নারায়ণগঞ্জ ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রি-পেইড মিটার বাতিল চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম সিদ্ধিরগঞ্জের বিক্ষুব্দ গ্রাহকদের সিদ্ধিরগঞ্জের মামলার ফাঁদে চুনা কারখানা মালিকরা আড়াইহাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর উদ্ধোধন চাঁদপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আড়াইহাজারে নৈরাজ্য, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিএনপির শান্তি সমাবেশ যৌথবাহিনীর অভিযান: আড়াইহাজারে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

রূপগঞ্জে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মার্চ ২০২১
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

রূপগঞ্জ  প্রতিনিধি  :  রূপগঞ্জে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস । এ উপলক্ষে ১৭ মার্চ সকালে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ  চত্ত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত , নারায়ণগঞ্জ -১ ( রূপগঞ্জ ) আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।   এসময় রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, রূপগঞ্জ থানার ওসি মহসিনুল কাদির, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ নুসরাত জাহান, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) আফিফা খাঁনসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে শিশু-কিশোরদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কেক কাটেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।

এরপর রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন পুরস্কার বিতরণ , আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভায় বক্তব্য রাখেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি , বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। ৭ মার্চের ভাষণকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির না। উনি সারা বিশ্বের নেতা। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ববাসির একটি সম্পদ। পরাধীন জাতির মুক্তির একটি ঐতিহাসিক বার্তা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের কন্ঠস্বর। যেখানেই অন্যায় অবিচার ছিলো সেখানেই বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ করেছেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা এক সাথে পালন করতে পারছি। এটা আমাদের সৌভাগ্য। আমরা যারা বেচে আছি তারা আর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালন করতে পারব না। এটাই আমাদের জীবনে শেষ।

তিনি বলেন,  ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তিনি অমর হয়ে থাকবেন।

প্রসঙ্গত, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা  ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ার সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুত্ফর রহমান ও মাতার নাম সায়েরা খাতুন। পিতা-মাতার চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে তিনি ছিলেন তৃতীয়। এই দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসেবেও উদযাপিত হয়।

খোকা নামের সেই শিশুটি পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালির ত্রাতা ও মুক্তির দিশারী। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ এবং জনগণের প্রতি মমত্ববোধের কারণে পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। এক রাজনৈতিক সংগ্রামবহুল জীবনের অধিকারী এই নেতা বিশ্ব ইতিহাসে ঠাঁই করে নেন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার হিসাবে। বাঙালি জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ

রূপগঞ্জে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

আপডেট সময় : ১০:৪৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মার্চ ২০২১

রূপগঞ্জ  প্রতিনিধি  :  রূপগঞ্জে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস । এ উপলক্ষে ১৭ মার্চ সকালে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ  চত্ত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত , নারায়ণগঞ্জ -১ ( রূপগঞ্জ ) আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।   এসময় রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, রূপগঞ্জ থানার ওসি মহসিনুল কাদির, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ নুসরাত জাহান, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) আফিফা খাঁনসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে শিশু-কিশোরদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কেক কাটেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।

এরপর রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন পুরস্কার বিতরণ , আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভায় বক্তব্য রাখেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি , বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। ৭ মার্চের ভাষণকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির না। উনি সারা বিশ্বের নেতা। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ববাসির একটি সম্পদ। পরাধীন জাতির মুক্তির একটি ঐতিহাসিক বার্তা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের কন্ঠস্বর। যেখানেই অন্যায় অবিচার ছিলো সেখানেই বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ করেছেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা এক সাথে পালন করতে পারছি। এটা আমাদের সৌভাগ্য। আমরা যারা বেচে আছি তারা আর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালন করতে পারব না। এটাই আমাদের জীবনে শেষ।

তিনি বলেন,  ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তিনি অমর হয়ে থাকবেন।

প্রসঙ্গত, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা  ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ার সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুত্ফর রহমান ও মাতার নাম সায়েরা খাতুন। পিতা-মাতার চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে তিনি ছিলেন তৃতীয়। এই দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসেবেও উদযাপিত হয়।

খোকা নামের সেই শিশুটি পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালির ত্রাতা ও মুক্তির দিশারী। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ এবং জনগণের প্রতি মমত্ববোধের কারণে পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। এক রাজনৈতিক সংগ্রামবহুল জীবনের অধিকারী এই নেতা বিশ্ব ইতিহাসে ঠাঁই করে নেন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার হিসাবে। বাঙালি জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।