডিস ব্যবসা দখলে ন্ওেয়ার অভিযোগ সন্ত্রাসী লিটনের বিরুদ্ধে

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯
  • ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

বন্দর প্রতিনিধি ঃ বন্দর উপজেলার দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকায় দীর্ঘ ২৭ বছরের বৈধ ডিসের ব্যবসা দখল করে নিয়েছে সন্ত্রাসী লিটন বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাসী মামলা রয়েছে। সম্প্রতি বশিরের করা মামলায় কারাগার থেকে বেরিয়ে ফের তার কেটে নিয়ে গ্রাহকদের অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক প্রায় কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। লিটন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের চাচা শ^শুর পরিচয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। লিটন বাহিনীকে নিয়ন্ত্রনে আনলে এলাকাবাসি স্বস্তির নিঃশ^াস নেবে বলে জানিয়েছে । তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ।
বশির উদ্দিন জানান, ১৯৯০ সালে আমি ডিস ব্যবসা শুরু করি। আমি ব্যবসা করতে মূল্য সংযোজন কর, ট্রেড লাইসেন্সসহ সকল বৈধ কাগজপত্র ও অনুমোদন নিয়েছি। বর্তমানে আমার প্রায় ১২শ গ্রাহক রয়েছে। গত ২রা সেপ্টেম্বর মিরাজ ওরফে ইয়াবা মিরাজ, টিটু মিয়া, হাসান মিয়া ও রবিউল গংরা আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় তারা প্রাণে মেরে ফেলা হুমকি দেয়। ঘটনার বিষয়ে বন্দর থানায় সাধারন ডায়েরী করার পর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ঘ অঞ্চল আদালতে মামলা করি। মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেয়।
পিবিআইর তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। কয়েকটি পেনাল কোডের ৪৪৭ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত। এছাড়াও মিরাজ ওরফে ইয়াবা মিরাজ, টিটু মিয়া ও রবিউল গংদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ কয়েকটি পেনাল কোডের ৪৪৭ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত।
জানা গেছে, মামলাটি বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে। মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বছরের ১৪ই ফেব্রæয়ারী রবিউল, হোসেন মো. লিটন, সাজ্জাদ মিয়া, বাপ্পি সাউদ, নিপু, দেলোয়ার, দিদার ভান্ডারী ও শাহ আলম গংদের সাথে বসিরের সাথে ডিস ব্যবসা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। তারা স্থানীয়ভাবে বিরোধ মিমাংসা করার অজুহাতে দুপুরে দক্ষিন লক্ষনখোল বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র, লাঠি সোটা দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাকে হত্যার উদ্দেশে অপহরণের চেস্টা চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনার বিষয়ে বন্দর থানায় মামলা হয়। মামলা ৩৩/৯৪। মামলায় এ বছরের ২৪ ফেব্রæয়ারী বন্দর থানার উপ পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন হোসাইন মাহামুদ লিটনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। তাকে গ্রেপ্তারের পর এলাকায় শান্তি বিরাজ করলেও জামিনে বের হয়ে ফের সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে।
বশির বলেন, গত ফেব্রæয়ারী মাসের শেষের দিকে ওই সন্ত্রাসীরা আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার তার কেটে নিয়ে যায়। আমার গ্রাহকদের হুমকি ধমকি ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মাসিক বিল আদায় করছে। যা প্রতিমাসে ১ লাখ টাকা দাঁড়ায়।আমি ব্যবসার সমস্ত খরচ চালিয়ে গেলেও তাদের সন্ত্রাসী কাযক্রমের ফলে ব্যবসায়ীক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। আমি পুলিশ, প্রশাসন ও সাধারন মানুষের কাছে আমার ক্ষতিপূরনের জন্য সহযোগীতা চাই।
জানতে চাইলে হোসাইন মোহাম্মদ লিটন বলেন, আমি কোন লাইন দখল করি নাই। আমার নিজস্ব লাইন আছে। দিদার ভান্ডারীর সাথে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি। সাজ্জাদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে তারও বক্তব্য পাওয়া যায় নি। শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কালকে থানায় উভয় পক্ষকে নিয়ে বসবো। একবার লিটনকে ধরে কারাগারে পাঠিয়েছি। প্রয়োজনে আবার পাঠাবো।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল

