নারায়ণগঞ্জ ০৬:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত রিয়াদে সিলেট সদর উপজেলা প্রবাসীদের উদ্যোগে সংবর্ধণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইনভেস্টার নজরুল ইসলামের রিয়াদ গালফ টুলেডো রেষ্টুরেন্টে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে ৬ দিনেও নিখোঁজ ব্যবসায়ীর সন্ধান মেলেনি রিয়াদে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে ব্যাচ ৯৫-৯৭ এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত এতিমদের সন্মানে প্রবাসী সাংবাদিক ফারুক চানের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ফতুল্লা মডেল থানায় কর্মরত পুলিশ বদলী আতঙ্কে ভুগছে !!

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৯
  • ২১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লা মডেল থানায় কনস্টেবল হতে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত পুলিশ আবারও বদলী আতংকে ভুগছে। নিবার্চনের পরেই দেশের বিভিন্ন জেলা ও থানায় নিয়মিত বদলী প্রক্রিয়া চলছে। সে মতে নারায়ণগঞ্জ জেলাও বদলী হচ্ছে। তবে এই জেলার মধ্যে ফতুল্লা মডেল থানাটি একটু ব্যস্ত থানা এই থানাধীন এলাকায় মেঘনা যমুনা তেলের ডিপো. বালু ,গামের্ন্টসসহ নানা প্রতিষ্ঠান। এই থানাধীন এলাকায় দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ রয়েছে সব চেয়ে বেশি। তাই ফতুল্লা মডেল থানাধীন এলাকায় অপরাধও বেশি সংঘঠিত হয়। পুলিশ অপরাধ দমনেও এগিয়ে জেলার সবার চেয়ে। তবে বিগত দিনের তুলনায় এখন আইন শৃঙ্খলা একটু অবনতি দিকে যাচ্ছে। কারন হিসেবে সচেতন মহল ভাবছেন বদলীর আতংকে অফিসারদের কাজকর্ম ঝিমিয়ে পড়েছে।
বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা মডেল থানায় নতুন অফিসারের চেয়ে পুরানো দারোগা কনষ্টেবল বেশি যা জেলার অন্যান্য থানায় নেই। সে পরিপ্রেক্ষিতে বদলীর হিড়িকটা ফতুল্লায় বেশি হচ্ছে। এখানে এমনও পুলিশ আছেন যারা ৩ থেকে ৪ বার ঘুরেফিরে মধুর থানায় আসছেন। আবার এমনও অফিসার আছে এরা দীর্ঘদিন এই থানায় খেটে চলে গিয়ে নতুন করে আবার ডিউ নিয়ে আসছে। অনেকে একাধিক বার আসছে। এই মধুর থানার মায়া ছাড়তে পারেন না। অনেকেই চাকুরীর সুবাধে এই থানাধীন এলাকাই বাড়ি ঘর করে বসবাস করছেন। তাদের পারিবারিক ঠিক রাখতে এবং শুভাকাঙ্খিদের সাথে সখ্য রাখতে ঘুরে ফিরে এই ফতুল্লা মডেল থানাই যোগ দান করেন। ফতুল্লা মডেল থানায় কনষ্টেবল থেকে শুরু করে ইন্সপেক্টর পযর্ন্ত কয়েকজনই একাধিক বার ঘুরে ফিরে পদোন্নতি পেয়ে আবার নতুন ডিউ নিয়ে বিভিন্ন জনকে ম্যানেজ করে এই থানায় যোগদান করার একাধিক তথ্য রয়েছে।
ফতুল্লা থানার ওয়ারলেস অপরেটর থেকে শুরু করে অনেকেই এই থানায় দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী করে আসছে। এরা পুরানো হওয়ায় কনস্টেবলও দারোগারভাবে আছেন বলে সেবা নিতে আসা সাধারন জনগণ বলছেন। ফতুল্লা থানায় বেশ কয়েকজন পিএস আই রয়েছে এদের কাছ থেকে সাধারন মানুষ সেবার চেয়ে হয়রানি বেশি হতে হচ্ছে। নাম না বলতে ইচ্ছুক এক বাদী জানান, পুলিশ জনগনের বন্ধু কিন্তু এই কথা বর্তমান এস.পি মো. হারুন অর রশিদ এর বেলায় বললে মানায় কিন্তু ফতুল্লা থানায় কয়েকজন পুরানো পিএসআই রয়েছে এদের ব্যবহার দেখলে মনে হবে পুলিশ জনগনের দুশমন। জিডি করতে এলে ফতুল্লা থানায় টাকা ছাড়া স্বাক্ষর পাওয়া যায় না। যারা নতুন আসেন এদের কাছে কিছুটা সাধারন মানুষ সেবা পেলেও পুরানো কনস্টেবল ও এ.