নারায়ণগঞ্জ ১১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কালাপাহাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের দোয়া মাহফিল সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলের মিছিলে রিফাতের চমক সিদ্ধিরগঞ্জে সৃষ্টি যুব সংসদের উদ্যোগে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া সিদ্ধিরগঞ্জে সন্ত্রাস চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ আজাদের নির্দেশে কালাপাহাড়িয়ায় বিএনপির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

পরকীয়ার জেরে ফতুল্লায় সুজন ফকির হত্যা গ্রেপ্তার দুই

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
  • ১৮৬ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :ফতুল্লায় মিশুক চালক সুজন ফকির (৪৫) হত্যার পরিকল্পনাকারীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার ভোরে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় এলাকায় র‌্যাব-১১ ও ৫ এর একটি চৌকস দল যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাব-১১ এর সদর দফতরে সাংবাদিক সমম্মেলনে এতথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ড কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা।

গ্রেপ্তারা হলেন, হাত্যার পরিকল্পনাকারী নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানার ডুমরাই সরকার পাড়া গ্রামের আফাজের ছেলে মোঃ আব্দুল মজিদ (৩৭), হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারী একই এলাকার মো: মহাকাত এর ছেলে মোঃ মজজেম হোসেন (২৮)।

নিহত সুজন ফকির নাটোর জেলার ভুলুদাসপুর থানার রামাগাড়ি এলাকার আমজাদ হোসেন টগরের ছেলে। তিনি ফতুল্লার নবীনগর এলাকায় শাহ আলমের বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। গত ১৬ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সুজন ফকিরকে হত্যার ঘটনায় ছেলে সজিব ফকির বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।

র‌্যাব অধিনায়ক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, হত্যার পরিকল্পনাকারী আব্দুল মজিদের স্ত্রীর সঙ্গে সুজন ফকিররের বিবাহ বর্হিভুত সম্পর্ক ছিল। এতে তার দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি ঘটে। যেকারণে ৫ অক্টোবর আব্দুল মজিদের স্ত্রী কাউকে কিছু না বলে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে আব্দুল মজিদের মনে সন্দেহ হয় তার স্ত্রী সুজন ফকিরের হেফাজতে রয়েছে। তখন থেকেই সে তার ভাতিজা মোঃ মজজেম হোসেনকে নিয়ে সুজন ফকিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই অংশ হিসেবে মজজেম হোসেন তার খালাতো ভাই হাসানকে (২২) সঙ্গে নিয়ে নাটোর থেকে নারায়ণগঞ্জ আসে ঘটনার আগের রাতে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ঘটনার দিন সকালে সুজন ফকিরের বর্তমান ঠিকানায় যায়। অন্যদিকে আব্দুল মজিদ মোবাইল ফোনে সুজনকে মজজেম এর সঙ্গে দেখা করতে বলে। ভিকটিম সুজন ফকির মজজেম এর সঙ্গে দেখা করতে আসলে কথা আছে বলে অটোরিক্সায় করে নয়াবাজার এলাকায় নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করে। আসামিদের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কালাপাহাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত 

পরকীয়ার জেরে ফতুল্লায় সুজন ফকির হত্যা গ্রেপ্তার দুই

আপডেট সময় : ১২:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :ফতুল্লায় মিশুক চালক সুজন ফকির (৪৫) হত্যার পরিকল্পনাকারীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার ভোরে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় এলাকায় র‌্যাব-১১ ও ৫ এর একটি চৌকস দল যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাব-১১ এর সদর দফতরে সাংবাদিক সমম্মেলনে এতথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ড কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা।

গ্রেপ্তারা হলেন, হাত্যার পরিকল্পনাকারী নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানার ডুমরাই সরকার পাড়া গ্রামের আফাজের ছেলে মোঃ আব্দুল মজিদ (৩৭), হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারী একই এলাকার মো: মহাকাত এর ছেলে মোঃ মজজেম হোসেন (২৮)।

নিহত সুজন ফকির নাটোর জেলার ভুলুদাসপুর থানার রামাগাড়ি এলাকার আমজাদ হোসেন টগরের ছেলে। তিনি ফতুল্লার নবীনগর এলাকায় শাহ আলমের বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। গত ১৬ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সুজন ফকিরকে হত্যার ঘটনায় ছেলে সজিব ফকির বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।

র‌্যাব অধিনায়ক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, হত্যার পরিকল্পনাকারী আব্দুল মজিদের স্ত্রীর সঙ্গে সুজন ফকিররের বিবাহ বর্হিভুত সম্পর্ক ছিল। এতে তার দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি ঘটে। যেকারণে ৫ অক্টোবর আব্দুল মজিদের স্ত্রী কাউকে কিছু না বলে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে আব্দুল মজিদের মনে সন্দেহ হয় তার স্ত্রী সুজন ফকিরের হেফাজতে রয়েছে। তখন থেকেই সে তার ভাতিজা মোঃ মজজেম হোসেনকে নিয়ে সুজন ফকিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই অংশ হিসেবে মজজেম হোসেন তার খালাতো ভাই হাসানকে (২২) সঙ্গে নিয়ে নাটোর থেকে নারায়ণগঞ্জ আসে ঘটনার আগের রাতে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ঘটনার দিন সকালে সুজন ফকিরের বর্তমান ঠিকানায় যায়। অন্যদিকে আব্দুল মজিদ মোবাইল ফোনে সুজনকে মজজেম এর সঙ্গে দেখা করতে বলে। ভিকটিম সুজন ফকির মজজেম এর সঙ্গে দেখা করতে আসলে কথা আছে বলে অটোরিক্সায় করে নয়াবাজার এলাকায় নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করে। আসামিদের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।