প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বালুবাহী বাল্কহেড এর ভাড়াটিয়া মালিক মোঃ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে নৌশ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
এমবি ডেমরা (৩) ও এমবি লুবনা (১) সহ বেশ কয়েকটি বালুবাহী বাল্কহেড এর শ্রমিকরা প্রতারক মোঃ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং ৪০৪৩ বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেছে।
অভিযোগে বাল্কহেড চালক শফি আলম জানায়, আমি আমার ষ্টাফসহ ৫ মাসে জাকিরের নিকট বেতনের এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা পাবো। টাকা চাইলেই দেই দিচ্ছি করে। পাশাপাশি হুমকি ধামকিও প্রদর্শন করছে। অপর বাল্কহেড চালক মোঃ সোহেল জানায়, আমি গত ১১ মাস ধরে বেতনের টাকা পাচ্ছিনা। আমি জাকিরের নিকট ছয় লাখ টাকা পাবো। আরেক বাল্কহেড চালক মোঃ রাহাত জানায়, আমি চার মাসে এক লাখ পয়ত্রিশ হাজার টাকা পাবো। লকডাউনের মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবারের সকল সদস্যদের মুখে দুইবেলা দুমুঠো অন্ন, বস্ত্র তুলে দেওয়ার তাগিদে আমরা আমাদের ঘামজড়ানো শ্রম দিয়ে আসছি।কিন্তু মাসের পর মাস পার হয়ে গেলেও আমরা আমাদের বেতনের টাকা পাচ্ছিনা।তাই আমরা বকেয়া বেতনের সমুদয় টাকা পাওয়ার লক্ষ্যে প্রতারক মোঃ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং ৪০৪৩ এর বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেছি।
এব্যাপারে বাংলাদেশ ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং ৪০৪৩ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিছুর রহমান মাষ্টার জানান, উল্লেখিত বালুবাহী বাল্কহেড শ্রমিকরা জাকিরের বিরুদ্ধে আমাদের সংগঠন বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেছে সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরাও পাগলা নৌ পুলিশের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।
এ ব্যাপারে বালুবাহী বাল্কহেড শ্রমিকরা প্রতারক জাকিরের নিকট থেকে তাদের বকেয়া বেতনের টাকা যেনো পেতে পারে সে লক্ষে জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রমজীবী মানুষের পরম বন্ধু আলহাজ্ব কাউসার আহমাদ পলাশের আশু পদক্ষেপ কামনা করেছে।