নারায়ণগঞ্জ ০৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নিজের অপকর্ম ঢাকতে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সাগরের বিরুদ্ধে শামিম ঢালীর মানববন্ধন সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজি, বিচাররের দাবিতে মানববন্ধন রূপগঞ্জের ফকির ফ্যাশন লিঃ শ্রমিকদের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী তৎপর চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ আহত-৮ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামে, অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প সরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে- বিকেএমইএর সভাপতি নানা আয়োজনে রিয়াদে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

লোকনাথ আশ্রমের টাকা লুটপাটকারীদের গ্রেফতারে দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অক্টোবর ২০১৮
  • ১৯৩ বার পড়া হয়েছে

শহর প্রতিনিধি : সোনারগাঁয়ের বারদীতে লোকনাথ আশ্রমের টাকা লুটপাটকারীদের গ্রেফতার ও শান্তির দাবিতে মানববন্ধন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে লোকনাথ ব্রহ্মচারির ভক্তবৃন্দ।

বুধবার (৩ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে ওই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন, ডা. স্বপন শীল, স্বপন দাস, রতন বনিক, সুমিত রায়, সুমন কুমার সাহা, অসিত বনিক, বিশ্বজিত বনিক, নির্মল দাস, নারায়ণ সাহা ও নির্মূল কুমার সাহা প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, সোনারগাঁয়ের বারদীতে বিগত ১৫৬ বছর ধরে শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারির আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ আশ্রমে দেশ বিদেশের অনেকে ভক্তবৃন্দ অনেক অনুদান প্রদান করেন। এছাড়াও লোকনাথ ব্রহ্মচারির তিরোধান উৎসব, অন্ন প্রসন অনুষ্ঠানে প্রচুর অনুদান আসে এই আশ্রমে।
বক্তাদের দাবি, বিগত ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত শঙ্কর কুমার দে এই আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকাকালিন সময়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এ ছাড়াও আশ্রমের ভেতরে মাদকসেবীদের আড্ডাখানা সহ সন্ত্রাসীদের জন্য ক্লাবঘরও নির্মাণ করায় তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে লোকনাথের ভক্তবৃন্দসহ সোনারগাঁবাসী ব্যাপক আন্দোলন করেন এবং আশ্রম থেকে শঙ্কর কুমার দে’কে আশ্রম থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিলো।

তারা বলেন, ওই আন্দোলনের পর তৎকালিন জেলা প্রশাসক ওই আশ্রমের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং তার দায়িত্বের চার মাসের মধ্যে শঙ্কর কুমার দে চক্রের ব্যাপক লুটপাটের বিষয়টিও ধরা পড়ে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক রমেশ ঘোষ ও বিজয় কৃষ্ণ মোদির নেতৃত্বে গঠিত কমিটি’র কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
বক্তারা বলেন, রমেশ ঘোষ ও বিজয় কৃষ্ণ মোদির কমিটি দুই বছর পর্যন্ত ভালোভাবে পরিচালিত হচ্ছিলো। কিন্তু শঙ্কর কুমার দে’র পৌষ্য মাদকসেবী, সন্ত্রাসীরা আশ্রমের ভেতর ঢুকে ব্যাপক তা-ব চালায়। পরবর্তীতে উপদেষ্টা কমিটির কয়েকজন ব্যক্তি তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থের জন্য বিতর্কিত ব্যক্তি শঙ্কর কুমার দে’কে সদস্য সচিব পদে নিয়োগ প্রদান করেন।
তারা বলেন, বর্তমানে এই শঙ্কর কুমার দে’কে কেন্দ্র করে লোকনাথের ভক্তবৃন্দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে অনতিবিলম্বে শঙ্কর কুমারসহ তার দোসরদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণের মাধ্যমে আশ্রমের পবিত্রতা রক্ষার্থে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপার এগিয়ে আসবেন বলে আমরা আশা করছি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নিজের অপকর্ম ঢাকতে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সাগরের বিরুদ্ধে শামিম ঢালীর মানববন্ধন

লোকনাথ আশ্রমের টাকা লুটপাটকারীদের গ্রেফতারে দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি

আপডেট সময় : ০২:০৭:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অক্টোবর ২০১৮

শহর প্রতিনিধি : সোনারগাঁয়ের বারদীতে লোকনাথ আশ্রমের টাকা লুটপাটকারীদের গ্রেফতার ও শান্তির দাবিতে মানববন্ধন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে লোকনাথ ব্রহ্মচারির ভক্তবৃন্দ।

বুধবার (৩ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে ওই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন, ডা. স্বপন শীল, স্বপন দাস, রতন বনিক, সুমিত রায়, সুমন কুমার সাহা, অসিত বনিক, বিশ্বজিত বনিক, নির্মল দাস, নারায়ণ সাহা ও নির্মূল কুমার সাহা প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, সোনারগাঁয়ের বারদীতে বিগত ১৫৬ বছর ধরে শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারির আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ আশ্রমে দেশ বিদেশের অনেকে ভক্তবৃন্দ অনেক অনুদান প্রদান করেন। এছাড়াও লোকনাথ ব্রহ্মচারির তিরোধান উৎসব, অন্ন প্রসন অনুষ্ঠানে প্রচুর অনুদান আসে এই আশ্রমে।
বক্তাদের দাবি, বিগত ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত শঙ্কর কুমার দে এই আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকাকালিন সময়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এ ছাড়াও আশ্রমের ভেতরে মাদকসেবীদের আড্ডাখানা সহ সন্ত্রাসীদের জন্য ক্লাবঘরও নির্মাণ করায় তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে লোকনাথের ভক্তবৃন্দসহ সোনারগাঁবাসী ব্যাপক আন্দোলন করেন এবং আশ্রম থেকে শঙ্কর কুমার দে’কে আশ্রম থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিলো।

তারা বলেন, ওই আন্দোলনের পর তৎকালিন জেলা প্রশাসক ওই আশ্রমের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং তার দায়িত্বের চার মাসের মধ্যে শঙ্কর কুমার দে চক্রের ব্যাপক লুটপাটের বিষয়টিও ধরা পড়ে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক রমেশ ঘোষ ও বিজয় কৃষ্ণ মোদির নেতৃত্বে গঠিত কমিটি’র কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
বক্তারা বলেন, রমেশ ঘোষ ও বিজয় কৃষ্ণ মোদির কমিটি দুই বছর পর্যন্ত ভালোভাবে পরিচালিত হচ্ছিলো। কিন্তু শঙ্কর কুমার দে’র পৌষ্য মাদকসেবী, সন্ত্রাসীরা আশ্রমের ভেতর ঢুকে ব্যাপক তা-ব চালায়। পরবর্তীতে উপদেষ্টা কমিটির কয়েকজন ব্যক্তি তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থের জন্য বিতর্কিত ব্যক্তি শঙ্কর কুমার দে’কে সদস্য সচিব পদে নিয়োগ প্রদান করেন।
তারা বলেন, বর্তমানে এই শঙ্কর কুমার দে’কে কেন্দ্র করে লোকনাথের ভক্তবৃন্দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে অনতিবিলম্বে শঙ্কর কুমারসহ তার দোসরদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণের মাধ্যমে আশ্রমের পবিত্রতা রক্ষার্থে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপার এগিয়ে আসবেন বলে আমরা আশা করছি।