নারায়ণগঞ্জ ১০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিচার পতির সাথে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাক্ষাৎ রূপগঞ্জে ইয়াবাসহ জিয়া মঞ্চ দলের নেতা গ্রেফতার মহানগর কৃষকদলের সভাপতি এনামুল হক স্বপন ও সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল কে হাসান আল মামুনের শুভেচ্ছা সৌদি আরবে “ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি সোসাইটি”র বনভোজন ও নাশিদ সন্ধ্যা সৌদি প্রবাসী দালাল ইব্রাহিমের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল দেশ রূপান্তরের নতুন সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ রিয়াদে এনটিভি দর্শক ফোরামের উদ্যোগে জমকালো আয়োজনে ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন যুবকদের আগামীতে এইদেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে – মাজেদুল ইসলাম সৌদিতে প্রবাসী আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা

মুক্তা বেগম টুম্পার উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মানহানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১
  • ২০৬ বার পড়া হয়েছে
  • শহর  প্রতিনিধি  : বন্দর উপজেলার মুসাপুর ইউনিয়নে প্রবাসী তরিকুলের স্ত্রী মুক্তা বেগম টুম্পার উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মানহানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে। আজ (১৪ই মার্চ)শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
  • সংবাদ সম্মেলনে মুক্তা বেগম টুম্পার লিখিত অভিযোগে বলেন, আমি একজন গৃহীনি আমার স্বামী দীর্ঘদিন যাবত দেশের বাহিরে কর্মরত আছে। আমার ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। ইতি পূর্বে আমার বাড়ীর জায়গা ঠিকমতাে বুঝিয়ে না পাওয়াতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযােগ করিলে পুলিশের সহযােগিতায় জায়গার সমস্যা সমাধান হয়, সেই থেকে অত্র এলাকার একটি কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে আসছে তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১২ই মার্চ বিকেল আনুমানিক ৬ টায় একদল সন্ত্রাসী তাদের মধ্যে মনির, আলী আকবর ,নাসির ,ওয়াসিম, বাবুল জহিরুল, মাসুম,আমু, আলামিন গং আমার বসত বাড়ীতে হামলা চালিয়ে আমার বুকে লাথি সহ গলা টিপ দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে আমাকে প্রাননাশে মেরে ফেলার চেষ্টা সহ আমাকে র্যাপ করার চেষ্টা করে পরে তারা।
    অপারক হয়ে ঘরে ভাঙ্গচুর করে চলে যায়। এ সময় আমার ৭ বছরের অবুঝ শিশুকে তারা ধরে রাখে এবং আমার ছেলের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। আমি চিৎকার করার পরে তারা পালিয়ে যায়। এর আগে তারা আমার ব্যবহারকৃত মােবাইল সেট স্যামসাং মােবইল নং ০১৮৬৩৯৬২৮৭৭ (৩ ক্যামেরা) ৩০ হাজার টাকা দামের ও ২ ভরি ওজনের গলার চেইন সহ ১ ভরি ওজনের হাতের স্বর্নের ব্যাচলেট নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তাদেরকে সাহায্য করে অত্র এলাকার মহিলা সন্ত্রাসী নিলুফা ইয়াসমিন,আছমা ও সপ্না এরা আমার বাড়ীর নিচে দাড়িয়ে পাহারা দেয়। হামলা হওয়ার আগে গনমাধ্যম ব্যাক্তিত্ব সম্পর্কে চাচা তার নিকট বিষয়টি অবহিত করে বলি যে, গােপন সংবাদে জানতে পারলাম আমার উপর যে কোন সময় শত্রু পক্ষ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা করতে পারে, ঠিক ঐ সময়ই উপরােক্ত সন্ত্রাসীরা আমার ঘরে ঠুকেই ফোনটি ছিনিয়ে নেই পরে গলার চেইন,ব্যাচলেট নিয়ে নেয়। এ সময় আমি চিৎকার করতে থাকি চাচা বন্দর থানা পুলিশকে ফোন দিন আমার উপর হামলা হয়েছে এর পর লাইনটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

