নারায়ণগঞ্জ ০৮:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলের মিছিলে রিফাতের চমক সিদ্ধিরগঞ্জে সৃষ্টি যুব সংসদের উদ্যোগে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া সিদ্ধিরগঞ্জে সন্ত্রাস চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ আজাদের নির্দেশে কালাপাহাড়িয়ায় বিএনপির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রি-পেইড মিটার বাতিল চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম সিদ্ধিরগঞ্জের বিক্ষুব্দ গ্রাহকদের

ওয়াদা করেন নৌকায় ভোট দেবেন: শেখ হাসিনা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
  • ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : নৌকায় ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর শহরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় এ ভোট চান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা নৌকা মার্কা ভোট দিয়ে আমাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আগামীতে নৌকা মার্কা ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন কি না ওয়াদা চাই। আপনারা হাত তুলে ওয়াদা করেন।’

‘যশোরে জনসভা করতে পেরে আমি আনন্দিত’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যশোরে আমার নাড়ির টান আছে। এখানের মাটিতে আমার নানা শেখ জহুরুল হক শুয়ে আছেন। তিনি যশোরে চাকরি করতেন। আমার মায়ের বয়স যখন তিন বছর ছিল, তখন তিনি মারা যান। ওই সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা এতই খারাপ ছিল, এর কারণে এখানে আসা যায়নি। তাই আমার নানাকে এখানে দাফন করা হয়েছে। এখানে আমার নানার স্মরণে আইটি পার্ক করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো। যশোর থেকেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু করেছি। সর্বপ্রথম এখানে আইটি পার্ক হয়েছে।

বিএনপির সমোলোচনা করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন। এটা আওয়ামী লীগ সরকারই আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছে। আর বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় থাকতে কী দিয়েছে? দিয়েছে অস্ত্র, দিয়েছে খুন, দিয়েছে হত্যা। এ যশোরে শামসুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। মুকুলকে হত্যা করা হয়েছে। খুলনায় মঞ্জুরুল ইমাম, মানিক সাহা, বাবু… সাংবাদিকদের একে একে হত্যা করা হয়েছে। শুধু রক্ত আর হত্যা ছাড়া বিএনপি তো আর কিছুই দিতে পারেনি দেশের মানুষকে। আর নিজেরো লুটপাট করেছে। নিজেরা মানুষের অর্থ পাচার করেছে, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। নিজেদের উন্নয়ন করেছে।

যশোরে বিএনপি সরকার কোনো উন্নয়ন না করলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে যশোরের উন্নয়ন করেছে। পঁচাত্তরের পর এ দেশে আর কোনো উন্নয়ন হয়নি, কিন্তু আওয়ামী লীগ যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে তখন থেকে এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলেছি। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এই যশোর থেকে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম। এখানে নির্মাণ হয়েছে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি পার্ক; যেখানে দেড় থেকে দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। যেখানে বিদেশ থেকে অনেক বিনিয়োগ আসছে।

তিনি বলেন, ভাঙা-যশোর-বেনাপোল, খুলনা-যশোর-কুষ্টিয়া, যশোর-খুলনা-মংলা এ রাস্তাগুলো সব জাতীয় সড়কে উন্নীত করে দিচ্ছি এবং পদ্মা সেতু থেকে যাতে যশোরে সরাসরি আসতে পারেন। ভাঙা-যশোর রাস্তাও মহাসড়কে উন্নীত হবে। ২০১০ সালে যশোরে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৫শ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের প্রাথমিক কাজ এখন চলমান আছে। এটা আমরা নির্মাণ করে দিচ্ছি আপনাদের চিকিৎসাসেবা যাতে ভালো হয়। প্রত্যেকটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ বেডের ছিল, আমরা তা ৫০ বেডে উন্নীত করে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রিজার্ভ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা শুনছি। অনেকে প্রশ্ন করেন, রিজার্ভ গেল কোথায়? আমরা তো রিজার্ভ অপচয় করিনি। মানুষের কল্যাণে কাজে লাগিয়েছি। জ্বালানি তেল কিনতে হয়েছে, খাদ্যশস্য কিনেছি। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। করোনার টিকা ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেছি। এসব কাজে রিজার্ভ থেকে খরচ করতে হয়েছে আমাদের। কারণ আমরা সবসময় মানুষের কথা চিন্তা করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছি।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম,সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শামছুন্নাহার চাঁপা, সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু, আনিসুর রহমান, মেরিনা জাহান কবিতা, পারভিন জামান কল্পনা প্রমুখ।

