নারায়ণগঞ্জ ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অপকর্ম চাঁদাবাজি সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ

নারায়ণগঞ্জে হত্যাকান্ডের ৫ দিন পর কবর থেকে গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

বন্দর প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে হত্যাকান্ডের ঘটনার ৫ দিন পর বেঁদে স¤প্রদায়ের গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার (২৭) এর মৃত দেহ স্থানীয় একটি কবরস্থান থেকে উত্তেলল করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ আগষ্ট) বন্দর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) সুরাইয়া ইয়াসমিনের উপস্থিতিতে থানা পুলিশ ওই মৃতদেহটি উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মহনপুর কবরস্থান থেকে উত্তেলন করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।এরআগে নিহত গৃহবধূর মা রোজিনা বেগমের দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে আদালত লাশ উত্তোলনের নির্দেশ প্রদান করে।নিহত গৃহবধূ ও এক সন্তানের জননী ফাতেমা আক্তার (২৭) মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মোল্লাকান্দী এলাকার নোয়াব মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং- ৮(৮)২২। ধারা- ৩০২/ ২০১/৩৪ পেনাল কোড- ১৮৬০।
জানা গেছে, গত ১০ বছর পূর্বে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মোল্লাকান্দী এলাকার বেঁদে নোয়াব মিয়ার মেয়ে ফাতেমার সাথে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর-ধলেরশ^রী এলাকার সিরাজ মাতবর মিয়ার ছেলে মোর্শেদ মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ফাহিম (৭) নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত ৩০ জুলাই দিবাগত রাত দেড়টায় ঘাতক স্বামী মোর্শেদের মামা আকবর মিয়া মামলার বাদিনীর ননদের স্বামী গিয়াস উদ্দিনের ০১৯৪২৯০৩১৩৪ নাম্বার মোবাইল ফোন দিয়ে গৃহবধূ ফাতেমা বেগম অসুস্থ্য বলে জানায়। এর দুই ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৩টায় স্বামী পক্ষের আত্মীয় স্বজনরা উল্লেখিত নাম্বারে আবার জানায় তাদের মেয়ে ফাতেমা বেগম মারা গেছে। এ সংবাদ পেয়ে নিহত গৃহবধূর পিতা-মাতাসহ তাদের আত্মীয় স্বজনরা ৩১ জুলাই সকাল ৮টায় স্বামীর বাড়িতে এসে লাশ দেখতে পায়। সে সাথে লাশের গলায় আঘাতের চিহিৃসহ নাক, কান ও গলা দিয়ে তরল পদার্থ দেখতে পায়।
গৃহবধূর স্বজনরা লাশ দাফনের জন্য মুন্সিগঞ্জে নিয়ে যেতে চাইলে ওই সময় ঘাতক স্বামী, শ^শুড়-শ^াশুড়ীসহ তাদের আত্মীয় স্বজনরা লাশ দিতে অনিহা প্রকাশ করে তড়িগড়ি ভাবে লাশ দাফন করে ফেলে। এ ছাড়াও ঘাতক স্বামী র্মোশেদ, শ^শুড় সিরাজ মাতবর ও শ^াশুড়ী কাজলী বেগম পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গৃহবধূ ফাতেমা আক্তারকে শাররিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতে বন্দর থানা পুলিশ মহনপুর কবরস্থান থেকে গৃহবধূ ফাতেমা আক্তারের লাশ উত্তেলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। মামলা দায়েরের পর থেকে স্বামী ও শ^শুড়-শ^াশুড়ী পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যহত রয়েছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অপকর্ম চাঁদাবাজি

নারায়ণগঞ্জে হত্যাকান্ডের ৫ দিন পর কবর থেকে গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২

বন্দর প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে হত্যাকান্ডের ঘটনার ৫ দিন পর বেঁদে স¤প্রদায়ের গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার (২৭) এর মৃত দেহ স্থানীয় একটি কবরস্থান থেকে উত্তেলল করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ আগষ্ট) বন্দর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) সুরাইয়া ইয়াসমিনের উপস্থিতিতে থানা পুলিশ ওই মৃতদেহটি উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মহনপুর কবরস্থান থেকে উত্তেলন করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।এরআগে নিহত গৃহবধূর মা রোজিনা বেগমের দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে আদালত লাশ উত্তোলনের নির্দেশ প্রদান করে।নিহত গৃহবধূ ও এক সন্তানের জননী ফাতেমা আক্তার (২৭) মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মোল্লাকান্দী এলাকার নোয়াব মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং- ৮(৮)২২। ধারা- ৩০২/ ২০১/৩৪ পেনাল কোড- ১৮৬০।
জানা গেছে, গত ১০ বছর পূর্বে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মোল্লাকান্দী এলাকার বেঁদে নোয়াব মিয়ার মেয়ে ফাতেমার সাথে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর-ধলেরশ^রী এলাকার সিরাজ মাতবর মিয়ার ছেলে মোর্শেদ মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ফাহিম (৭) নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত ৩০ জুলাই দিবাগত রাত দেড়টায় ঘাতক স্বামী মোর্শেদের মামা আকবর মিয়া মামলার বাদিনীর ননদের স্বামী গিয়াস উদ্দিনের ০১৯৪২৯০৩১৩৪ নাম্বার মোবাইল ফোন দিয়ে গৃহবধূ ফাতেমা বেগম অসুস্থ্য বলে জানায়। এর দুই ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৩টায় স্বামী পক্ষের আত্মীয় স্বজনরা উল্লেখিত নাম্বারে আবার জানায় তাদের মেয়ে ফাতেমা বেগম মারা গেছে। এ সংবাদ পেয়ে নিহত গৃহবধূর পিতা-মাতাসহ তাদের আত্মীয় স্বজনরা ৩১ জুলাই সকাল ৮টায় স্বামীর বাড়িতে এসে লাশ দেখতে পায়। সে সাথে লাশের গলায় আঘাতের চিহিৃসহ নাক, কান ও গলা দিয়ে তরল পদার্থ দেখতে পায়।
গৃহবধূর স্বজনরা লাশ দাফনের জন্য মুন্সিগঞ্জে নিয়ে যেতে চাইলে ওই সময় ঘাতক স্বামী, শ^শুড়-শ^াশুড়ীসহ তাদের আত্মীয় স্বজনরা লাশ দিতে অনিহা প্রকাশ করে তড়িগড়ি ভাবে লাশ দাফন করে ফেলে। এ ছাড়াও ঘাতক স্বামী র্মোশেদ, শ^শুড় সিরাজ মাতবর ও শ^াশুড়ী কাজলী বেগম পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গৃহবধূ ফাতেমা আক্তারকে শাররিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতে বন্দর থানা পুলিশ মহনপুর কবরস্থান থেকে গৃহবধূ ফাতেমা আক্তারের লাশ উত্তেলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। মামলা দায়েরের পর থেকে স্বামী ও শ^শুড়-শ^াশুড়ী পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যহত রয়েছে।