নারায়ণগঞ্জ ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত রিয়াদে সিলেট সদর উপজেলা প্রবাসীদের উদ্যোগে সংবর্ধণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইনভেস্টার নজরুল ইসলামের রিয়াদ গালফ টুলেডো রেষ্টুরেন্টে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

আড়াইহাজারে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ইনডেমনিটি দিয়েছিল জিয়াউর রহমান

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৭:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

আড়াইহাজার  সংবাদদাতা:
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান এমপি বলেছেন, আজ এই জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশাপাশি স্মরণ করছে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভি রহমানসহ ২৪টি ঝরে যাওয়া প্রানকেও। আপনারা যেভাবে আমাকে সম্ভাষণ করেছেন আমি শ্রদ্ধাভরে আপনাদের স্যালুট জানাই। আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। আমার অহংকার একটি জায়গায়, আমি বাঙালি। আমি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে জন্মেছি। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকের সন্তান। এটা আমি বুক ফুলিয়ে মাথা উচু করে বলতে পারি। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের জন্য আমি রক্ত দিতেও প্রস্তুত। এই জাতির স্রষ্ঠার নাম কী, প্রতিষ্ঠাতার নাম কী আমরা যেন তা ভুলে না যাই। কোথায় কীভাবে কথা বলতে হবে বুঝে শুনে বলতে হবে।
আমরা রাজনীতি করতে এসেছি মশকরা করতে আসি নাই। আমরা রাজনৈতিক কর্মী। জেলে থাকবো, মামলা খাবো। বহু মামলার শিকার হয়েছি।

তিনি শনিবার বিকালে আড়াইহাজার উপজেলা যুবলীগের উদ্যেগে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও নিহতের স্বরনে উপজেলার এস এম মাযহারুল হক অডিটরিময়ামে আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্য এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি যখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়ি। সেই ৯০ এর দশক থেকে আমি বাবু ভাইকো চিনি। ইতিহাস কথা বলবে। সূর্যকে কোন মেঘ ঢেকে রাখতে পারে না।

এটা বঙ্গবন্ধুর রক্তের বাংলাদেশ এটা ভুলে যাবেন না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে থাকতেন, বঙ্গভবনে থাকেন নি। রাষ্ট্রের অর্থ তিনি নষ্ট করেন নি। সাধারণ মানুষের মতই তিনি ভাত খেতেন, পোলাও মাংস খেতেন না। ভুলে যেন না যাই, কার জন্য রাজনীতি করি৷

বিশ্বাসঘাতকেরা এখনও আছে। তারা পুরোপুরি শেষ হয় নাই৷ যারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নির্বংশ করতে চেয়েছে তারা এখনও আছে। আমাদের বঙ্গবন্ধুর মত ভাবতে হবে, তার কন্যা শেখ হাসিনার মত ভবতে হবে। অন্য কোন ভাবনা এই বাংলার মাটিতে হবে না। আওয়ামী লীগে মুজিবকোট পড়ে পদ নিয়ে নেতা সেজে ভাব, অনেক বড় নেতা হয়েছি। এইসব এই বাংলাদেশে চলবে না। সাধারণভাবে চলাফেরার চেষ্টা করুন। আমরা সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের পয়সা দিয়ে চলি।

প্রতিমন্তী বলেন, চিৎকার করলেই কী নেতা। আমার চেয়ে জোরে কেউ চিৎকার করতে পারবে না৷ তাহলে কী আমিই সবচেয়ে বড় নেতা, মোটেই নয়। আমি শুনতে এসেছি। আমি শিখতে ও দেখতে এসেছি। আমি বাবু ভাইকে দেখতে এসেছি। আমাদের রক্তের গ্রুপ এক। এই রক্ত আপোষ করেনা, বেইমানি করে না।

২০০১ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করি। তখন বাবু ভাইকে ভোট দিয়েছিলাম কাউন্সিলর হিসেবে। বাবু কারাগারে থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। দয়া করে কেউ ভোট দেয়নি।

মন্ত্রী হওয়া আমার স্বপ্ন নয়, কখনও ছিল না। আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হতে চাই। আগে নিজেকে দেখুন চিনুন। কথা বলার সময় সাবধানে বলবেন। ভুল কথা বললে কানে লাগে। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে হয়েছিল, অন্য কোথাও না। এত নেতা হয়েছি আমরা, এত বড় বড় পদ আমাদের কী বলবো। বঙ্গবন্ধু কী গাড়িতে উঠেছিলেন। কার টাকার এই গাড়ি। বঙ্গবন্ধুর রক্ত আদর্শ ও তার অস্তিত্বের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা, তাকে তো কোনদিন প্যাশন করতে দেখলাম না।

