নারায়ণগঞ্জ ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

সোনারগাঁওয়ে সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৭:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

সোনারগাঁও প্রতিনিধিঃ

কোন অপরাধ না করেও সাজা ভোগ করতে হচ্ছে সোনাগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী শফিকুল ইসলামকে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের সাংবাদিক হাজী শফিকুল ইসলামকে জামায়াত শিবিরের একটি মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযাগ করা হয়েছে।

সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবে মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আলোকিত বাংলাদেশের সাবেক উপজেলা প্রতিনিধি হাজী শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার এ দাবি জানান। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে মোহাম্মদ উজ্জল ও মেয়ে নাদিয়া ইসলাম কামনা।

শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার বলেন, ৩ বছর আগে সোনারগাঁও জাদুঘরে পুলিশের ওপর হামলার একটি মামলায় তার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে আসামি করা হয়েছে। তিনি জোড় দিয়ে বলেন, শফিকুল ইসরাম কখনও জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সোনারগাঁয়ে পুলিশের ওপর হামলার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। সোনারগাঁও থানায় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মো. মঞ্জুর কাদেরের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশের কারণে তিনি আক্রোশের শিকার হয়েছেন বলে তার পরিবারের অভিযোগ। ৩ বছর আগের পুলিশের ওপর হামলার এই ঘটনার শফিকুল ইসলামের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হলেও অভিযোগের বিষয়টি তাকে অবহিত করা হয়নি। ৩ বছর পর মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুর পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে এলে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন।
এ ব্যাপারে সোনাগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আব্দুস সাত্তার প্রধান বলেন, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমার জানা মতে সে আওয়ামী পরিবারের সন্তান এবং রাষ্ট্রবিরোধী কোন কাজে কখনো জড়িত ছিল না। দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় তখন সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালনকরেছেন, বর্তমানে সে দৈনিক দিন প্রতিদিন পত্রিকার সোনারগাঁ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মহলেও ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং হাজী শফিকুলের মুক্তি দাবি করেছেন।

সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লোগ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম শফিকুল গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, হাজী শফিকুল কখনও বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি তার মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চান।

তিনি আরো জানান, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সনমান্দি ইউপি কমিনিউটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম খোকনের ছোট ভাই। ছোটবেলা থেকেই সে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির রাজনীতিতে বিশ্বাসী।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

সোনারগাঁওয়ে সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৯:২৭:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১

সোনারগাঁও প্রতিনিধিঃ

কোন অপরাধ না করেও সাজা ভোগ করতে হচ্ছে সোনাগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী শফিকুল ইসলামকে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের সাংবাদিক হাজী শফিকুল ইসলামকে জামায়াত শিবিরের একটি মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযাগ করা হয়েছে।

সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবে মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আলোকিত বাংলাদেশের সাবেক উপজেলা প্রতিনিধি হাজী শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার এ দাবি জানান। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে মোহাম্মদ উজ্জল ও মেয়ে নাদিয়া ইসলাম কামনা।

শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার বলেন, ৩ বছর আগে সোনারগাঁও জাদুঘরে পুলিশের ওপর হামলার একটি মামলায় তার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে আসামি করা হয়েছে। তিনি জোড় দিয়ে বলেন, শফিকুল ইসরাম কখনও জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সোনারগাঁয়ে পুলিশের ওপর হামলার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। সোনারগাঁও থানায় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মো. মঞ্জুর কাদেরের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশের কারণে তিনি আক্রোশের শিকার হয়েছেন বলে তার পরিবারের অভিযোগ। ৩ বছর আগের পুলিশের ওপর হামলার এই ঘটনার শফিকুল ইসলামের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হলেও অভিযোগের বিষয়টি তাকে অবহিত করা হয়নি। ৩ বছর পর মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুর পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে এলে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন।
এ ব্যাপারে সোনাগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আব্দুস সাত্তার প্রধান বলেন, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমার জানা মতে সে আওয়ামী পরিবারের সন্তান এবং রাষ্ট্রবিরোধী কোন কাজে কখনো জড়িত ছিল না। দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় তখন সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালনকরেছেন, বর্তমানে সে দৈনিক দিন প্রতিদিন পত্রিকার সোনারগাঁ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মহলেও ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং হাজী শফিকুলের মুক্তি দাবি করেছেন।

সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লোগ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম শফিকুল গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, হাজী শফিকুল কখনও বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি তার মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চান।

তিনি আরো জানান, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সনমান্দি ইউপি কমিনিউটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম খোকনের ছোট ভাই। ছোটবেলা থেকেই সে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির রাজনীতিতে বিশ্বাসী।