সোনারগাঁ প্রতিনিধি : সোনারগাঁয়ের রিসোর্টে নারীসহ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া এক স্থানীয় সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এসময় ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর, পিটিয়ে আহত ও লাঞ্ছিত করা হয় ওই সাংবাদিককে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) রাতে সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের নাজিরপুর ভান্টি চর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় হেফাজতের নেতাকর্মীরা চ্যানেল এস নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সোনারগাঁও প্রতিনিধি হাবিবুর রহমানকে মারধর করে ঘরের বাইরে নিয়ে আসে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষমা চাইতে বলে মামুনুলের কাছে। সেই ভিডিতে দেখা গেছে, মামুনুলের অনুসারীরা সাংবাদিক হাবিবকে লাঞ্ছিত করছে।
তাদের মধ্যে একজন বলছে, হুজুরের (মামুনুল হক) কাছে মাফ চাইতে হবে, হুজুর যাতে আপনাকে ক্ষমা করে দেয় এ জন্য। আরেকজন বলছেন, আপনি বলবেন, হুজুর (মামুনুল হক) কাছে আমি ক্ষমা চাই। সাংবাদিক হিসেবে সেখানে গিয়ে ভুল করেছি। আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
তাদের কথা মতো ক্ষমা না চাওয়ায় সাংবাদিক হাবিবকে টেনে হিচঁরে মারধর করে সড়কের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েক দফায় মারধর করে হাবিবের দাঁত ভেঙে ফেলে। এসময় ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশকে খবর দেন সাংবাদিক হাবিবের ছোটভাই মোফাজ্জল হোসেন।
মোফাজ্জল হোসেন জানান, ঘরে ঘুমন্ত অবস্থা ছিলো বড়ভাই হাবিব। রাত সাড়ে নয়টার দিকে হেফাজতের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। তারা ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। টেনে হিঁচরে ঘরের বাইরে নিয়ে যায় ভাইকে।
তিনি আরও বলেন, মামুনুল হকের বাহিনী কয়েক দফায় লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে হাবিবকে। মারধর করে তার দাঁত ভেঙে ফেলেছে। তাদের কাছ থেকে ভাইকে বাঁচাতে না পেরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশকে খবর দেই। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে তাদের কাছ থেকে হাবিবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক তবিদুর রহমান জানান, স্থানীয় সাংবাদিক হাবিবের উপর হামলা চালিয়েছে হেফাজতের সমর্থকরা। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।