নারায়ণগঞ্জ ১২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কালাপাহাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলের মিছিলে রিফাতের চমক সিদ্ধিরগঞ্জে সৃষ্টি যুব সংসদের উদ্যোগে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া সিদ্ধিরগঞ্জে সন্ত্রাস চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ আজাদের নির্দেশে কালাপাহাড়িয়ায় বিএনপির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

সিদ্ধিরগঞ্জে নির্বাচনি উত্তেজনা ছড়াচ্ছে কিশোরগ্যাং

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে সিদ্ধিরগঞ্জে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোরগ্যাং সদস্যরা। নির্বাচনী মাঠ গরম করতে হাইব্রিড ও বিতর্কিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা কিশোরগ্যাং সদস্যদের নামিয়েছেন মাঠে। তারা প্রতিপক্ষ প্রার্থীর ব্যানার, পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা, প্রচার, প্রচারণায় বাধাসহ দিচ্ছে হুমকি ধমকি। ফলে নির্বাচন ঘনিয়ে আসার পাশাপাশি বাড়ছে উত্তেজনা।
গত ত্রিশ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকে সিটির সিদ্ধিরগঞ্জের দশটি ওয়ার্ড এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন প্রার্থীরা শুরু করেছেন উঠান বৈঠক, গণসংযোগ, ভোটারদের সঙ্গে করছেন কূশল বিনিময় ও মিটিং মিছিল। পরিচিতির জন্য লাগিয়েছেন ব্যানার পোষ্টার। এপর্যন্ত দশটি ওয়ার্ডে অর্ধশতাধিক প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। তার মধ্যে প্রচারণায় তংপর হাইব্রিডরা। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের পশ্রয়ে দলীয় সমর্থন পেতে মরিয়া হয়েঠেছে বিএনপি থেকে আওয়ামীগে মিশে যাওয়া হাইব্রিড কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এতে তৃণমূলে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। বাড়ছে দলীয় কোন্দল। অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দলে নির্বাচনি সুবিধা নিচ্ছে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানা আওয়ামীলীগের এক নেতা জানান, দলীয় কোন্দলের কারণে গত সিটি নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জের দুই, পাঁচ ও নয় নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির ইকবাল হোসেন, গোলাম মোহাম্মদ সাদরিল ও ইসরাফিল প্রধান কাউন্সিলর নির্বাচত হয়। তিনটি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে এক,দুই ও তিন নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত মাকসুদা মোজাফ্ফর এবং সাত,আট নয় নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয় বিএনপি নেত্রী আয়েশা আক্তার দিনা। দলীয় কোন্দলের অবসান ও যোগ্য প্রার্থীকে দলীয় সমর্থন না দিলে আসছে নির্বাচনেও ওইসব ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীকে পরাজিত করে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা জয় ছিনিয়ে নিবে।
অভিযোগ জানা গেছে, বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমতাসীন দলের সমালোচিত বর্তমান কিছু কাউন্সিলর বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের ওয়ার্ডে যারা প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দিয়ে প্রচরণায় নেমেছেন তাদেরকে নির্বাচন না করার জন্য দিচ্ছেন হুমকি ধমটি। নতুন প্রার্থীদের পিছনে লেলিয়ে দিয়েছেন কিশোরগ্যাং সদস্যদের। এসব কিশোরগ্যাং সদস্যরা প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের বাড়ির সামনে মোটরসাইকেল মোহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। ছিঁেড় ফেলছে ব্যানার ও পোষ্টার। প্রচারণায় দিচ্ছে বাধা। নির্বাচন থেকে সড়ে না দাঁড়ালে প্রাণ নাশের হুমকিও দিচ্ছে। মারধর করছেন প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের। তাই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কোন কোন প্রার্থী থানায় জিডিও করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনি সংঘাতের অসঙ্কা রয়েছে এক,তিন,চার,ছয় ও আট নম্বর ওয়ার্ডে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুকিপূর্ণ ছয় ও তিন নম্বর ওয়ার্ড। ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর থানা যুবলীগের আহবায়ক মতিউর রহমান মতি ও সাবেক কাউন্সিলর জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে আধিপত্যের লড়াই। তারা দুইজনই এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কেউ কাউকে চুল পরিমাণ ছাড় দিতে নারাজ। তাই এই দুই শক্তিশালী প্রতিদ্বদ্ধির মধ্যে যেকোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কালাপাহাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত 

