ফতুল্লায় একই জমি দুই ব্যাক্তির কাছে বিক্রি করে প্রতারনার মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে চিহ্নিত প্রতারক ইকবাল হোসেন জনি তালুকদারসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতারনার স্বীকার ভোক্তভোগী মনির হোসেন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে মনির হোসেন জানান, ফতুল্লার কাশিপুর মৌজাস্থ সিএস-২৭৭, এসএ-১৯৩, আরএস-১০৫৬, খতিয়ান ভুক্ত সিএস ও এসএ- ৬৭৩, আরএস-নং দাগে জমির পরিমাণ ৬০ শতাংশ সম্পত্তির মূল মালিক বিবাদীর পিতা ইশবাল হোসেন জনির পিতাসহ তার দুই চাচা ও পাচঁ ফুফু পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে মালিক।
প্রতারক চক্রের অপর নারী সদস্য রহিমা খাতুন এবং নূর জাহান বেগম, রানি আক্তার গণদের নিকট হইতে বর্ণিত দাগের ৭.৩৬ শতাংশ সম্পত্তি আম মোক্তারনামা দলিল নং ১০৮৫৬ তারিখ ০৭/০৮/২০১১ ইং মূলে বিবাদী একক ভাবে বর্নিত দাগের ০৭.৩৬ শতাংশ সম্পত্তির মালিক বলে বিক্রয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি ক্রয়ের ইচ্ছা পোষন করলে বর্ণিত ০৭.৩৬ শতাংশ সম্পত্তির তৎকালিন বাজার মূল্য ৭ লঅখ ১৫ হাজার টাকা নির্ধারন করে ২০১১ সালে ফতুল্লা সাব-রেজিঃ অফিসে আম মোক্তারকৃত ০৭.৩৬ শতাংশ সম্পত্তির বায়না বাবদ ৫ লাখ টাকা উক্ত প্রতারকদের নিকট দেয়া হয়।
যার বায়না দালিল নং ১০০৩১, তারিখ ০৮/০৮/২০১১ ইং সম্পাদন করে। পরবর্তীতে বিবাদী বর্নিত সম্পত্তির কাগজপত্রে জটিলতা আছে বলে বায়নাকৃত সম্পত্তি সাব-কবলা দলিল না করে দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করিতে থাকে। এক পর্যায়ে বিগত ২০১১ সালের শেষের দিকে বিবাদীর জমির কাগজপত্রের জটিলতার কথা বলে আরও ১ লাখ টাকা বায়না স্বরুপ সর্ব মোট ৬ লাখ টাবা টাকা গ্রহন করে প্রতারকচক্র। বর্ণিত জমির মূল বাবদ অবশিষ্ট ১লাখ ১৫ হাজার টাকা উক্ত প্রতারকরা গ্রহন করে উল্লেখিত সম্পতি মনির হোসেনের অনুকুলে দিবে বলে বিভিন্ন সময় কালকেক্ষপনসহ প্রতারনা করে আসতেছে।
পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন, উল্লেখিত প্রতারকরা বর্ণিত সম্পত্তির বায়নাপত্র সম্পাদন করার পূর্বেই এবং তাহার ফুফু ও ফুফাতো ভাই শাহ পরান হোসেন দের নিকট হতে আম মোক্তারনামা গ্রহন করার পূর্বেই বর্নিত ০৭.৩৬ সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রয় করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতারকদের জিজ্ঞাসাকালে করিলে বায়নাকৃত সম্পত্তি সাব-কবলা দলিল করিয়া দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করে আসছিল। সর্ব শেষ গত ইং ১৯/১২/২০২২ তারিখে তার বায়নাকৃত সম্পত্তি আমার অনূকুলে সাব-কবলা দলিল করিয়া দিতে এবং বায়না বাবদ তার নিকট হইতে গ্রহনকৃত ৬ লাখ টাকা ফেরৎ প্রদান করিতে অস্বীকারসহ উল্টো বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছিল।
এ ঘটনায় উল্লেখিত প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভোক্তভোগী মনির হোসেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রেজাউল হক দিপু অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতারকদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।