নারায়ণগঞ্জ ০৬:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

সূসজ্জিত অফিসই তাদের পুঁজি বহুরুপী চার প্রতারক গ্রেপ্তার

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
  • ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সুসজ্জিত অফিস বানিয়ে ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে অভিনব কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে বহুরুপী প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চার সদস্যদে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। প্রতারিত তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রোববার ও শনিবার দুই দিন ব্যাপী অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইর, দেওভোগ লিচুবাগ ও সদর থানার গলাচিপা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারা হলো- মোঃ এসহাক আলী (৭০), মোঃ মামুন (৪৯), খন্দকার মোঃ রাজু আহমেদ ওরফে মাসুদ (৫৬) ও মোঃ ফারুক কবির (৩৫)।
রোববার দুপুরে র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, চক্রটি ব্যবসায়ী শ্রেণির লোকদের টার্গেট করে বিভিন্ন লাভজনক ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে, ঠিকাদারী কাজ, ডিলারশীপ পাইয়ে দেওয়া,এজেন্ট নিয়োগের কথা বলে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তাদের ভাড়াকৃত সুসজ্জিত অফিসে ডেকে নিয়ে জামানত বা বিনিয়োগ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা আতœসাত করত। নিত্য নতুন কৌশলে এই প্রতারকদের পাতানো ফাঁদে ফেলে ব্যবসায়ীদের সর্বস্বান্ত করে আসছে। এ চক্রের মূলহোতা মো: এসহাক আলী।
র‌্যাব আরো জানায়, সৌদি সংস্থা কর্তৃক কুমিল্লা জেলার লাকসাম, লালমাই ও মনোহরগঞ্জ থানা এলাকায় কয়েক শত আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল বসানোর ঠিকাদারী কাজ পাইয়ে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে বেসরকারি কলেজে প্রভাসক কুমিল্লার লাকসাম থানা এলাকার মো: আবুল কালাম আজাদ নামে একজন ঠিকাদারকে প্রলুব্ধ করে। টিউবওয়েল স্থাপনের ঠিকাদারী কাজের জামানত বাবদ ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা আতœগোপন করে। ভুক্তভোগী মোঃ আবুল কালাম আজাদ প্রতারিত হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি জিডি করেন। একই জেলার দাউদকান্দি থানার কাঠ ব্যবসায়ী মো: আল আমিনের কাছে নিজেদের রিয়েল এষ্টেট কোম্পানির মালিক পরিচয় দিয়ে তাদের নির্মাণাধীন কয়েকটি বহুতল ভবনে প্রায় ২২০টি কাঠের দরজা ও দরজার ফ্রেম লাগানোর লোভনীয় প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সুসজ্জিত অফিসে ডেকে নিয়ে ১১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে অফিস পরিবর্তন করে গা ঢাকা দেয় প্রতারকা। প্রতারিত আল আমিন র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে এবিষয়ে অভিযোগ করেন। একই থানার কীটনাশক ঔষধ, বিভিন্ন প্রকার বীজ ও সার ব্যবসায়ী মোঃ আবু তাহেরের সঙ্গে সর্ম্পক করে ফ্রেশ কোম্পানির মালিক প্রতারক চক্রের এক সদস্যের ভগ্নি পতি দাবি করে বলে মাসে ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার খোলা ভুট্টা ক্রয় করার জন্য একজন স্থানীয় লোক খুজতেছে ওই কোম্পানি। ভুট্টা কিনে দিতে পারলে আবু তাহেরকে ফ্রেশ কোম্পানীর এজেন্ট পাইয়ে দিবে বলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নিউ চাষাড়া জামতলা এলাকার সু-সজ্জিত ফ্রেশ কোম্পানীর ভূয়া অফিসে আসতে বলে। তাকেই প্রলুব্ধ করে কৌশলে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চক্রটি অফিস গুটিয়ে কেটে পড়ে। এবিষয়েও আবু তাহের র‌্যাব-১১ এর কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। সুনির্দিষ্ট এই তিনটি অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও গত ১৫ বছর ধরে চক্রটি শত শত ব্যবসায়ীকে প্রতারিত করেছে বলে চিজ্ঞাসাবাদে স্বাীকার করেছে। তবে তারা কখনও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েনি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

