ফতুল্লা প্রতিনিধি :
ফতুল্লার তল্লা এলাকায় মানুষিক রোগী তার রোগের যন্ত্রনায় বিবেক হারিয়ে দুই পুলিশের মা নিজের গলায় ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনা ঘটেছে গতকাল সোমবার (৭ মে) সকালে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর মুখে চলছে নানা মুখে নানা আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ।
এলাকা সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লা থানাধীন তল্লা এলাকায় জায়গা কিনে বাসা বাড়ি করেছে মো. মুসলিম মিয়া। সে চাঁদপুর জেলা ও সদর থানাধীন বদুবিবিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলো। তার দুই ছেলে পুলিশ বাহিনীতে আছে। এরা হলো,ইব্রাহিম সৈকত এবং আরেক ভাই আনিসুর রহমান । তারা দুইভাই কনষ্টেবল পদে চাকুরী করে আসছে। মুসলিম মিয়ার স্ত্রী একজন মানুষিক রোগী। সে গতকাল (৭মে সোমবার) সকালে নির্জনে নিজ রুমে গলায় ধাড়ালো ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে গলা কেটে আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরাত হাল রির্পোট তৈরী করে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছে।
পুলিশ জানান, নিহত আমেনা বেগমের বয়স ৫৫ হবে। সে মানুষিক রোগী ছিলো। এর প্রমান হিসেবে চিকিৎসকের কাগজ তার কাছে দিয়েছে পরিবারের লোকজন। তার স্বামী মুসলিম মিয়া তিনিও বৃদ্ধ ব্যক্তি। সে নিজের গলায় নিজেই ছুড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এমনটাই পুলিশের কাছে বলছেন আত্মহরনকারীর পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যপারে ফতুল্লা মডেল থানায় বড় ছেলে পুলিশ সদস্য আনিসুর রহমান বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।
সংবাদ শিরোনাম ::
নিজের গলায় ছুড়ি দিয়ে ফতুল্লায় দুই পুলিশ সদস্যের মা আত্মহত্যা
- প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০১:৩৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মে ২০১৮
- ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