নারায়ণগঞ্জ ১১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জে রাজউকের অভিযানে ক্ষুব্ধ ভবন মালিকরা রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মজিবুর রহমান সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই শিক্ষার মান উন্নয়নের তাগিদ অস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদন না করেও অপপ্রচারের শিকার মহিউদ্দিন মোল্লা ! সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক

ইসি পুনর্গঠনের পূর্বে প্রয়োজন আইন প্রণয়ন : বাংলাদেশ ন্যাপ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

বর্তমানে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, গণতন্ত্র ও সুশাসনের অভাব। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। কারণ তারা ক্ষমতায় আছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) করতে সুনির্দিষ্ট আইন থাকার জরুরি বলে দাবী করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।

তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগে সুপারিশ প্রদানের জন্য সার্চ কমিটি গঠনের যে ব্যবস্থা বর্তমান ইসি ও তার আগের ইসি নিয়োগের সময় নেওয়া হয়েছে, তা ইসি নিয়োগে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়নের দাবিকে এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল ছাড়া অন্য কিছুই নয়। কারণ সরকারি দল তথা প্রধানমন্ত্রী সার্চ কমিটিতে যাদের নাম প্রস্তাব করবেন, রাষ্ট্রপতি তা-ই অনুমোদন করবেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, সার্চ কমিটি যে সরকারের পছন্দসই ব্যক্তিদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে, তা দিবালোকের মতই স্পষ্ট। কারণ সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে এসব পদে নিয়োগদানে কোনো স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগদানে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য।

তারা আরো বলেন, ইসি গঠনে সংবিধানের নির্দেশনা মোতাবেক ইসি নিয়োগে কোনো আইন প্রণীত না হওয়ায় স্বাধীনতার পর থেকে দলীয় সরকারগুলো জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য অধিকাংশ সময় তাদের দলীয় ভাবধারায় বিশ্বাসী ব্যক্তিদের নিয়ে ইসি গঠন করেছে। তাছাড়া, ক্ষমতাসীন কোনো দলের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে সে দলের পরাজিত হওয়ার নজির নেই।

নেতৃদ্বয় বলেন, বিতর্কহীন, সুষ্ঠু ও নির্বাচনের লক্ষে এই মুহুর্তে প্রয়োজন ইসি গঠনে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়ন। সকল রাজনৈতিক দলের উচিত হবে ইসি গঠনে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়নে সম্মিলিতভাবে জোর দাবি উত্থাপন করা। দেশবাসী বিশ্বাস করতে চায়, শাসক দল আওয়ামী লীগও আইনটি প্রণয়নে এগিয়ে আসবে। এতে তাদের দলের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জে রাজউকের অভিযানে ক্ষুব্ধ ভবন মালিকরা

ইসি পুনর্গঠনের পূর্বে প্রয়োজন আইন প্রণয়ন : বাংলাদেশ ন্যাপ

আপডেট সময় : ০৬:৪০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

বর্তমানে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, গণতন্ত্র ও সুশাসনের অভাব। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। কারণ তারা ক্ষমতায় আছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) করতে সুনির্দিষ্ট আইন থাকার জরুরি বলে দাবী করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।

তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগে সুপারিশ প্রদানের জন্য সার্চ কমিটি গঠনের যে ব্যবস্থা বর্তমান ইসি ও তার আগের ইসি নিয়োগের সময় নেওয়া হয়েছে, তা ইসি নিয়োগে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়নের দাবিকে এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল ছাড়া অন্য কিছুই নয়। কারণ সরকারি দল তথা প্রধানমন্ত্রী সার্চ কমিটিতে যাদের নাম প্রস্তাব করবেন, রাষ্ট্রপতি তা-ই অনুমোদন করবেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, সার্চ কমিটি যে সরকারের পছন্দসই ব্যক্তিদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে, তা দিবালোকের মতই স্পষ্ট। কারণ সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে এসব পদে নিয়োগদানে কোনো স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগদানে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য।

তারা আরো বলেন, ইসি গঠনে সংবিধানের নির্দেশনা মোতাবেক ইসি নিয়োগে কোনো আইন প্রণীত না হওয়ায় স্বাধীনতার পর থেকে দলীয় সরকারগুলো জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য অধিকাংশ সময় তাদের দলীয় ভাবধারায় বিশ্বাসী ব্যক্তিদের নিয়ে ইসি গঠন করেছে। তাছাড়া, ক্ষমতাসীন কোনো দলের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে সে দলের পরাজিত হওয়ার নজির নেই।

নেতৃদ্বয় বলেন, বিতর্কহীন, সুষ্ঠু ও নির্বাচনের লক্ষে এই মুহুর্তে প্রয়োজন ইসি গঠনে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়ন। সকল রাজনৈতিক দলের উচিত হবে ইসি গঠনে সংবিধান নির্দেশিত আইন প্রণয়নে সম্মিলিতভাবে জোর দাবি উত্থাপন করা। দেশবাসী বিশ্বাস করতে চায়, শাসক দল আওয়ামী লীগও আইনটি প্রণয়নে এগিয়ে আসবে। এতে তাদের দলের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।