    সন্ত্রাসীরা হামলা ছিনতাই করে চলে গেলে আমি নিজেকে বাচাতে একটি সি এন জি নিয়ে প্রথমে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ যায় সেখান থেকে আমাকে রেফার্ড করা হয় ভিকরিয়া হাসপাতালে। আমি পুনরায় সিএনজি নিয়ে বন্দর থানার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কিন্তু থানা গেট আসার পর আমার শারিরিক অবস্থা খারাপ হলে আমি আমার চাচার সাথে ভিকরিয়া হাসপাতালে রাত ৮.১০ মিনিটে চিকিৎসা নেয়। সেখান থেকে কর্তব্যরত ডাক্তার সিটি স্ক্যান ও গলার এক্সরে করতে বলে।

    আমার সাথে ঐ পরিমান টাকা না থাকায় আমি টেস্ট গুলাে না করে কোন প্রকার ব্যাথার ঔষুধ খেয়ে চাচা ও তার অফিস স্টাফ এর সহযােগিতা নিয়ে রাত ১১টার পরে একটি গাড়ী ভাড়া করে নিজ বাড়ী মালিবাগের উদ্দেশ্যে রওনা হলে জানতে পারি সন্ত্রাসীরা আমাকে পেলে পুনরায় হামলা করবে। তার পরেও আমি আল্লাহর নাম নিয়ে তাদেরকে নিয়ে নিজ বাড়ীতে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিপত্র নিয়ে রাত ১টায় আত্মরক্ষার্থে পুনরায় কাশিপুর আমার ফুফুর বাসায় অবস্থান নেই। সন্ত্রাসীরা আমাকে নিয়ে আজে বাজে কথা বলছে যা একজন সচেতন মেয়ে হিসেবে মেনে নিতে পারছিনা কারন একটি মেয়ের তার মুল সম্পদ হচ্ছে তার সত্বিত্ত।

    পুর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৫ই মার্চ ২০২১ এলাকার শত্রু পক্ষ বিল্লাল তার ১৫ বছরের ছেলেকে দিয়ে আমার ছেলেকে অহেতুক মেরে রক্তাক্ত জখম করে। বিল্লালের ছেলে কেন আমার ছেলেকে মেরেছে বিষয়টি জানার জন্য তার বাড়িতে গেলে সেখানে তারা আমাকে অশ্লিল ভাষায় গালা গালি করে এবং আমার ছেলেকে শ্বাসরুদ্ধ করে মারার চেষ্টা করে। পরে আমি সেখান থেকে ছেলেসহ চলে আসি। পরবর্তিতে আমার ও আমার ছেলের জীবনের নিরাপত্ত্বার জন্য বন্দর থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করি। বন্দর থানা পুলিশ তদন্ত করে এর সতত্যা পেলেও কুচক্রি মহলের কিছু ‘ক্ষমতা ধরদের কারনে তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে সক্ষম হচ্ছেনা। এই সব কিছুর মুল হোতা হিসেবে কাজ করছে অত্র এলাকার বসবাসকারী আসলাম তিনি বর্তমানে ঢাকা থাকেন। আমি কি অপরাধ করেছি তার কাছে যে, সে আমার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ লেলিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করে মানববন্ধন করাচ্ছে।

    মানববন্ধন থেকে কিছু নামধারী সাংবাদিকদের দিয়ে মনগড়া ভিডিও তৈরী করে এবং পুলিশের সাথে কথা বলে তারা আমার পূর্বের অভিযোগগুলো নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। আমার চারিত্রিক ও মানহানিকর অপপ্রচার করার জন্য তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া তথা ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করে এতে সমাজে আমার মান ক্ষুন্ন হয়। অত্র এলাকায় আমার পক্ষে স্বাক্ষীদের উপর হামলা করার চেষ্টা করে এমনকি তাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে যেন কোন প্রকার আমার পক্ষে পুলিশের কাছে সাক্ষী না দিতে পারে। ঐ সকল সাক্ষীদের ঘর ছাড়া করে। পরে পুলিশ কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেনকে তাদের অপকর্মের ধারন করা ভিডিও ফুটেজ দেখালে সে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে আমার স্বাক্ষীদের ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
    আজ আমি নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভুগছি এবং নিজ বাড়ী ছেড়ে আমাকে অনত্র থাকতে হচ্ছে। বন্দর থানা পুলিশ বিষয়টি অবগত আছে কিন্তু তারা এলাকার ক্ষমতাশালীদের কারনে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছেনা। তবে আমি ন্যায় বিচার পেতে ও আমার জীবনের নিরাপত্ত্বার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আজই লিখিত আকারে অভিযােগ দায়ের তথা মামলা করবো। এই সকল চিহ্নিত অপরাধিরা ভবিষ্যতে যেন সমাজের আর কোন অসহায় অবলা নারীদের চরিত্র নিয়ে কথা না বলতে পারে, সন্ত্রাসী হামলা না করতে পারে, সে ব্যাপারে আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