বেগম জিয়াই জিয়া হত্যাকান্ডের প্রধম কুশীলব। জিয়াকে হত্যা না করা হলে বা জিয়া না মরলে বেগম জিয়া কী প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন।

বঙ্গবন্ধুকে কী অপরাধে হত্যা করা হল। কেন বঙ্গবন্ধু বঙ্গভবনে থাকলেন না, ৩২ নম্বরের বাড়িতে থাকলেন। এই কী ছিল অপরাধ। কেন পাকিস্তানের কারাগারে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ফাঁসির কাষ্টে দাড়িয়েও তিনি আপোষ করলেন না। এটাই কী ছিল তার অপরাধ।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ইনডেমনিটি দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কী এই বাললার মাটিতে হত। শেখ হাসিনা তা করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কী বাংলার মাটিতে হত, কারও সাহস ছিল। শেখ হাসিনা করেছেন। আমি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই। আমার চিৎকার যেন আমার মা শেখ হাসিনা শোনেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্বে করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আহাম্মেদুল কবির উজ্জল। প্রধানন আলোচক ছিলেন সংসদ সদস্য আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম বাবু।
প্রধান আলোচক এর বক্তব্যে সাংসদ আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু বলেন,ভয়াল ২১ আগস্টের কথা মনে পড়লে এখনও গাঁ শিউরে ওঠে। সেদিনের গ্রেনেডের স্পিলিন্টা এখনও শরীরে নিয়ে বেঁচে আছি। জীবন বাজি রেখে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে মানব ঢাল তৈরি করে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। আল্লাহর অশেষ রহমতে আজ ও বেঁচে আছি আপনাদের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আড়াইহাজারের আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। কোনো অপশক্তি এই ঐক্য নষ্ট করতে পারবে না।তিনি বলেন,২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। এখনও যারা দেশের বাইরে পলাতক রয়েছে তাদের দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করে শাস্তি নিশ্চিত করতে জোর দাবি জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক ছিলেন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক সুব্রত পালসহ দলীয় নেতা কর্মীরা।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

আড়াইহাজারে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ইনডেমনিটি দিয়েছিল জিয়াউর রহমান

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১

আড়াইহাজার  সংবাদদাতা:
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান এমপি বলেছেন, আজ এই জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশাপাশি স্মরণ করছে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভি রহমানসহ ২৪টি ঝরে যাওয়া প্রানকেও। আপনারা যেভাবে আমাকে সম্ভাষণ করেছেন আমি শ্রদ্ধাভরে আপনাদের স্যালুট জানাই। আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। আমার অহংকার একটি জায়গায়, আমি বাঙালি। আমি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে জন্মেছি। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকের সন্তান। এটা আমি বুক ফুলিয়ে মাথা উচু করে বলতে পারি। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের জন্য আমি রক্ত দিতেও প্রস্তুত। এই জাতির স্রষ্ঠার নাম কী, প্রতিষ্ঠাতার নাম কী আমরা যেন তা ভুলে না যাই। কোথায় কীভাবে কথা বলতে হবে বুঝে শুনে বলতে হবে।
আমরা রাজনীতি করতে এসেছি মশকরা করতে আসি নাই। আমরা রাজনৈতিক কর্মী। জেলে থাকবো, মামলা খাবো। বহু মামলার শিকার হয়েছি।

তিনি শনিবার বিকালে আড়াইহাজার উপজেলা যুবলীগের উদ্যেগে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও নিহতের স্বরনে উপজেলার এস এম মাযহারুল হক অডিটরিময়ামে আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্য এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি যখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়ি। সেই ৯০ এর দশক থেকে আমি বাবু ভাইকো চিনি। ইতিহাস কথা বলবে। সূর্যকে কোন মেঘ ঢেকে রাখতে পারে না।

এটা বঙ্গবন্ধুর রক্তের বাংলাদেশ এটা ভুলে যাবেন না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে থাকতেন, বঙ্গভবনে থাকেন নি। রাষ্ট্রের অর্থ তিনি নষ্ট করেন নি। সাধারণ মানুষের মতই তিনি ভাত খেতেন, পোলাও মাংস খেতেন না। ভুলে যেন না যাই, কার জন্য রাজনীতি করি৷

