বিশেষ প্রতিনিধি : করোনা সঙ্কটে সরকারের অপরিকল্পিত লকডাউনের মেহনতি মানুষ দু:সময় পাড় করছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে গোটা দুনিয়া আজ টালমাটাল। সমগ্র বিশ্বের মত বাংলাদেশেও কোটি কোটি শ্রমজীবী মানুষ কাজ হারিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। তাদের পাশে সাধ্যমত দাড়ানো উচিত সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে।
শনিবার (১ মে) মহান মে দিবস তথা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বনশ্রীতে আদর্শ নাগরিক আন্দোলন ও জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে শ্রমিক ও কর্মজীবী মানুষের মাঝে ইফতার ও তরমুজ বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা কালীন সময়ে মানুষের জীবন রক্ষা করা যেমন জরুরি, তেমনি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে শিল্প প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা হয়েছে। বর্তমান করোনাকালে গ্রাম-শহরের শ্রমজীবী মানুষ উৎপাদন ও সরবরাহের চাকা সচল রাখছে। সমাজ ও রাষ্ট্রের উচিত তাদের সকল প্রকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া ও শ্রমের মজুরি পায় তা সরকার ও মালিকদের নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক মে দিবসের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান আজকের শ্রমিক শ্রেণিকে আগলে রেখেছে। যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামী চেতনা এখন শ্রমজীবীদের ভূষণ।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বলেন, ১৮৮৬ সালের রক্তঝরা সেই ১লা মে এখন সবার কাছে অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জোর সংগ্রামের শপথ গ্রহণের দিন। সামনে এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র। করোনা মহামারীতে আমাদের সকলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে অসহায় শ্রমজীবীদের প্রতি। মে দিবসে সকল শ্রমজীবী মানুষ তাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করার মাধ্যমে উন্নয়নমুখী পরিবর্তন সূচনা অঙ্গিকারের প্রয়াস পায়।
আদর্শ নাগরিক আন্দোলন ও জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়র সাইফুল ইসলাম, জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সমন্বয়ক কৃষক মো. মহসিন ভুইয়া, জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক এস এম কামালউদ্দিন ইসমাইল, বিশ্ব মানবাধিকার ভিশননের সদস্য মো. বিল্লাল হোসেন পাটোযারী, জামস রেজা প্রমুখ।