আজ বেলা ১২টা ২২ মিনিটে আওয়ামী লীগের এ সমাবেশ শুরু হয়। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদার। এ সময় বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনসহ যশোর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল

ওয়াদা করেন নৌকায় ভোট দেবেন: শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০২:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : নৌকায় ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর শহরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় এ ভোট চান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা নৌকা মার্কা ভোট দিয়ে আমাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আগামীতে নৌকা মার্কা ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন কি না ওয়াদা চাই। আপনারা হাত তুলে ওয়াদা করেন।’

‘যশোরে জনসভা করতে পেরে আমি আনন্দিত’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যশোরে আমার নাড়ির টান আছে। এখানের মাটিতে আমার নানা শেখ জহুরুল হক শুয়ে আছেন। তিনি যশোরে চাকরি করতেন। আমার মায়ের বয়স যখন তিন বছর ছিল, তখন তিনি মারা যান। ওই সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা এতই খারাপ ছিল, এর কারণে এখানে আসা যায়নি। তাই আমার নানাকে এখানে দাফন করা হয়েছে। এখানে আমার নানার স্মরণে আইটি পার্ক করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো। যশোর থেকেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু করেছি। সর্বপ্রথম এখানে আইটি পার্ক হয়েছে।

বিএনপির সমোলোচনা করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন। এটা আওয়ামী লীগ সরকারই আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছে। আর বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় থাকতে কী দিয়েছে? দিয়েছে অস্ত্র, দিয়েছে খুন, দিয়েছে হত্যা। এ যশোরে শামসুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। মুকুলকে হত্যা করা হয়েছে। খুলনায় মঞ্জুরুল ইমাম, মানিক সাহা, বাবু… সাংবাদিকদের একে একে হত্যা করা হয়েছে। শুধু রক্ত আর হত্যা ছাড়া বিএনপি তো আর কিছুই দিতে পারেনি দেশের মানুষকে। আর নিজেরো লুটপাট করেছে। নিজেরা মানুষের অর্থ পাচার করেছে, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। নিজেদের উন্নয়ন করেছে।

যশোরে বিএনপি সরকার কোনো উন্নয়ন না করলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে যশোরের উন্নয়ন করেছে। পঁচাত্তরের পর এ দেশে আর কোনো উন্নয়ন হয়নি, কিন্তু আওয়ামী লীগ যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে তখন থেকে এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলেছি। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এই যশোর থেকে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম। এখানে নির্মাণ হয়েছে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি পার্ক; যেখানে দেড় থেকে দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। যেখানে বিদেশ থেকে অনেক বিনিয়োগ আসছে।

তিনি বলেন, ভাঙা-যশোর-বেনাপোল, খুলনা-যশোর-কুষ্টিয়া, যশোর-খুলনা-মংলা এ রাস্তাগুলো সব জাতীয় সড়কে উন্নীত করে দিচ্ছি এবং পদ্মা সেতু থেকে যাতে যশোরে সরাসরি আসতে পারেন। ভাঙা-যশোর রাস্তাও মহাসড়কে উন্নীত হবে। ২০১০ সালে যশোরে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৫শ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের প্রাথমিক কাজ এখন চলমান আছে। এটা আমরা নির্মাণ করে দিচ্ছি আপনাদের চিকিৎসাসেবা যাতে ভালো হয়। প্রত্যেকটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ বেডের ছিল, আমরা তা ৫০ বেডে উন্নীত করে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রিজার্ভ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা শুনছি। অনেকে প্রশ্ন করেন, রিজার্ভ গেল কোথায়? আমরা তো রিজার্ভ অপচয় করিনি। মানুষের কল্যাণে কাজে লাগিয়েছি। জ্বালানি তেল কিনতে হয়েছে, খাদ্যশস্য কিনেছি। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। করোনার টিকা ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেছি। এসব কাজে রিজার্ভ থেকে খরচ করতে হয়েছে আমাদের। কারণ আমরা সবসময় মানুষের কথা চিন্তা করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছি।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম,সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শামছুন্নাহার চাঁপা, সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু, আনিসুর রহমান, মেরিনা জাহান কবিতা, পারভিন জামান কল্পনা প্রমুখ।

আজ বেলা ১২টা ২২ মিনিটে আওয়ামী লীগের এ সমাবেশ শুরু হয়। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদার। এ সময় বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনসহ যশোর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।