নারায়ণগঞ্জ সংবাদ : নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার ধামগড় ইউনিয়নে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক গুড়িয়ে দেওয়ার পরও চলছে চেয়ারম্যান মাসুমের ইটভাটা। সে দীর্ঘ ১২’বছর ধরে সরকারের বিপুল অংকের ভ্যাট, ট্যাক্স ও আনুষঙ্গিক ফি ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করে যাচ্ছেন বন্দর থানার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ।
গত ২৬’জানুয়ারি মাসুম চেয়ারম্যানের অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করে একটি ইটভাটার চুল্লিগুড়িয়ে দেয় নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর। এ সময় চেয়ারম্যান মাসুমের একটি ইটভাটায় ১০’লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আদালতের আদেশ অমান্য করে বর্তমানে দু’টি ইটভাটার কার্যক্রমই চালাচ্ছেন চেয়ারম্যান মাসুম। নির্বাচনী হলফনামায় আয়ের উৎস উল্লেখ করলেও ইটভাটার ব্যবসায়িক তথ্য তিনি কৌশলে গোপন করেছেন। এছাড়া তিনি ধামগড় ইউনিয়ন এলাকায় অবৈধভাবে কৃষি জমির মাটি কেটে নিজের ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
কৃষি জমির মাটি কাটার ফলে তিতাস গ্যাস সঞ্চালন লাইনের পাইপ বের হয়ে যায়। তার এমন লোভনীয় কর্মকান্ডের কারনে সরকারি গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে দূর্ঘটনাসহ সরকারি সম্পদ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় বন্দর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তসহ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পারিদর্শন করে।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুমের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো অনেক ঘাটাঘাটি হইছে। এ কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেয়। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তার এই কর্মকান্ডে নিয়মিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।