বিশ্বাসঘাতকেরা এখনও আছে। তারা পুরোপুরি শেষ হয় নাই৷ যারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নির্বংশ করতে চেয়েছে তারা এখনও আছে। আমাদের বঙ্গবন্ধুর মত ভাবতে হবে, তার কন্যা শেখ হাসিনার মত ভবতে হবে। অন্য কোন ভাবনা এই বাংলার মাটিতে হবে না। আওয়ামী লীগে মুজিবকোট পড়ে পদ নিয়ে নেতা সেজে ভাব, অনেক বড় নেতা হয়েছি। এইসব এই বাংলাদেশে চলবে না। সাধারণভাবে চলাফেরার চেষ্টা করুন। আমরা সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের পয়সা দিয়ে চলি।

প্রতিমন্তী বলেন, চিৎকার করলেই কী নেতা। আমার চেয়ে জোরে কেউ চিৎকার করতে পারবে না৷ তাহলে কী আমিই সবচেয়ে বড় নেতা, মোটেই নয়। আমি শুনতে এসেছি। আমি শিখতে ও দেখতে এসেছি। আমি বাবু ভাইকে দেখতে এসেছি। আমাদের রক্তের গ্রুপ এক। এই রক্ত আপোষ করেনা, বেইমানি করে না।

২০০১ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করি। তখন বাবু ভাইকে ভোট দিয়েছিলাম কাউন্সিলর হিসেবে। বাবু কারাগারে থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। দয়া করে কেউ ভোট দেয়নি।

মন্ত্রী হওয়া আমার স্বপ্ন নয়, কখনও ছিল না। আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হতে চাই। আগে নিজেকে দেখুন চিনুন। কথা বলার সময় সাবধানে বলবেন। ভুল কথা বললে কানে লাগে। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে হয়েছিল, অন্য কোথাও না। এত নেতা হয়েছি আমরা, এত বড় বড় পদ আমাদের কী বলবো। বঙ্গবন্ধু কী গাড়িতে উঠেছিলেন। কার টাকার এই গাড়ি। বঙ্গবন্ধুর রক্ত আদর্শ ও তার অস্তিত্বের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা, তাকে তো কোনদিন প্যাশন করতে দেখলাম না।

বেগম জিয়াই জিয়া হত্যাকান্ডের প্রধম কুশীলব। জিয়াকে হত্যা না করা হলে বা জিয়া না মরলে বেগম জিয়া কী প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন।

বঙ্গবন্ধুকে কী অপরাধে হত্যা করা হল। কেন বঙ্গবন্ধু বঙ্গভবনে থাকলেন না, ৩২ নম্বরের বাড়িতে থাকলেন। এই কী ছিল অপরাধ। কেন পাকিস্তানের কারাগারে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ফাঁসির কাষ্টে দাড়িয়েও তিনি আপোষ করলেন না। এটাই কী ছিল তার অপরাধ।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ইনডেমনিটি দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কী এই বাললার মাটিতে হত। শেখ হাসিনা তা করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কী বাংলার মাটিতে হত, কারও সাহস ছিল। শেখ হাসিনা করেছেন। আমি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই। আমার চিৎকার যেন আমার মা শেখ হাসিনা শোনেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্বে করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আহাম্মেদুল কবির উজ্জল। প্রধানন আলোচক ছিলেন সংসদ সদস্য আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম বাবু।
প্রধান আলোচক এর বক্তব্যে সাংসদ আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু বলেন,ভয়াল ২১ আগস্টের কথা মনে পড়লে এখনও গাঁ শিউরে ওঠে। সেদিনের গ্রেনেডের স্পিলিন্টা এখনও শরীরে নিয়ে বেঁচে আছি। জীবন বাজি রেখে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে মানব ঢাল তৈরি করে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। আল্লাহর অশেষ রহমতে আজ ও বেঁচে আছি আপনাদের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আড়াইহাজারের আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। কোনো অপশক্তি এই ঐক্য নষ্ট করতে পারবে না।তিনি বলেন,২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। এখনও যারা দেশের বাইরে পলাতক রয়েছে তাদের দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করে শাস্তি নিশ্চিত করতে জোর দাবি জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক ছিলেন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক সুব্রত পালসহ দলীয় নেতা কর্মীরা।