নারায়ণগঞ্জ ০৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ আহত-৮ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামে, অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প সরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে- বিকেএমইএর সভাপতি নানা আয়োজনে রিয়াদে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে আজ এনটিভির ২২তম জন্ম উৎসবের আয়োজন নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি হামলা শিকার মুক্তিযোদ্ধা চত্তরের স্মৃতি স্তম্ভ ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ

সাংবাদিক আক্তারকে লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি দিলো সেচ্ছাসেবক দল নেতা মোক্তার

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১
  • ১৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :বন্দরে সেচ্ছাসেবক দল নেতা মোক্তার হোসেন এর বিরুদ্ধে দৈনিক খোলা কাগজের বন্দর প্রতিনিধি সাংবাদিক মো. আক্তার হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তথ্য সংগ্রহকালে বাধা প্রদানসহ তাকে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে মোক্তার হোসেন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ঘটনায় বন্দর থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছে সাংবাদিক আক্তার হোসেন।

জানা গেছে, গত ২১শে মে শনিবার বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের লাঙ্গলবন্দ এলাকার শ্রী শ্রী ললিসাধু আশ্রমে করোনাকালিন সময়ে স্বাস্থবিধির কোন বালাই না রেখে অনেক লোকসমাগম করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যা দেখে সংবাদের তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক আক্তারকে বাধা প্রদান করে মোক্তার ও তার অন্যতম সহযোগী নুরুজ্জমান। এরপর সে সংবাদ যেন প্রকাশ না হয় এজন্য অকথ্য ভাষায় গালমন্দও হুমকী প্রদান করা হয়। শুধু তাই নয়, একপর্যায়ে সাংবদিক আক্তারকে কিছু দূর সামনে ডেকে নিয়ে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিএনপি’র অঙ্গসংগঠন নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোক্তার হোসেন একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় রাষ্ট্রিয় সম্পত্তি জালাও পোড়াও করে ধ্বংস করার অভিযোগে মামলা রয়েছে। এছাড়াও এই মোক্তার হোসেন এর অন্যতম সহযোগী নুরুজ্জামান মোল্লার বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। তবে নুরুজ্জামান মোল্লা একটি বিশেষ পেশার পরিচয়ে অসংখ্য অপরাধের আড়ালে ভিন্ন রকম জগৎ সৃষ্টি করেছে। পারিবারিক, সামাজিকভাবেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সেচ্ছাসেবক দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোক্তার হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার সাথে এসে সাক্ষাত করেন। একাধিকবার বুঝিয়ে বলা হলেও তিনি মুঠোফোনে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তাই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোক্তার হোসেনের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে সেচ্ছাসেবক দল নেতা মোক্তার হোসেনের সাফাই করে নুরুজ্জামান মোল্লা জানায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে আক্তার হোসেন সেখানে গিয়ে তাদের বাধা দেয় এবং করোনার কথা বলে তাদের ছবি তুলে। এর কারণে এখানকার মানুষ জন নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে এসেছে তারা বিষয়টি নিয়ে মাইন্ড করে। এ ঘটনায় আশ্রম কমিটি আমাকে ফোন করে নিলে আমি তাদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে বিদায় করে দেই। আক্তার বিষয়টি না মেনে এই করবে, সেই করবে বলে আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটছে। ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানছে, আমি তার পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইলাম। তিনি প্রশ্ন করেন, আমাদের মাজারে গিয়ে যদি কেউ হঠাৎ করে ছবি তুলে ফেলে আমরা কি বিভ্রান্ত হবো না ? আশ্রমে হিন্দু সম্প্রদায়ের যত লোক আছে তারা খাসি মানত করে মুরগী মানত করে এগুলো জবাই করে পাক করে গরীবকে খাওয়ায়। সেখানে কি আমার সাংবাদিকতা চলবে। আমি সেটাই বুঝাতে চেয়েছি। মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়টি জানতে হলে স্পটে আসতে হবে। মোক্তারের সাথে যদি কোন কিছু হয়ে থাকে সেটা পুরোনো একটা ঘটনাকে নিয়ে।

এদিকে সাংবাদিক আক্তার জানায়, তারা তো আমার উপর সন্ত্রাসীর মত হামলা চালালো। এখন বিভিন্নভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনরকম প্রমান ছাড়াই ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। একটি নিউজ পোর্টালে বানোয়াট সংবাদও প্রকাশ করিয়েছে এবং সেখানে আমার বক্তব্য না নিয়ে তাদের মনগড়া বক্তব্য আমার নামে চালিয়েছে। এতে তারা আমার সম্মান নষ্ট করার পাঁয়তারা করছেন, আমি খুব শিঘ্রই আইনের সহযোগীতা নিবো। আর আমি তথ্য পেয়েছিলাম বিধায় কামতাল ফাঁড়ির ইনচার্জকেও এ বিষয়ে অবগত করেছি, তিনিও কোন অনুমতি দেননি এবং জানেনা। তবে আমি কোন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনি নি। অথচ যারা এই অপপ্রচারে নেমেছে তারা নিজেরাই বিশেষ পেশার সম্মানটাকে নষ্ট করছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ আহত-৮

