ফতুল্লা প্রতিনিধি : ফতুল্লার ভুইগড় এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে মারধর, লুটপাট ও মোটরসাইকেল ভাংচুর ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না পুলিশ। ঘটনার চারদিন গত হলেও পুলিশ মামলা রুজু ও হামলাকারিদের গ্রেপ্তার না করায় অভিযোগকারীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুইগড় এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে ইন্টারনেটের ব্যবসা করে আসছে মো: রুবেল। স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী চক্র রুবেলের ব্যবসা ছিনিয়ে নিতে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। এরই অংশহিসেবে গত ৭ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নূর আলম মোবাইল ফোনে রুবেলের কর্মচারী নূরুজ্জামানকে জানায় ইন্টারনেটের তার কে বা কারা কেটে ফেলেছে তা ঠিককরে দিতে কবরস্থান এলাকায় যেতে বলে। নূরুজ্জামান সরল বিশ্বাসে সেখানে গেলে সঙ্গবদ্ধ একটি সন্ত্রাসী দল আকস্মিক হামলা চালিয়ে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী মারধর করতে থাকে। তখন ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া এগিয়ে গেলে হামলাকারিরা তাকেও বেধরক মারধর করে। এসময় নূরুজ্জামের সাথে থাকা ইন্টারনেটের বিল উত্তোলনের নগদ ২০ হাজার ও রুবেলের কাছে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও দুইজনের দুইটি স্মার্ট মোবাইল ফোন যার মূল্য ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পাশাপাশি একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। মারধরে নুরুজ্জামান গুরুতর আহত হয়। তার হাত পা ভেঙে যায়। এসময় তাদের টাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারিরা বিভিন্ন হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীরা নুরুজ্জামানকে উদ্ধার করে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এঘটনায় ভুইগড় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মো: নুরুল হকের ছেলে নুরুজ্জামান(২০) বাদী হয়ে ভুইগড় কবরস্থান এলাকার নূর ইসলামের ছেলে নূর আলম(৪০), জাহিদুল (২৮), নুর আলম(১৯) পিতা অজ্ঞাত, মাহাবুব(২০) পিতা অজ্ঞাত, রঘুনাথপুর এলাকার মৃত রহিমের ছেলে রনি(২২), শরীফ(২০) পিতা অজ্ঞাত, ইমন (২১) পিতা অজ্ঞাত ও রাব্বি (২২) পিতা অজ্ঞাত এই আটজনের নাম উল্লেখ ও আরো ২০/২২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফতুল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। থানার এই আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন।
বাদী জানায়, ঘটনার চার দিন গত হলেও পুলিশ মামলা রুজু করছেনা। ফলে বিবাদীরা প্রতিনিয়তই হুমকি প্রদান করছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে। তাই ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
এবিষয়ে এসআই আব্দুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফতুল্লা থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, বিষয়টি দেখছি। ঘটনা সত্য হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।