বন্দরে দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয়েছেন সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৫)। উপজেলার চৌধুরিবাড়ি কলাবাগ এলাকায় রোববার সকালে এ হত্যাকান্ড ঘটে।
ঘটনার দায়ে অভিযুক্ত প্রেমিক ইকবালকে তানিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ পুলিশ আটক করেছে। নিহতের পরিবার পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবী করে আসামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ২০০৫ সালে পুরান বন্দর এলাকার তাজুল ইসলামের কন্যা তানিয়া আক্তারের সাথে কলাবাগ এলাকার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী নূর হোসেনের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের দুইটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। দেড় বছর আগে নূর হোসেনের বাড়ির নির্মান কাজের সময় তার স্ত্রী তানিয়ার সাথে টাইলস মিস্ত্রী ইকবাল মিয়ার মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ইকবাল মিয়ার স্ত্রী জর্ডান প্রবাসী। দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে সে একই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে।
পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ইকবাল মিয়া তানিয়াকে জিম্মি করে বিভিন্ন সময়ে নগদ টাকা আদায় করে আসছে। তানিয়ার শ্বশুর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও বিষয়টি জানতো। শনিবার রাতে ইকবাল মিয়া একই উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে আবারো টাকা চাইলে তানিয়া টাকা নেই বলে জানায়। ওই ক্ষোভের কারনে রাতের যে কোন সময় ইকবাল মিয়া বাড়িতে ঢুকে তানিয়াকে শারীরিক নির্যাতনসহ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এ সময় তানিয়ার গোঙানির শব্দে তার ঘুমন্ত কন্যা নুসরাত জেগে উঠে ইকবালকে পালিয়ে যেতে দেখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে পুলিশ ঘাতক ইকবাল মিয়াকে আটক করে। নিহত তানিয়ার পরিবার হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তসহ ঘাতক ইকবালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আবুল কালাম জানান, আটককৃত ইকবালের কাছ থেকে তানিয়ার মোবাইল ফোন উদ্ধারের বিষয়টি ও প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকান্ডের সাথে তার জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্তের পর যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।