    ট্যাগস :

    এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

    বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিচার পতির সাথে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাক্ষাৎ

    মুক্তা বেগম টুম্পার উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মানহানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    আপডেট সময় : ০১:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১
  • শহর  প্রতিনিধি  : বন্দর উপজেলার মুসাপুর ইউনিয়নে প্রবাসী তরিকুলের স্ত্রী মুক্তা বেগম টুম্পার উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মানহানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে। আজ (১৪ই মার্চ)শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
  • সংবাদ সম্মেলনে মুক্তা বেগম টুম্পার লিখিত অভিযোগে বলেন, আমি একজন গৃহীনি আমার স্বামী দীর্ঘদিন যাবত দেশের বাহিরে কর্মরত আছে। আমার ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। ইতি পূর্বে আমার বাড়ীর জায়গা ঠিকমতাে বুঝিয়ে না পাওয়াতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযােগ করিলে পুলিশের সহযােগিতায় জায়গার সমস্যা সমাধান হয়, সেই থেকে অত্র এলাকার একটি কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে আসছে তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১২ই মার্চ বিকেল আনুমানিক ৬ টায় একদল সন্ত্রাসী তাদের মধ্যে মনির, আলী আকবর ,নাসির ,ওয়াসিম, বাবুল জহিরুল, মাসুম,আমু, আলামিন গং আমার বসত বাড়ীতে হামলা চালিয়ে আমার বুকে লাথি সহ গলা টিপ দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে আমাকে প্রাননাশে মেরে ফেলার চেষ্টা সহ আমাকে র্যাপ করার চেষ্টা করে পরে তারা।
    অপারক হয়ে ঘরে ভাঙ্গচুর করে চলে যায়। এ সময় আমার ৭ বছরের অবুঝ শিশুকে তারা ধরে রাখে এবং আমার ছেলের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। আমি চিৎকার করার পরে তারা পালিয়ে যায়। এর আগে তারা আমার ব্যবহারকৃত মােবাইল সেট স্যামসাং মােবইল নং ০১৮৬৩৯৬২৮৭৭ (৩ ক্যামেরা) ৩০ হাজার টাকা দামের ও ২ ভরি ওজনের গলার চেইন সহ ১ ভরি ওজনের হাতের স্বর্নের ব্যাচলেট নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তাদেরকে সাহায্য করে অত্র এলাকার মহিলা সন্ত্রাসী নিলুফা ইয়াসমিন,আছমা ও সপ্না এরা আমার বাড়ীর নিচে দাড়িয়ে পাহারা দেয়। হামলা হওয়ার আগে গনমাধ্যম ব্যাক্তিত্ব সম্পর্কে চাচা তার নিকট বিষয়টি অবহিত করে বলি যে, গােপন সংবাদে জানতে পারলাম আমার উপর যে কোন সময় শত্রু পক্ষ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা করতে পারে, ঠিক ঐ সময়ই উপরােক্ত সন্ত্রাসীরা আমার ঘরে ঠুকেই ফোনটি ছিনিয়ে নেই পরে গলার চেইন,ব্যাচলেট নিয়ে নেয়। এ সময় আমি চিৎকার করতে থাকি চাচা বন্দর থানা পুলিশকে ফোন দিন আমার উপর হামলা হয়েছে এর পর লাইনটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

    সন্ত্রাসীরা হামলা ছিনতাই করে চলে গেলে আমি নিজেকে বাচাতে একটি সি এন জি নিয়ে প্রথমে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ যায় সেখান থেকে আমাকে রেফার্ড করা হয় ভিকরিয়া হাসপাতালে। আমি পুনরায় সিএনজি নিয়ে বন্দর থানার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কিন্তু থানা গেট আসার পর আমার শারিরিক অবস্থা খারাপ হলে আমি আমার চাচার সাথে ভিকরিয়া হাসপাতালে রাত ৮.১০ মিনিটে চিকিৎসা নেয়। সেখান থেকে কর্তব্যরত ডাক্তার সিটি স্ক্যান ও গলার এক্সরে করতে বলে।