সাংবাদিক আক্তারকে লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি দিলো সেচ্ছাসেবক দল নেতা মোক্তার

আপডেট সময় : ১২:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :বন্দরে সেচ্ছাসেবক দল নেতা মোক্তার হোসেন এর বিরুদ্ধে দৈনিক খোলা কাগজের বন্দর প্রতিনিধি সাংবাদিক মো. আক্তার হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তথ্য সংগ্রহকালে বাধা প্রদানসহ তাকে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে মোক্তার হোসেন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ঘটনায় বন্দর থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছে সাংবাদিক আক্তার হোসেন।

জানা গেছে, গত ২১শে মে শনিবার বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের লাঙ্গলবন্দ এলাকার শ্রী শ্রী ললিসাধু আশ্রমে করোনাকালিন সময়ে স্বাস্থবিধির কোন বালাই না রেখে অনেক লোকসমাগম করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যা দেখে সংবাদের তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক আক্তারকে বাধা প্রদান করে মোক্তার ও তার অন্যতম সহযোগী নুরুজ্জমান। এরপর সে সংবাদ যেন প্রকাশ না হয় এজন্য অকথ্য ভাষায় গালমন্দও হুমকী প্রদান করা হয়। শুধু তাই নয়, একপর্যায়ে সাংবদিক আক্তারকে কিছু দূর সামনে ডেকে নিয়ে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিএনপি’র অঙ্গসংগঠন নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোক্তার হোসেন একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় রাষ্ট্রিয় সম্পত্তি জালাও পোড়াও করে ধ্বংস করার অভিযোগে মামলা রয়েছে। এছাড়াও এই মোক্তার হোসেন এর অন্যতম সহযোগী নুরুজ্জামান মোল্লার বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। তবে নুরুজ্জামান মোল্লা একটি বিশেষ পেশার পরিচয়ে অসংখ্য অপরাধের আড়ালে ভিন্ন রকম জগৎ সৃষ্টি করেছে। পারিবারিক, সামাজিকভাবেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সেচ্ছাসেবক দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোক্তার হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার সাথে এসে সাক্ষাত করেন। একাধিকবার বুঝিয়ে বলা হলেও তিনি মুঠোফোনে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তাই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোক্তার হোসেনের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে সেচ্ছাসেবক দল নেতা মোক্তার হোসেনের সাফাই করে নুরুজ্জামান মোল্লা জানায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে আক্তার হোসেন সেখানে গিয়ে তাদের বাধা দেয় এবং করোনার কথা বলে তাদের ছবি তুলে। এর কারণে এখানকার মানুষ জন নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে এসেছে তারা বিষয়টি নিয়ে মাইন্ড করে। এ ঘটনায় আশ্রম কমিটি আমাকে ফোন করে নিলে আমি তাদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে বিদায় করে দেই। আক্তার বিষয়টি না মেনে এই করবে, সেই করবে বলে আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটছে। ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানছে, আমি তার পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইলাম। তিনি প্রশ্ন করেন, আমাদের মাজারে গিয়ে যদি কেউ হঠাৎ করে ছবি তুলে ফেলে আমরা কি বিভ্রান্ত হবো না ? আশ্রমে হিন্দু সম্প্রদায়ের যত লোক আছে তারা খাসি মানত করে মুরগী মানত করে এগুলো জবাই করে পাক করে গরীবকে খাওয়ায়। সেখানে কি আমার সাংবাদিকতা চলবে। আমি সেটাই বুঝাতে চেয়েছি। মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়টি জানতে হলে স্পটে আসতে হবে। মোক্তারের সাথে যদি কোন কিছু হয়ে থাকে সেটা পুরোনো একটা ঘটনাকে নিয়ে।

এদিকে সাংবাদিক আক্তার জানায়, তারা তো আমার উপর সন্ত্রাসীর মত হামলা চালালো। এখন বিভিন্নভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনরকম প্রমান ছাড়াই ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। একটি নিউজ পোর্টালে বানোয়াট সংবাদও প্রকাশ করিয়েছে এবং সেখানে আমার বক্তব্য না নিয়ে তাদের মনগড়া বক্তব্য আমার নামে চালিয়েছে। এতে তারা আমার সম্মান নষ্ট করার পাঁয়তারা করছেন, আমি খুব শিঘ্রই আইনের সহযোগীতা নিবো। আর আমি তথ্য পেয়েছিলাম বিধায় কামতাল ফাঁড়ির ইনচার্জকেও এ বিষয়ে অবগত করেছি, তিনিও কোন অনুমতি দেননি এবং জানেনা। তবে আমি কোন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনি নি। অথচ যারা এই অপপ্রচারে নেমেছে তারা নিজেরাই বিশেষ পেশার সম্মানটাকে নষ্ট করছে।