সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা খাতুনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অনৈতিক কর্যকলাপ, অসদাচরণ, ভর্তি, কোচিং বাণিজ্য ও তার পদটিকে ভুয়া অখ্যায়িত করে অপসারণ দাবিতে মোঃ জহির উদ্দীন মন্ড নামে একজন গত ২৯’নভেম্বর অভিযোগটি করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিধিমোতাবেক বিদ্যালয়টির সহকারি প্রধান শিক্ষক ছিলেন মো: কামাল হোসেন। তিনি তার ছোট বোনের বিয়ে উপলক্ষে তিনদিনের ছুটি গেলে শিক্ষিকা দিলরুবা খাতুন স্কুল পরিচালনা কমিটির লোকজন ও প্রধান শিক্ষককে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষিকা হয়ে যান। যা এখনো বিধি মোতাবেক কার্যকর হয়নি। তবে তিনি বেতন ভাতাসহ সহকারি প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন।
এছাড়াও প্রতিবছর সেসন ফি, কোচিং, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায়, বাধ্যতামূলক স্কুল ডায়েরী বিক্রিসহ বাণিজ্য শুরু করেন। শিক্ষকদের তুচ্ছ তাচ্ছিল, অসাদচরণ করা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আওয়ামীলীগ নেতা হাজী কপিল উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি ও বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির ভুয়া সভাপতি সামছুল আলম ওরফে গোধুলী আলমের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় দিলরুবা খাতুন দাপটের সাথে অনিয়ম করে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিধি মোতাবেক বিদ্যালয়টির নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক মো: বশির উদ্দিন। সরকারিভাবে তার নামেই বেতন হচ্ছে। কিন্তু বশির উদ্দিনের চেয়ার দখল ও তাকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে চেয়ার দখল ও সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন দিলরুবা খাতুন।
সাধারণ শিক্ষিকা হিসেবে দিলরুবা খাতুন সরকারি ভাবে বেতন পাচ্ছেন ২৭’হাজার ৮’শ টাকা আর স্কুল থেকে পাওয়ার কথা ৮’হাজার নিচ্ছেন ১৪’হাজার টাকা। দিলরুবা খাতুনের বয়স চলে ৪৮ বছর। এখনো তিনি বিয়ে না করা নিয়েও স্কুলে নানা গুঞ্জন রয়েছে।
এবিষয়ে দিলরুবা খাতুন বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলে আমি এ দায়িত্ব ছেড়ে দিব। তবে ঘুষ দিয়ে পদে গ্রহণ ও অনৈতিক সুবিধা দিয়ে টিকে থাকার অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হকের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দাবিদার সামছুল আলমকে ফোন করলে তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।