নারায়ণগঞ্জ ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নিজের অপকর্ম ঢাকতে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সাগরের বিরুদ্ধে শামিম ঢালীর মানববন্ধন সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজি, বিচাররের দাবিতে মানববন্ধন রূপগঞ্জের ফকির ফ্যাশন লিঃ শ্রমিকদের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী তৎপর চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ আহত-৮ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামে, অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প সরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে- বিকেএমইএর সভাপতি নানা আয়োজনে রিয়াদে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

সোনারগাঁওয়ে ড্যান্স ও মডেলিং এর অন্তরালে নগ্নতা ও মাদক পাচার

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৩০৮ বার পড়া হয়েছে

সোনারগাঁ প্রতিনিধি :

নারায়ণগঞ্জ জেলায় সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামের ভাড়াটিয়া জুয়েল ওরফে ড্যান্সার শুভ ড্যান্স ও মডেলিং এর অন্তরালে মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে সুন্দরী মেয়েদের সাপ্লাই দিয়ে থাকেন।

উপজেলার ঝাউচর এলাকায় ও তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে আলাপ-আলোচনায় বেরিয়ে আসে জুয়েল ওরফে শুভর অন্ধকার জগতের নানা কুকর্মের আমলনামা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক নিকট আত্মীয় জানান, বিগত এক থেকে দেড় বছর আগে আফতাব নগরের পুলিশ ফাড়ির মাধ্যমে জুয়েল ১০ জন মেয়ে নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়, তারপর তাকে নারী পাচারকারী হিসেবে মামলা দিয়ে জেলখানায় পাঠায় পুলিশ। নারী পাচারকারী মামলায় জুয়েল ১৮ দিন জেলখানায় ছিলেন। তারপর তার স্ত্রী তাকে জামিনে বের করে আনেন। এখনো জুয়েল এই মামলায় হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন।
গোপন সূত্রে জানা যায়,বতর্মানে জুয়েল সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চিটাগাং রোড এলাকায় বসবাস করে,মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে ও বিভিন্ন আবাসিক হোটেল সুন্দরী মেয়ে সাপ্লাই করে থাকে।

এ বিষয়ে তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,তার সাথে বিগত ৫ মাস যাবত কোনো যোগাযোগ নেই। এমনকি তার ভরণপোষণের দায়িত্বও জুয়েল ৫ মাস ধরে নেননি। তাদের সংসারে কয়েক দিন আগে একটি মেয়ে বাচ্চা হয়। ঐ দিন জুয়েল কে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার এক হোটেল থেকে তিনটি মেয়ের সাথে দেখতে পায় তার স্ত্রী। তারপর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় জুয়েলকে তার বাচ্চার ডেলিভারি খরচের জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরবর্তীতে জুয়েল কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এখন পর্যন্ত জুয়েলের সাথে তার স্ত্রীর কোন যোগাযোগ নাই বলে তিনি জানান।

মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন হোটেলে সুন্দরী মেয়েদের সাপ্লাই দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জুয়েল মোবাইল ফোনে বলেন,তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা। তিনি একজন সাংস্কৃতিক কর্মী।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নিজের অপকর্ম ঢাকতে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সাগরের বিরুদ্ধে শামিম ঢালীর মানববন্ধন

সোনারগাঁওয়ে ড্যান্স ও মডেলিং এর অন্তরালে নগ্নতা ও মাদক পাচার

আপডেট সময় : ১২:২১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

সোনারগাঁ প্রতিনিধি :

নারায়ণগঞ্জ জেলায় সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামের ভাড়াটিয়া জুয়েল ওরফে ড্যান্সার শুভ ড্যান্স ও মডেলিং এর অন্তরালে মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে সুন্দরী মেয়েদের সাপ্লাই দিয়ে থাকেন।

উপজেলার ঝাউচর এলাকায় ও তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে আলাপ-আলোচনায় বেরিয়ে আসে জুয়েল ওরফে শুভর অন্ধকার জগতের নানা কুকর্মের আমলনামা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক নিকট আত্মীয় জানান, বিগত এক থেকে দেড় বছর আগে আফতাব নগরের পুলিশ ফাড়ির মাধ্যমে জুয়েল ১০ জন মেয়ে নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়, তারপর তাকে নারী পাচারকারী হিসেবে মামলা দিয়ে জেলখানায় পাঠায় পুলিশ। নারী পাচারকারী মামলায় জুয়েল ১৮ দিন জেলখানায় ছিলেন। তারপর তার স্ত্রী তাকে জামিনে বের করে আনেন। এখনো জুয়েল এই মামলায় হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন।
গোপন সূত্রে জানা যায়,বতর্মানে জুয়েল সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চিটাগাং রোড এলাকায় বসবাস করে,মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে ও বিভিন্ন আবাসিক হোটেল সুন্দরী মেয়ে সাপ্লাই করে থাকে।

এ বিষয়ে তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,তার সাথে বিগত ৫ মাস যাবত কোনো যোগাযোগ নেই। এমনকি তার ভরণপোষণের দায়িত্বও জুয়েল ৫ মাস ধরে নেননি। তাদের সংসারে কয়েক দিন আগে একটি মেয়ে বাচ্চা হয়। ঐ দিন জুয়েল কে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার এক হোটেল থেকে তিনটি মেয়ের সাথে দেখতে পায় তার স্ত্রী। তারপর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় জুয়েলকে তার বাচ্চার ডেলিভারি খরচের জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরবর্তীতে জুয়েল কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এখন পর্যন্ত জুয়েলের সাথে তার স্ত্রীর কোন যোগাযোগ নাই বলে তিনি জানান।

মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন হোটেলে সুন্দরী মেয়েদের সাপ্লাই দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জুয়েল মোবাইল ফোনে বলেন,তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা। তিনি একজন সাংস্কৃতিক কর্মী।