    আমার সাথে ঐ পরিমান টাকা না থাকায় আমি টেস্ট গুলাে না করে কোন প্রকার ব্যাথার ঔষুধ খেয়ে চাচা ও তার অফিস স্টাফ এর সহযােগিতা নিয়ে রাত ১১টার পরে একটি গাড়ী ভাড়া করে নিজ বাড়ী মালিবাগের উদ্দেশ্যে রওনা হলে জানতে পারি সন্ত্রাসীরা আমাকে পেলে পুনরায় হামলা করবে। তার পরেও আমি আল্লাহর নাম নিয়ে তাদেরকে নিয়ে নিজ বাড়ীতে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিপত্র নিয়ে রাত ১টায় আত্মরক্ষার্থে পুনরায় কাশিপুর আমার ফুফুর বাসায় অবস্থান নেই। সন্ত্রাসীরা আমাকে নিয়ে আজে বাজে কথা বলছে যা একজন সচেতন মেয়ে হিসেবে মেনে নিতে পারছিনা কারন একটি মেয়ের তার মুল সম্পদ হচ্ছে তার সত্বিত্ত।

    পুর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৫ই মার্চ ২০২১ এলাকার শত্রু পক্ষ বিল্লাল তার ১৫ বছরের ছেলেকে দিয়ে আমার ছেলেকে অহেতুক মেরে রক্তাক্ত জখম করে। বিল্লালের ছেলে কেন আমার ছেলেকে মেরেছে বিষয়টি জানার জন্য তার বাড়িতে গেলে সেখানে তারা আমাকে অশ্লিল ভাষায় গালা গালি করে এবং আমার ছেলেকে শ্বাসরুদ্ধ করে মারার চেষ্টা করে। পরে আমি সেখান থেকে ছেলেসহ চলে আসি। পরবর্তিতে আমার ও আমার ছেলের জীবনের নিরাপত্ত্বার জন্য বন্দর থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করি। বন্দর থানা পুলিশ তদন্ত করে এর সতত্যা পেলেও কুচক্রি মহলের কিছু ‘ক্ষমতা ধরদের কারনে তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে সক্ষম হচ্ছেনা। এই সব কিছুর মুল হোতা হিসেবে কাজ করছে অত্র এলাকার বসবাসকারী আসলাম তিনি বর্তমানে ঢাকা থাকেন। আমি কি অপরাধ করেছি তার কাছে যে, সে আমার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ লেলিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করে মানববন্ধন করাচ্ছে।

    মানববন্ধন থেকে কিছু নামধারী সাংবাদিকদের দিয়ে মনগড়া ভিডিও তৈরী করে এবং পুলিশের সাথে কথা বলে তারা আমার পূর্বের অভিযোগগুলো নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। আমার চারিত্রিক ও মানহানিকর অপপ্রচার করার জন্য তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া তথা ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করে এতে সমাজে আমার মান ক্ষুন্ন হয়। অত্র এলাকায় আমার পক্ষে স্বাক্ষীদের উপর হামলা করার চেষ্টা করে এমনকি তাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে যেন কোন প্রকার আমার পক্ষে পুলিশের কাছে সাক্ষী না দিতে পারে। ঐ সকল সাক্ষীদের ঘর ছাড়া করে। পরে পুলিশ কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেনকে তাদের অপকর্মের ধারন করা ভিডিও ফুটেজ দেখালে সে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে আমার স্বাক্ষীদের ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
    আজ আমি নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভুগছি এবং নিজ বাড়ী ছেড়ে আমাকে অনত্র থাকতে হচ্ছে। বন্দর থানা পুলিশ বিষয়টি অবগত আছে কিন্তু তারা এলাকার ক্ষমতাশালীদের কারনে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছেনা। তবে আমি ন্যায় বিচার পেতে ও আমার জীবনের নিরাপত্ত্বার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আজই লিখিত আকারে অভিযােগ দায়ের তথা মামলা করবো। এই সকল চিহ্নিত অপরাধিরা ভবিষ্যতে যেন সমাজের আর কোন অসহায় অবলা নারীদের চরিত্র নিয়ে কথা না বলতে পারে, সন্ত্রাসী হামলা না করতে পারে, সে ব্যাপারে আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।