বন্দরে বশিরের ডিস ব্যবসা দখলে ন্ওেয়ার অভিযোগ সন্ত্রাসী লিটনের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯

বন্দর প্রতিনিধি ঃ বন্দর উপজেলার দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকায় দীর্ঘ ২৭ বছরের বৈধ ডিসের ব্যবসা দখল করে নিয়েছে সন্ত্রাসী লিটন বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাসী মামলা রয়েছে। সম্প্রতি বশিরের করা মামলায় কারাগার থেকে বেরিয়ে ফের তার কেটে নিয়ে গ্রাহকদের অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক প্রায় কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। লিটন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের চাচা শ^শুর পরিচয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। লিটন বাহিনীকে নিয়ন্ত্রনে আনলে এলাকাবাসি স্বস্তির নিঃশ^াস নেবে বলে জানিয়েছে । তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ।
বশির উদ্দিন জানান, ১৯৯০ সালে আমি ডিস ব্যবসা শুরু করি। আমি ব্যবসা করতে মূল্য সংযোজন কর, ট্রেড লাইসেন্সসহ সকল বৈধ কাগজপত্র ও অনুমোদন নিয়েছি। বর্তমানে আমার প্রায় ১২শ গ্রাহক রয়েছে। গত ২রা সেপ্টেম্বর মিরাজ ওরফে ইয়াবা মিরাজ, টিটু মিয়া, হাসান মিয়া ও রবিউল গংরা আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় তারা প্রাণে মেরে ফেলা হুমকি দেয়। ঘটনার বিষয়ে বন্দর থানায় সাধারন ডায়েরী করার পর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ঘ অঞ্চল আদালতে মামলা করি। মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেয়।
পিবিআইর তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। কয়েকটি পেনাল কোডের ৪৪৭ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত। এছাড়াও মিরাজ ওরফে ইয়াবা মিরাজ, টিটু মিয়া ও রবিউল গংদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ কয়েকটি পেনাল কোডের ৪৪৭ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত।
জানা গেছে, মামলাটি বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে। মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বছরের ১৪ই ফেব্রæয়ারী রবিউল, হোসেন মো. লিটন, সাজ্জাদ মিয়া, বাপ্পি সাউদ, নিপু, দেলোয়ার, দিদার ভান্ডারী ও শাহ আলম গংদের সাথে বসিরের সাথে ডিস ব্যবসা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। তারা স্থানীয়ভাবে বিরোধ মিমাংসা করার অজুহাতে দুপুরে দক্ষিন লক্ষনখোল বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র, লাঠি সোটা দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাকে হত্যার উদ্দেশে অপহরণের চেস্টা চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনার বিষয়ে বন্দর থানায় মামলা হয়। মামলা ৩৩/৯৪। মামলায় এ বছরের ২৪ ফেব্রæয়ারী বন্দর থানার উপ পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন হোসাইন মাহামুদ লিটনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। তাকে গ্রেপ্তারের পর এলাকায় শান্তি বিরাজ করলেও জামিনে বের হয়ে ফের সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে।
বশির বলেন, গত ফেব্রæয়ারী মাসের শেষের দিকে ওই সন্ত্রাসীরা আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার তার কেটে নিয়ে যায়। আমার গ্রাহকদের হুমকি ধমকি ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মাসিক বিল আদায় করছে। যা প্রতিমাসে ১ লাখ টাকা দাঁড়ায়।আমি ব্যবসার সমস্ত খরচ চালিয়ে গেলেও তাদের সন্ত্রাসী কাযক্রমের ফলে ব্যবসায়ীক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। আমি পুলিশ, প্রশাসন ও সাধারন মানুষের কাছে আমার ক্ষতিপূরনের জন্য সহযোগীতা চাই।
জানতে চাইলে হোসাইন মোহাম্মদ লিটন বলেন, আমি কোন লাইন দখল করি নাই। আমার নিজস্ব লাইন আছে। দিদার ভান্ডারীর সাথে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি। সাজ্জাদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে তারও বক্তব্য পাওয়া যায় নি। শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কালকে থানায় উভয় পক্ষকে নিয়ে বসবো। একবার লিটনকে ধরে কারাগারে পাঠিয়েছি। প্রয়োজনে আবার পাঠাবো।