সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জের শ্রমিক নেতা আলমগীর হোসেন কোন রাজতৈনিক দলের সাথে জড়িত না থাকলেও রাজনৈতিক মামলা তার পিছু ছাড়ছেনা। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তার বিরুদ্ধে ১৭ টি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা হয়। এসব মামলায় একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজত বাস করেন আলমগীর। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মিথ্যা মামলার হয়রানী থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলেছিলেন আলমগীর ও তার পরিবার। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় আলমগীর হোসেনকে আসামি করায় সে আশা গুড়েবালি হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই সানারপাড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় কিশোর ছায়েদুল। এ ঘটনায় গত ২৭ আগস্ট সাবেক এমপি শামীম ওসমানকে প্রধান করে ১০০ জনকে এজাহার নামীয় আসামি দিয়ে নিহতের বড় বোন রেহানা বেগম বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ৬৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে নায়াআটি মুক্তিনগর এলাকার মৃত অহিদ মিয়ার ছেলে বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান ড্রাইভার ইউনিয়নের(রেজি: নং-৬২৩) নির্দলীয় শ্রমিক সংগঠনের যুগ্নসম্পাদক আলমগীর হোসেনকে।
এবিষয়ে আলমগীরের পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বহুল আলোচিত ৭ হত্যা মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা ও তার ভাতিজা শাহজালাল বাদলের প্রতিপক্ষ হয়ে নাসিক ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচন করার পর থেকেই বিএনপি ও জামায়াত নেতা কর্মীদের পাশাপাশি আলমগীরকেও বিভিন্ন রাজনৈতিক হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলার আসামি করা হয়। গত ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত আলমগীরের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে ১৭ টি মামলা হয়। এসব মামলায় একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজত বাস করেন আলমগীর হোসেন। ব্যক্তিগত আক্রোশে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলার আসামি করে দীর্ঘদিন ধরে আলমগীরকে হয়রানী করে আসছে কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও শাহজালাল বাদলের প্রেতাতœা ৩ নং ওয়ার্ডের এক বিএনপি নেতা আলমগীরকে হত্যা মামলার আসামি করিয়ে আর্থিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তুলের তার পরিবার।
আলমগীর বলেন, আমাকে মামলার আসামি করার বিষয়টি জানতে পেরে আমার স্ত্রী নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আকবরের সাথে যোগাযোগ করতে তার অফিসে যায়। তখন আকবরের ছেলে রনি ও ফেরদৌস আমার স্ত্রীকে বলে ৫ লাখ টাকা দিলে মামলা থেকে নাম বাদ করিয়ে দিবে। এসময় আকবর অফিসে ছিলেন না। তবে তার দুই ছেলের এমন কথায় প্রতিয়মান হচ্ছে আমার কাছ থেকে অর্থিক ফায়দা হাসিল করতে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে বাদীকে প্ররোচনা দিয়ে আমাকে মালার আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাউলে আকবর বলেন, আমি মামলার বিষয়ে কিছু জানিনা। বাদী কাকে আসামি করবে না করবে এটা তার বিষয়। আমি বাদীকে চিনিনা। কাউকে আসামি করানো প্রশ্নই উঠেনা। তাছাড়া মামলা থেকে বাদ দেওয়ার এখতিয়ার আমার ছেলের নেই। তাই আলমগীরের স্ত্রীর কাছে আমার ছেলে টাকা দাবি করার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজনীতি না করেও মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা আলমগীর
- প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০৭:২৩:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- ৩৬ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