এস.আই ও এসআই এবং পিএসআই দ্বারা সহযোইগতার আসা করা যায় না। সেদিন নারায়ণগঞ্জ শহরের এক সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, ফতুল্লা মডেল থানায় একটা জিডি রুজু করতে গিয়ে তার কাছে নগদ ৫শ টাকা চায় ডিউটি অফিসার। যখন সে তার পরিচয় বললো তখন কোন কথা না বলে নানা অজুহাতে সময় কালক্ষেপন করে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু তিনি চলে আসার পরে বিড়বিড় করে কিছু একটা বলছেন পাশের অপারেটারের সাথে। সেদিনই তিনি বললেন জেলায় এত ভালো এস.পি থাকার পরেও এমন অবস্থা ফতুল্লা মডেল থানায়। তবে থানার অফিসার ইনচার্জ যতক্ষন থানার অফিসে বসা থাকেন ততক্ষন মনে হয় এই থানাই জেলার সেরা থানা । এমনটাই বলছেন সেবা নিতে আসা সাধারন জনগণ। ফতুল্লা মডেল থানাটিতে কতিপয় কয়েকজন কনষ্টেবল ও এ.এস.আই, পিএস.আই এবং এসআই আছে তাদের জন্য থানার দূর্নাম পোহাতে হয় অফিসার ইনচাজ আলহাজ¦ শাহ মোহম্মদ মঞ্জুর কাদের কে।
ফতুল্লা মডেল থানায় বেশ কয়েকজন দারোগা বদলী হয়েছে এবং অনেকের অর্ডার হয়েছে, তারা যে কোন সময় চলে যাবেন অন্যত্রয়।
এলকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবী যারা এই জেলায় দীর্ঘদিন ঘুরে ফিরে চাকুরী করে আসছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে পোষ্টি দিলে সাধারন মানুষ নতুন দের কাছ থেকে সঠিক সেবা পাবেন। যারা পুরানো তাদের সাথে অপরাধী ও বিএনপি জামায়াত এর সখ্যতা রয়েছে। সুতরাং জেলার আইন শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে বর্তমান সুযোগ্য পুলিশ সুপার তিনিই দেখবেন চিহ্নিত পুলিশ বদলী করবেন এমনটাই বলছেন সচেতন মহল। তিনি যোগদানের পর থেকেই জেলার আইন শৃঙ্খলা এবং শহরের ফুটপাত গামের্ন্টস অসন্তোষসহ এবং একটি সুষ্ঠ অবাধ নিরেপেক্ষ নির্বাচন জনগনকে উপহার দিতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি গাজীপুরের চেয়েও জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল শ্রেনির মানুষের কাছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ফতুল্লা মডেল থানায় কর্মরত পুলিশ বদলী আতঙ্কে ভুগছে !!

আপডেট সময় : ০২:১৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৯

নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লা মডেল থানায় কনস্টেবল হতে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত পুলিশ আবারও বদলী আতংকে ভুগছে। নিবার্চনের পরেই দেশের বিভিন্ন জেলা ও থানায় নিয়মিত বদলী প্রক্রিয়া চলছে। সে মতে নারায়ণগঞ্জ জেলাও বদলী হচ্ছে। তবে এই জেলার মধ্যে ফতুল্লা মডেল থানাটি একটু ব্যস্ত থানা এই থানাধীন এলাকায় মেঘনা যমুনা তেলের ডিপো. বালু ,গামের্ন্টসসহ নানা প্রতিষ্ঠান। এই থানাধীন এলাকায় দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ রয়েছে সব চেয়ে বেশি। তাই ফতুল্লা মডেল থানাধীন এলাকায় অপরাধও বেশি সংঘঠিত হয়। পুলিশ অপরাধ দমনেও এগিয়ে জেলার সবার চেয়ে। তবে বিগত দিনের তুলনায় এখন আইন শৃঙ্খলা একটু অবনতি দিকে যাচ্ছে। কারন হিসেবে সচেতন মহল ভাবছেন বদলীর আতংকে অফিসারদের কাজকর্ম ঝিমিয়ে পড়েছে।
বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা মডেল থানায় নতুন অফিসারের চেয়ে পুরানো দারোগা কনষ্টেবল বেশি যা জেলার অন্যান্য থানায় নেই। সে পরিপ্রেক্ষিতে বদলীর হিড়িকটা ফতুল্লায় বেশি হচ্ছে। এখানে এমনও পুলিশ আছেন যারা ৩ থেকে ৪ বার ঘুরেফিরে মধুর থানায় আসছেন। আবার এমনও অফিসার আছে এরা দীর্ঘদিন এই থানায় খেটে চলে গিয়ে নতুন করে আবার ডিউ নিয়ে আসছে। অনেকে একাধিক বার আসছে। এই মধুর থানার মায়া ছাড়তে পারেন না। অনেকেই চাকুরীর সুবাধে এই থানাধীন এলাকাই বাড়ি ঘর করে বসবাস করছেন। তাদের পারিবারিক ঠিক রাখতে এবং শুভাকাঙ্খিদের সাথে সখ্য রাখতে ঘুরে ফিরে এই ফতুল্লা মডেল থানাই যোগ দান করেন। ফতুল্লা মডেল থানায় কনষ্টেবল থেকে শুরু করে ইন্সপেক্টর পযর্ন্ত কয়েকজনই একাধিক বার ঘুরে ফিরে পদোন্নতি পেয়ে আবার নতুন ডিউ নিয়ে বিভিন্ন জনকে ম্যানেজ করে এই থানায় যোগদান করার একাধিক তথ্য রয়েছে।
ফতুল্লা থানার ওয়ারলেস অপরেটর থেকে শুরু করে অনেকেই এই থানায় দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী করে আসছে। এরা পুরানো হওয়ায় কনস্টেবলও দারোগারভাবে আছেন বলে সেবা নিতে আসা সাধারন জনগণ বলছেন। ফতুল্লা থানায় বেশ কয়েকজন পিএস আই রয়েছে এদের কাছ থেকে সাধারন মানুষ সেবার চেয়ে হয়রানি বেশি হতে হচ্ছে। নাম না বলতে ইচ্ছুক এক বাদী জানান, পুলিশ জনগনের বন্ধু কিন্তু এই কথা বর্তমান এস.পি মো. হারুন অর রশিদ এর বেলায় বললে মানায় কিন্তু ফতুল্লা থানায় কয়েকজন পুরানো পিএসআই রয়েছে এদের ব্যবহার দেখলে মনে হবে পুলিশ জনগনের দুশমন। জিডি করতে এলে ফতুল্লা থানায় টাকা ছাড়া স্বাক্ষর পাওয়া যায় না। যারা নতুন আসেন এদের কাছে কিছুটা সাধারন মানুষ সেবা পেলেও পুরানো কনস্টেবল ও এ.এস.আই ও এসআই এবং পিএসআই দ্বারা সহযোইগতার আসা করা যায় না। সেদিন নারায়ণগঞ্জ শহরের এক সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, ফতুল্লা মডেল থানায় একটা জিডি রুজু করতে গিয়ে তার কাছে নগদ ৫শ টাকা চায় ডিউটি অফিসার। যখন সে তার পরিচয় বললো তখন কোন কথা না বলে নানা অজুহাতে সময় কালক্ষেপন করে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু তিনি চলে আসার পরে বিড়বিড় করে কিছু একটা বলছেন পাশের অপারেটারের সাথে। সেদিনই তিনি বললেন জেলায় এত ভালো এস.পি থাকার পরেও এমন অবস্থা ফতুল্লা মডেল থানায়। তবে থানার অফিসার ইনচার্জ যতক্ষন থানার অফিসে বসা থাকেন ততক্ষন মনে হয় এই থানাই জেলার সেরা থানা । এমনটাই বলছেন সেবা নিতে আসা সাধারন জনগণ। ফতুল্লা মডেল থানাটিতে কতিপয় কয়েকজন কনষ্টেবল ও এ.এস.আই, পিএস.আই এবং এসআই আছে তাদের জন্য থানার দূর্নাম পোহাতে হয় অফিসার ইনচাজ আলহাজ¦ শাহ মোহম্মদ মঞ্জুর কাদের কে।
ফতুল্লা মডেল থানায় বেশ কয়েকজন দারোগা বদলী হয়েছে এবং অনেকের অর্ডার হয়েছে, তারা যে কোন সময় চলে যাবেন অন্যত্রয়।
এলকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবী যারা এই জেলায় দীর্ঘদিন ঘুরে ফিরে চাকুরী করে আসছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে পোষ্টি দিলে সাধারন মানুষ নতুন দের কাছ থেকে সঠিক সেবা পাবেন। যারা পুরানো তাদের সাথে অপরাধী ও বিএনপি জামায়াত এর সখ্যতা রয়েছে। সুতরাং জেলার আইন শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে বর্তমান সুযোগ্য পুলিশ সুপার তিনিই দেখবেন চিহ্নিত পুলিশ বদলী করবেন এমনটাই বলছেন সচেতন মহল। তিনি যোগদানের পর থেকেই জেলার আইন শৃঙ্খলা এবং শহরের ফুটপাত গামের্ন্টস অসন্তোষসহ এবং একটি সুষ্ঠ অবাধ নিরেপেক্ষ নির্বাচন জনগনকে উপহার দিতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি গাজীপুরের চেয়েও জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল শ্রেনির মানুষের কাছে।