ফতুল্লা প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান প্রীতমকে পিটিয়ে ও রক্তাত্ব জখম করেছে একদল সন্ত্রাসী। এ হামলার নেতৃত্ব দেন বহু মামলার আসামী বিতর্কিত হাজী রিপন, কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান ও হারুন অর রশিদ।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ নং ২৬০৯, ২৩/০৩/২০২১।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় লিংক রোডস্থ জেলখানার বিপরীতে দোকানপাট ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের ছবি তুলতে গেলে এ হামলা চালানো হয় বলে জানায় স্থানীয়রা।
গুরুতর আহত মাহমুদুর রহমান প্রীতম দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার স্টাফ ফটো সাংবাদিক।
লিখিত অভিযোগে সাংবাদিক প্রীতম উল্লেখ করেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন লিংক রোডে অবস্থিত জেলা কারাগারের বিপরীতে একটি জমির উপর নির্মিত দোকানপাটে ভাঙ্গচুর ও লুটপাট চালানোর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজের নিকন ডি ৭০০ মডেলের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলেন তিনি। ছবি তুলতে দেখে সন্ত্রাসীরা তার দিকে তেড়ে আসে, পরে সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলে এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী খ্যাত হাজী রিপন তার হাতে থাকা লোহার হাতল দ্বারা সাংবাদিক প্রীতমের মাথায় আঘাত করে রক্তক্ষরণ ঘটায়। একইসময়ে কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান ও হারুন অর রশিদ এবং ৪০/৫০ জন হামলাকারী লোহার রড, লোহার পাইপ, কাঠ, বাঁশসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দ্বারা তাকে বেদম মারধর করে রক্তাত্ব জখমসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে তার সাথে থাকা নিকন ডি ৭০০ মডেলের ক্যামেরা, স্যামসাং এম ২১ মডেলের একটি স্মার্টফোন, পকেটে থাকা আট হাজার ৩০০ টাকা, জাতীয় পরিচয় পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের মূল কপিসহ মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তার মাথা ফাটিয়ে, হাত ভাঙ্গা, পিঠে অজস্র কাটা, রক্তাত্ব জখমসহ শরীরের সকল স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
সাংবাদিক প্রীতম জানান, শুধু ঐখানে ই না, আমি নিজের জীবন বাঁচাতে দৌড়ে এসে চায়ের দোকানে আশ্রয় নেই, সেখানেও সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালায়। এসময় চায়ের গরম পানির ক্যাটলি দিয়ে আঘাত করে আমার কপাল ফাটিয়ে দেয় হামলাকারীরা।
পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আমাকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে এ হামলার সঠিক তদন্ত করে হাজী রিপন, কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, হারুন অর রশিদকে গ্রেফতারসহ সকল অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ ও আহত প্রীতমের পরিবার।
প্রতিনিধির নাম 












