বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কেওঢালা মুসলিমপাড়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে (পিটিয়ে) আতাউল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে গুরুত্বরভাবে জখম করা সহ তার স্ত্রী ও সন্তানদের পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে ঘর তালাবদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আতাউল্লাহ উল্লেখিত এলাকার মৃত হাজী আহাম্মদউল্লাহ মুন্সীর ছেলে। এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় আতাউল্লাহ বাদী হয়ে স্বর্গ, লাকী আক্তার, সুমী আক্তার, ছবির সর্বপিতাঃ মৃত ইসমাইল, শেফালী বেগম স্বামীঃ মৃত ইসমাইল সর্বসাং-কেওঢালা, থানাঃ বন্দর, জেলাঃ নারায়ণগঞ্জকে বিবাদী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ভূক্তভোগী আতাউল্লাহ বলেন, ‘বিবাদীরা আমাদের গাছের ফলফলাদী নিয়ে যায় এবং আমার বৈদ্যুতিক মিটার থেকে তারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কোন বিল দেয়না। বিবাদীরা আমার বড় ভাই আহসান এর নিকট কিছু টাকা পাওনা রয়েছে। এর জের ধরে শনিবার সকাল আনুমানিক ১১টায় আমার বাড়িতে এসে বিবাদীরা এলোপাথারীভাবে কিল ও ঘুষি মেরে আমাকে গুরুত্বরভাবে জখম করে এবং আমার স্ত্রী ও সন্তানদের পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে ঘর তালাবদ্ধ করে রেখেছে। তাছাড়া এসময় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে তারা আমার উপর হামলা চালাতে চেষ্টা করে। তখন স্থানীয়দের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে তারা যে কোন সময় আমাকে খুন করে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে। বর্তমানে আমার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বন্দর থানা পুলিশের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি’। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে তদন্ত করতে ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ি থেকে একজন এসআই (উপ-পরিদর্শক) ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সামনেই বিবাদীরা বাদীকে মারতে তেড়ে আসে এবং পুনরায় হত্যার হুমকি প্রদান করে বলে জানান ভূক্তভোগী আতাউল্লাহ।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।