সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সোনারগাঁয়ে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের রয়্যাল রিসোর্ট কান্ডে এব্যাপক সহিংসতা, হামলা ও ভাংচুর ঘটনার মামলার প্রধান আসামিসহ চাজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। গতকাল সোমবার দুপুরে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে: কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করেন। তার আগে গত রোবাবার বিকেলে সাড়ে ৪ টায় ঢাকার শ্যামপুর থানার জুরাইন রেলগেইট বাজার মসজিদের সামনে ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে সড়ক হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারা হলো-খেলাফতে মজলিশ সোনারগাঁ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ ইকবাল হোসেন (৫২) (মামলার প্রধান আসামি), হেফাজত ইসলাম সোনারগাঁ উপজেলা শাখার আমির হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন খাঁন(৫৩), সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ শাহজাহান খাঁন ওরফে শিবলী (৪৩) ও সহ-সভাপতি হাফেজ মোয়াজ্জেম হোসেন (৫২)।
র্যাব জানায়, প্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গত ৩ এপ্রিল হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক একজন নারীসহ সোনারগাঁয়ের ‘রয়্যাল রিসোর্টে’ সন্দেহজনকভাবে স্থানীয় জনতা কর্তৃক অবরুদ্ধ হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ হেফাজতকর্মীরা রয়্যাল রিসোর্ট ভাঙচুরসহ এলাকায় তান্ডব সৃষ্টি করে। রয়্যাল রিসোর্ট ছাড়াও হেফাজতকর্মীরা ঘটনার দিনে সোনারগাঁ এলাকার একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাপক সহিংসতা, গাড়ি ভাংচুর, নাশকতা সৃষ্টি ও অগ্নি সংযোগ করে যান চলাচলে বিঘœ ঘটায়, জনমনে ভয়ভীতি সঞ্চার এবং সরকারী কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে। ওই সময় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের ইমাম ও খেলাফতে মজলিশ, সোনারগাঁ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ ইকবাল হোসেন মাগরিবের নামাযের পর মসজিদের মাইকে উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রচার করে লোক জমায়েত করে এবং উক্ত হামলার নেতৃত্ব দেয়। উক্ত ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণ ও পুলিশ কর্তৃক বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে পৃথক ৬টি মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা উক্ত মামলাগুলোর অন্যতম এজাহারনামীয় আসামী। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।