সোনারগাঁ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জ জেলায় সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামের ভাড়াটিয়া জুয়েল ওরফে ড্যান্সার শুভ ড্যান্স ও মডেলিং এর অন্তরালে মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে সুন্দরী মেয়েদের সাপ্লাই দিয়ে থাকেন।
উপজেলার ঝাউচর এলাকায় ও তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে আলাপ-আলোচনায় বেরিয়ে আসে জুয়েল ওরফে শুভর অন্ধকার জগতের নানা কুকর্মের আমলনামা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক নিকট আত্মীয় জানান, বিগত এক থেকে দেড় বছর আগে আফতাব নগরের পুলিশ ফাড়ির মাধ্যমে জুয়েল ১০ জন মেয়ে নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়, তারপর তাকে নারী পাচারকারী হিসেবে মামলা দিয়ে জেলখানায় পাঠায় পুলিশ। নারী পাচারকারী মামলায় জুয়েল ১৮ দিন জেলখানায় ছিলেন। তারপর তার স্ত্রী তাকে জামিনে বের করে আনেন। এখনো জুয়েল এই মামলায় হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন।
গোপন সূত্রে জানা যায়,বতর্মানে জুয়েল সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চিটাগাং রোড এলাকায় বসবাস করে,মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে ও বিভিন্ন আবাসিক হোটেল সুন্দরী মেয়ে সাপ্লাই করে থাকে।
এ বিষয়ে তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,তার সাথে বিগত ৫ মাস যাবত কোনো যোগাযোগ নেই। এমনকি তার ভরণপোষণের দায়িত্বও জুয়েল ৫ মাস ধরে নেননি। তাদের সংসারে কয়েক দিন আগে একটি মেয়ে বাচ্চা হয়। ঐ দিন জুয়েল কে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার এক হোটেল থেকে তিনটি মেয়ের সাথে দেখতে পায় তার স্ত্রী। তারপর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় জুয়েলকে তার বাচ্চার ডেলিভারি খরচের জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরবর্তীতে জুয়েল কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এখন পর্যন্ত জুয়েলের সাথে তার স্ত্রীর কোন যোগাযোগ নাই বলে তিনি জানান।
মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন হোটেলে সুন্দরী মেয়েদের সাপ্লাই দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জুয়েল মোবাইল ফোনে বলেন,তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা। তিনি একজন সাংস্কৃতিক কর্মী।