সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুরে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ৪৯ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১’র সদস্যরা। রবিবার (২৫ এপ্রিল) রাত দেড়টায় গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি’র মাদক বিরোধী অভিযানে বন্দর থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকার রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে চেকপোস্টে পণ্য বোঝাইকৃত কুমিল্লা হতে ঢাকাগামী একটি হলুদ রংয়ের সন্দিগ্ধ ট্রাকে তল্লাশী করে ৪৯ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ ওই মাদক ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার চরবাকর এলাকার মো: আক্তার হোসেনের ছেলে মো: সোহরাব হোসেন (২৮) এবং একই জেলার বুড়িচং থানার জগৎপুর এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো: রাসেল মাহাবুব (২৭)।একই দিন দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে অবস্থিত র্যাব-১১’র সদর দপ্তর থেকে সিপিএসসি’র কোম্পানী কমান্ডার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা পরষ্পর যোগসাজশে চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে পণ্য পরিবহনের জন্য পণ্যবাহী ট্রাকের অবাধ চলাচলের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকযোগে চালক ও হেলপারের ছদ্মবেশে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহন করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় উক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা রবিবার রাতে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজার একটি বড় চালান নিয়ে বিক্রয় ও সরবরাহের জন্য কুমিল্লা হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল জেলার বন্দর থানার মদনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করে ঢাকাগামী বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক তল্লাশী করতে থাকে। একপর্যায়ে রাত দেড়টায় ঢাকাগামী একটি সন্ধিগ্ধ ট্রাক তল্লাশী করে দুটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভর্তি অবস্থায় সর্বমোট ৪৯ কেজি গাঁজাসহ উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে-নাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করে যে, তারা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও হেলপারের ছদ্মবেশে পণ্য পরিবহনের আড়ালে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহন করে আসছিল এবং উক্ত নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। মাদক ব্যবসা তাদের একমাত্র পেশা। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও র্যাব নিশ্চিত করেছে।