শিশুটি বয়স মাত্র ৯ বছর । পাশ্ববর্তী বাড়ির দুই সন্তানের জনক আল আমিনকে চাচা বলে সম্বোধন করতো। অপরদিকে আল আমিনের সন্তানদের সাথেও মাঝে মধ্যে খেলা করতো শিশুটি । শুধু তা-ই নয় শিশুটি ওই বাসায় মাঝে মধ্যে রাতে ঘুমাতো।
লম্পট আল আমিন শিশুটিকে এরই মধ্যে ৪ বার ধর্ষণ করেছিল। কিন্তু ঘটনা ফাঁস হয় গত ৩০ নভেম্বর। এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে লম্পট আল আমিন শরীফকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানয় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ লম্পট আল আমিনকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, পাগলা মাহমুদপুরের তাইজুদ্দিন মার্কেট সংলগ্ন জামাল কামাললের বাড়িতে ভাড়া থাকে দুই সন্তানের জনক আল আমিন শরীফ। তার বাসার পাশে থাকেন শিশু নাদিয়ার পরিবার (ছদ্মনাম)। পাশ্ববর্তী বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদের শিশু নাদিয়া আল আমিন শরীফের সন্তানদের সাথে খেলাধুলা করতো।
আর শিশু নাদিয়া আল আমিনকে চাচা বলে সম্বোধন করতো। মাঝে মধ্যে আল আমিনের সন্তানদের সাথে খেলা করতে করতে ওই বাসাতেই ঘুমিয়ে পড়তো। গত ২৯ নভেম্বর রাতে শিশু নাদিয়া আল আমিননের সন্তানদের সাথে খেলা করতে করতে তার বাসাতেই ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন ৩০ নভেম্বর সকালে শিশুটি তার বাসায় এসে কান্না কাটি করে।
এসময় শিশুটি তার পরিবারকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। এতে শিশুটির পরিবার ধর্ষণের আলামত দেখতে পায়। শিশুটি তার পরিবারকে আরো জানায় যে, ইতিপূর্বে সে লম্পট আল আমিনের দ্বারা ৪ বার পাশবিকতার শিকার হয়েছিল।
এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। পুলিশ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করে গত বুধবার রাতে লম্পট আল আমিনকে গ্রেফতার করে।
লম্পট আল আমিন শরীফ পটুয়াখলী জেলার দশমিনা থানার চানপুরা গ্রামের আব্দুল মোতালেব শরীফের ছেলে বলে জানা গেছে। পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আল আমিনকে আদালতে পাঠিয়েছে।