সূসজ্জিত অফিসই তাদের পুঁজি বহুরুপী চার প্রতারক গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১০:৫৯:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সুসজ্জিত অফিস বানিয়ে ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে অভিনব কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে বহুরুপী প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চার সদস্যদে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। প্রতারিত তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রোববার ও শনিবার দুই দিন ব্যাপী অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইর, দেওভোগ লিচুবাগ ও সদর থানার গলাচিপা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারা হলো- মোঃ এসহাক আলী (৭০), মোঃ মামুন (৪৯), খন্দকার মোঃ রাজু আহমেদ ওরফে মাসুদ (৫৬) ও মোঃ ফারুক কবির (৩৫)।
রোববার দুপুরে র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, চক্রটি ব্যবসায়ী শ্রেণির লোকদের টার্গেট করে বিভিন্ন লাভজনক ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে, ঠিকাদারী কাজ, ডিলারশীপ পাইয়ে দেওয়া,এজেন্ট নিয়োগের কথা বলে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তাদের ভাড়াকৃত সুসজ্জিত অফিসে ডেকে নিয়ে জামানত বা বিনিয়োগ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা আতœসাত করত। নিত্য নতুন কৌশলে এই প্রতারকদের পাতানো ফাঁদে ফেলে ব্যবসায়ীদের সর্বস্বান্ত করে আসছে। এ চক্রের মূলহোতা মো: এসহাক আলী।
র‌্যাব আরো জানায়, সৌদি সংস্থা কর্তৃক কুমিল্লা জেলার লাকসাম, লালমাই ও মনোহরগঞ্জ থানা এলাকায় কয়েক শত আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল বসানোর ঠিকাদারী কাজ পাইয়ে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে বেসরকারি কলেজে প্রভাসক কুমিল্লার লাকসাম থানা এলাকার মো: আবুল কালাম আজাদ নামে একজন ঠিকাদারকে প্রলুব্ধ করে। টিউবওয়েল স্থাপনের ঠিকাদারী কাজের জামানত বাবদ ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা আতœগোপন করে। ভুক্তভোগী মোঃ আবুল কালাম আজাদ প্রতারিত হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি জিডি করেন। একই জেলার দাউদকান্দি থানার কাঠ ব্যবসায়ী মো: আল আমিনের কাছে নিজেদের রিয়েল এষ্টেট কোম্পানির মালিক পরিচয় দিয়ে তাদের নির্মাণাধীন কয়েকটি বহুতল ভবনে প্রায় ২২০টি কাঠের দরজা ও দরজার ফ্রেম লাগানোর লোভনীয় প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সুসজ্জিত অফিসে ডেকে নিয়ে ১১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে অফিস পরিবর্তন করে গা ঢাকা দেয় প্রতারকা। প্রতারিত আল আমিন র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে এবিষয়ে অভিযোগ করেন। একই থানার কীটনাশক ঔষধ, বিভিন্ন প্রকার বীজ ও সার ব্যবসায়ী মোঃ আবু তাহেরের সঙ্গে সর্ম্পক করে ফ্রেশ কোম্পানির মালিক প্রতারক চক্রের এক সদস্যের ভগ্নি পতি দাবি করে বলে মাসে ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার খোলা ভুট্টা ক্রয় করার জন্য একজন স্থানীয় লোক খুজতেছে ওই কোম্পানি। ভুট্টা কিনে দিতে পারলে আবু তাহেরকে ফ্রেশ কোম্পানীর এজেন্ট পাইয়ে দিবে বলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নিউ চাষাড়া জামতলা এলাকার সু-সজ্জিত ফ্রেশ কোম্পানীর ভূয়া অফিসে আসতে বলে। তাকেই প্রলুব্ধ করে কৌশলে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চক্রটি অফিস গুটিয়ে কেটে পড়ে। এবিষয়েও আবু তাহের র‌্যাব-১১ এর কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। সুনির্দিষ্ট এই তিনটি অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও গত ১৫ বছর ধরে চক্রটি শত শত ব্যবসায়ীকে প্রতারিত করেছে বলে চিজ্ঞাসাবাদে স্বাীকার করেছে। তবে তারা কখনও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েনি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।