নারায়ণগঞ্জ ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিচার পতির সাথে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাক্ষাৎ রূপগঞ্জে ইয়াবাসহ জিয়া মঞ্চ দলের নেতা গ্রেফতার মহানগর কৃষকদলের সভাপতি এনামুল হক স্বপন ও সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল কে হাসান আল মামুনের শুভেচ্ছা সৌদি আরবে “ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি সোসাইটি”র বনভোজন ও নাশিদ সন্ধ্যা সৌদি প্রবাসী দালাল ইব্রাহিমের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল দেশ রূপান্তরের নতুন সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ রিয়াদে এনটিভি দর্শক ফোরামের উদ্যোগে জমকালো আয়োজনে ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন যুবকদের আগামীতে এইদেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে – মাজেদুল ইসলাম সৌদিতে প্রবাসী আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা

২য় স্ত্রীসহ অবরুদ্ধ মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিল হেফাজত কর্মীরা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ এপ্রিল ২০২১
  • ২২৪ বার পড়া হয়েছে

সোনারগাঁ প্রতিনিধি : হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারীসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় এক রিসোর্টে পাওয়ার পর তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে হেফাজতের কর্মীরা। ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছেন মামুনুল হক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ শনিবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় ওই রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। এতে রিসোর্টের মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন সোনারগাঁওয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, এসিল্যান্ড গোলাম মোস্তফা মুন্না, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টি আই মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) তবিদুর রহমানসহ অর্ধশতাধিক সাংবাদিক।এক পর্যায়ে মাওলানা মামুনুল হককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বিক্ষুব্ধ হেফাজত কর্মীরা। পরে তারা মিছিল করে।

এর আগে বিকেল থেকে মাওলানা মামুনুল হককে ওই রিসোর্টে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশসহ সাংবাদিককরা।

ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁও যাদুঘরে ঘোরার পর এইখানে (রিসোর্টে) বিশ্রাম নিতে এসেছিলাম। কিন্তু কিছু উগ্র লোক এসে আমার সাথে বাজে ব্যবহার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেব আমি।’

ঘটনার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এরপর মামুনুল হক ও তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি। কথা বলে জানতে পারি তিনি স্ত্রীর সঙ্গে এখানে বেড়াতে আসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের সসম্মানে যেতে দেই।’

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিচার পতির সাথে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাক্ষাৎ

২য় স্ত্রীসহ অবরুদ্ধ মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিল হেফাজত কর্মীরা

আপডেট সময় : ০৩:১২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ এপ্রিল ২০২১

সোনারগাঁ প্রতিনিধি : হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারীসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় এক রিসোর্টে পাওয়ার পর তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে হেফাজতের কর্মীরা। ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছেন মামুনুল হক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ শনিবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় ওই রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। এতে রিসোর্টের মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন সোনারগাঁওয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, এসিল্যান্ড গোলাম মোস্তফা মুন্না, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টি আই মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) তবিদুর রহমানসহ অর্ধশতাধিক সাংবাদিক।এক পর্যায়ে মাওলানা মামুনুল হককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বিক্ষুব্ধ হেফাজত কর্মীরা। পরে তারা মিছিল করে।

এর আগে বিকেল থেকে মাওলানা মামুনুল হককে ওই রিসোর্টে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশসহ সাংবাদিককরা।

ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁও যাদুঘরে ঘোরার পর এইখানে (রিসোর্টে) বিশ্রাম নিতে এসেছিলাম। কিন্তু কিছু উগ্র লোক এসে আমার সাথে বাজে ব্যবহার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেব আমি।’

ঘটনার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এরপর মামুনুল হক ও তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি। কথা বলে জানতে পারি তিনি স্ত্রীর সঙ্গে এখানে বেড়াতে আসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের সসম্মানে যেতে দেই।’