সিদ্ধিরগঞ্জে নির্বাচনি উত্তেজনা ছড়াচ্ছে কিশোরগ্যাং

আপডেট সময় : ০৮:২৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে সিদ্ধিরগঞ্জে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোরগ্যাং সদস্যরা। নির্বাচনী মাঠ গরম করতে হাইব্রিড ও বিতর্কিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা কিশোরগ্যাং সদস্যদের নামিয়েছেন মাঠে। তারা প্রতিপক্ষ প্রার্থীর ব্যানার, পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা, প্রচার, প্রচারণায় বাধাসহ দিচ্ছে হুমকি ধমকি। ফলে নির্বাচন ঘনিয়ে আসার পাশাপাশি বাড়ছে উত্তেজনা।
গত ত্রিশ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকে সিটির সিদ্ধিরগঞ্জের দশটি ওয়ার্ড এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন প্রার্থীরা শুরু করেছেন উঠান বৈঠক, গণসংযোগ, ভোটারদের সঙ্গে করছেন কূশল বিনিময় ও মিটিং মিছিল। পরিচিতির জন্য লাগিয়েছেন ব্যানার পোষ্টার। এপর্যন্ত দশটি ওয়ার্ডে অর্ধশতাধিক প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। তার মধ্যে প্রচারণায় তংপর হাইব্রিডরা। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের পশ্রয়ে দলীয় সমর্থন পেতে মরিয়া হয়েঠেছে বিএনপি থেকে আওয়ামীগে মিশে যাওয়া হাইব্রিড কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এতে তৃণমূলে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। বাড়ছে দলীয় কোন্দল। অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দলে নির্বাচনি সুবিধা নিচ্ছে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানা আওয়ামীলীগের এক নেতা জানান, দলীয় কোন্দলের কারণে গত সিটি নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জের দুই, পাঁচ ও নয় নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির ইকবাল হোসেন, গোলাম মোহাম্মদ সাদরিল ও ইসরাফিল প্রধান কাউন্সিলর নির্বাচত হয়। তিনটি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে এক,দুই ও তিন নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত মাকসুদা মোজাফ্ফর এবং সাত,আট নয় নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয় বিএনপি নেত্রী আয়েশা আক্তার দিনা। দলীয় কোন্দলের অবসান ও যোগ্য প্রার্থীকে দলীয় সমর্থন না দিলে আসছে নির্বাচনেও ওইসব ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীকে পরাজিত করে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা জয় ছিনিয়ে নিবে।
অভিযোগ জানা গেছে, বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমতাসীন দলের সমালোচিত বর্তমান কিছু কাউন্সিলর বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের ওয়ার্ডে যারা প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দিয়ে প্রচরণায় নেমেছেন তাদেরকে নির্বাচন না করার জন্য দিচ্ছেন হুমকি ধমটি। নতুন প্রার্থীদের পিছনে লেলিয়ে দিয়েছেন কিশোরগ্যাং সদস্যদের। এসব কিশোরগ্যাং সদস্যরা প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের বাড়ির সামনে মোটরসাইকেল মোহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। ছিঁেড় ফেলছে ব্যানার ও পোষ্টার। প্রচারণায় দিচ্ছে বাধা। নির্বাচন থেকে সড়ে না দাঁড়ালে প্রাণ নাশের হুমকিও দিচ্ছে। মারধর করছেন প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের। তাই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কোন কোন প্রার্থী থানায় জিডিও করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনি সংঘাতের অসঙ্কা রয়েছে এক,তিন,চার,ছয় ও আট নম্বর ওয়ার্ডে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুকিপূর্ণ ছয় ও তিন নম্বর ওয়ার্ড। ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর থানা যুবলীগের আহবায়ক মতিউর রহমান মতি ও সাবেক কাউন্সিলর জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে আধিপত্যের লড়াই। তারা দুইজনই এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কেউ কাউকে চুল পরিমাণ ছাড় দিতে নারাজ। তাই এই দুই শক্তিশালী প্রতিদ্বদ্ধির মধ্যে যেকোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।