নারায়ণগঞ্জ ০১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে নবীন বরণ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত নিতাইগঞ্জে গুদামে বিষ্ফোরণে নিহত ১, আহত ১০ পাসপোর্ট দালাল চক্রের ১৪ জন গ্রেপ্তার আড়াইহাজারে দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ১০ হাজার পিস ইয়াবা সহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার চাঁদার দাবিতে হামলা সজুকে প্রধান করে  ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ডিবি পরিচয়ে লুন্টিত ১৯ গরু উদ্ধার ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার সাংবাদিক সম্মেলনের ১ বছর পর ছাদ থেকে পরে কাউন্সিলর বাদলের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু কাদিয়ানীদের সালানা জলাস বন্ধের দাবিতে মহসড়কে বিক্ষোভ আড়াইহাজারে সাংবাদিক ফরহাদ পাঠানের ভাইয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা

বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকার স্বর্ণ পাচার হয়: বাজুস

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : সারা দেশের জল, স্থল ও আকাশপথ ব্যবহার করে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ চোরাই স্বর্ণালংকার ও বার বাংলাদেশে আসছে। বছর শেষে চোরাচালানের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এসব স্বর্ণের প্রায় পুরোটাই আবার প্রতিবেশী দেশে পাচার হয়ে যায়। অর্থাৎ চোরাকারবারিরা বাংলাদেশকে স্বর্ণ চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।

গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। দেশের জুয়েলারি খাতের অস্থিরতা ও চোরাচালান বন্ধে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জোরালো অভিযানের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে সংগঠনটি।

বাজুস নেতারা জানান, গোয়েন্দা তথ্য, স্বর্ণ চোরাচালান-সম্পর্কিত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য ও নিজস্ব পর্যালোচনার ভিত্তিতে এ অনুমাননির্ভর হিসাব তৈরি করেছেন তারা। তবে তারা মনে করেন, এ হিসাব সর্বনিম্ন। আদতে দেশে আরো বেশি স্বর্ণ চোরাচালান হয়ে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাজুসের পরিচালক এনামুল হক খান। উপস্থিত ছিলেন বাজুসের যুগ্ম সম্পাদক বিধান মালাকার, পরিচালক ইকবাল উদ্দিন, সদস্য স্বপন চন্দ্র কর্মকার, বিকাশ ঘোষ, বাবুল রহমান ও নজরুল ইসলাম।

এনামুল হক খান বলেন, চোরাকারবারিরা বাংলাদেশকে স্বর্ণ পাচারের নিরাপদ পথ হিসেবে ব্যবহার করে। এটা কথার কথা নয়, প্রতিষ্ঠিত সত্য। আমাদের দেশকে ব্যবহার করে প্রতিবেশী একটি দেশে স্বর্ণ পাচার হয়। এটা বন্ধ করতেই হবে। তবে শুধু আইন প্রয়োগ করে চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন এনামুল হক। তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তত্পর। তাদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এজন্য তাদের প্রশিক্ষণ ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দেয়ার পাশাপাশি জব্দ করা স্বর্ণের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পুরস্কার হিসেবে দেয়ার প্রস্তাব করেন বাজুস নেতারা। চোরাচালান বন্ধে প্রয়োজনে আরো কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাজুসকে সম্পৃক্ত করে আইন প্রয়োগকারী সব দপ্তরের সমন্বয়ে চোরাচালানবিরোধী সেল গঠনের পরামর্শ দেন তারা।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে নবীন বরণ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকার স্বর্ণ পাচার হয়: বাজুস

আপডেট সময় : ০৭:২১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : সারা দেশের জল, স্থল ও আকাশপথ ব্যবহার করে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ চোরাই স্বর্ণালংকার ও বার বাংলাদেশে আসছে। বছর শেষে চোরাচালানের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এসব স্বর্ণের প্রায় পুরোটাই আবার প্রতিবেশী দেশে পাচার হয়ে যায়। অর্থাৎ চোরাকারবারিরা বাংলাদেশকে স্বর্ণ চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।

গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। দেশের জুয়েলারি খাতের অস্থিরতা ও চোরাচালান বন্ধে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জোরালো অভিযানের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে সংগঠনটি।

বাজুস নেতারা জানান, গোয়েন্দা তথ্য, স্বর্ণ চোরাচালান-সম্পর্কিত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য ও নিজস্ব পর্যালোচনার ভিত্তিতে এ অনুমাননির্ভর হিসাব তৈরি করেছেন তারা। তবে তারা মনে করেন, এ হিসাব সর্বনিম্ন। আদতে দেশে আরো বেশি স্বর্ণ চোরাচালান হয়ে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাজুসের পরিচালক এনামুল হক খান। উপস্থিত ছিলেন বাজুসের যুগ্ম সম্পাদক বিধান মালাকার, পরিচালক ইকবাল উদ্দিন, সদস্য স্বপন চন্দ্র কর্মকার, বিকাশ ঘোষ, বাবুল রহমান ও নজরুল ইসলাম।

এনামুল হক খান বলেন, চোরাকারবারিরা বাংলাদেশকে স্বর্ণ পাচারের নিরাপদ পথ হিসেবে ব্যবহার করে। এটা কথার কথা নয়, প্রতিষ্ঠিত সত্য। আমাদের দেশকে ব্যবহার করে প্রতিবেশী একটি দেশে স্বর্ণ পাচার হয়। এটা বন্ধ করতেই হবে। তবে শুধু আইন প্রয়োগ করে চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন এনামুল হক। তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তত্পর। তাদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এজন্য তাদের প্রশিক্ষণ ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দেয়ার পাশাপাশি জব্দ করা স্বর্ণের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পুরস্কার হিসেবে দেয়ার প্রস্তাব করেন বাজুস নেতারা। চোরাচালান বন্ধে প্রয়োজনে আরো কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাজুসকে সম্পৃক্ত করে আইন প্রয়োগকারী সব দপ্তরের সমন্বয়ে চোরাচালানবিরোধী সেল গঠনের পরামর্শ দেন তারা।