নারায়ণগঞ্জ ০২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এতিমদের সন্মানে প্রবাসী সাংবাদিক ফারুক চানের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালরা দিচ্ছে পুলিশ ভেরিফিকেশন! রিয়াদে হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু সংবর্ধিত ইমারত নীতিমালা মানেনি স্বপ্ন বিলাস সিদ্ধিরগঞ্জে এশিয়ান টেলিভিশনের ১১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন আড়াইহাজারে দেশ রূপান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত সিদ্ধিরগঞ্জে দেশ রূপান্তরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ডায়মন্ড ক্লাব প্রিমিয়ার লীগে ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের দাবিতে দেড়ঘন্টা ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ সড়ক অবরোধ সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাক চাপায় বৃদ্ধার মৃত্যু শিশুসহ আহত-৩

ফ্রী ফায়ার আর পাবজি বন্ধ করুন : মোস্তফা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশে ফ্রি ফায়ার ও পাবজির মতো দুই গেম বন্ধের দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ওই দুটি গেম কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করেছে। যা মাদকের চাইতেই ভয়াবহ। আমাদের প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফ্রী ফায়ার আর পাবজি বন্ধের করার দাবিতে সেচ্ছাসেবক পথের আলো ফাউন্ডেশন আয়োজিত `মানববন্ধন’ কর্মসূচীতে সংহতি প্রকাশ করে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ফ্রী ফায়ার আর পাবজি গেম বন্ধে সরকারের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের বক্তব্য হতাশা জনক। তার সাম্প্রতিক বক্তব্য সমগ্র জাতিকে হতাশ করেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তিনি দেশের জনগনের প্রতিনিধি নন, এই সকল গেম ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি। তার কাছে জনগনের স্বার্থ নয়, লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত।

তিনি আরো বলেন, এ ধরনের গেম খেলার ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। অনলাইনে গেম খেলার পাশাপাশি ভার্চুয়ালি অর্থ লেনদেন হচ্ছে এমএমএস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। আর এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্র, সমাজ, ব্যক্তি ও পরিবার।

তিনি বলেন, সম্প্রতি নেপালে পাবজি নিষিদ্ধ করে দেশটির আদালত। একই কারণে ভারতের গুজরাটেও এ গেম খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি গেমটি খেলার জন্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। বাংলাদেশেও পাবজি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল, পরে আবার চালু করা হয়। কাদের স্বার্থে চালু করা হলো ?

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা মহামারিতে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে অনলাইনভিত্তিক ক্লাসের জন্য অভিভাবকরা সন্তানদের হাতে ল্যাপটপ, মোবাইল ডিভাইস তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এ সুযোগে তরুণ প্রজন্ম এ গেম দুটির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে।

ফ্রি ফায়ার ও পাবজি আসক্তির ভয়াবহতা তুলে ধরতে উদাহরণ দেন মহিউদ্দিন আহমেদ, গত ২১ মে চাঁদপুরে মামুন (১৪) নামে এক তরুণ মোবাইলের ডেটা কেনার টাকা না পেয়ে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করে।

মহিউদ্দিন বলেন, আমরা যখন আগামীর তরুণ প্রজন্মকে সহজলভ্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি, ঠিক তখন আগামী তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তির অপব্যবহার করে বিপথগামী হয়েছে, যা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং নিয়ন্ত্রক কমিশনকে দ্রুত এবং দ্রুততার সহিত এ গেমগুলোর অপব্যবহার বন্ধ এবং প্রযুক্তির ভালো দিক তুলে ধরতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

সেচ্ছাসেবক পথের আলো ফাউন্ডেশনর আহ্বায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম সাইফুলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মারুফ সরকারের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সেচ্ছাসেবক পথের আলো ফাউন্ডেশনর সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মহসীন মুন্সী, মোঃ শাকিল ইসলাম সহ আরো অনেকে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

এতিমদের সন্মানে প্রবাসী সাংবাদিক ফারুক চানের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ফ্রী ফায়ার আর পাবজি বন্ধ করুন : মোস্তফা

আপডেট সময় : ১১:৩২:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশে ফ্রি ফায়ার ও পাবজির মতো দুই গেম বন্ধের দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ওই দুটি গেম কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করেছে। যা মাদকের চাইতেই ভয়াবহ। আমাদের প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফ্রী ফায়ার আর পাবজি বন্ধের করার দাবিতে সেচ্ছাসেবক পথের আলো ফাউন্ডেশন আয়োজিত `মানববন্ধন’ কর্মসূচীতে সংহতি প্রকাশ করে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ফ্রী ফায়ার আর পাবজি গেম বন্ধে সরকারের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের বক্তব্য হতাশা জনক। তার সাম্প্রতিক বক্তব্য সমগ্র জাতিকে হতাশ করেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তিনি দেশের জনগনের প্রতিনিধি নন, এই সকল গেম ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি। তার কাছে জনগনের স্বার্থ নয়, লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত।

তিনি আরো বলেন, এ ধরনের গেম খেলার ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। অনলাইনে গেম খেলার পাশাপাশি ভার্চুয়ালি অর্থ লেনদেন হচ্ছে এমএমএস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। আর এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্র, সমাজ, ব্যক্তি ও পরিবার।

তিনি বলেন, সম্প্রতি নেপালে পাবজি নিষিদ্ধ করে দেশটির আদালত। একই কারণে ভারতের গুজরাটেও এ গেম খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি গেমটি খেলার জন্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। বাংলাদেশেও পাবজি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল, পরে আবার চালু করা হয়। কাদের স্বার্থে চালু করা হলো ?

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা মহামারিতে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে অনলাইনভিত্তিক ক্লাসের জন্য অভিভাবকরা সন্তানদের হাতে ল্যাপটপ, মোবাইল ডিভাইস তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এ সুযোগে তরুণ প্রজন্ম এ গেম দুটির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে।

ফ্রি ফায়ার ও পাবজি আসক্তির ভয়াবহতা তুলে ধরতে উদাহরণ দেন মহিউদ্দিন আহমেদ, গত ২১ মে চাঁদপুরে মামুন (১৪) নামে এক তরুণ মোবাইলের ডেটা কেনার টাকা না পেয়ে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করে।

মহিউদ্দিন বলেন, আমরা যখন আগামীর তরুণ প্রজন্মকে সহজলভ্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি, ঠিক তখন আগামী তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তির অপব্যবহার করে বিপথগামী হয়েছে, যা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং নিয়ন্ত্রক কমিশনকে দ্রুত এবং দ্রুততার সহিত এ গেমগুলোর অপব্যবহার বন্ধ এবং প্রযুক্তির ভালো দিক তুলে ধরতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

সেচ্ছাসেবক পথের আলো ফাউন্ডেশনর আহ্বায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম সাইফুলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মারুফ সরকারের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সেচ্ছাসেবক পথের আলো ফাউন্ডেশনর সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মহসীন মুন্সী, মোঃ শাকিল ইসলাম সহ আরো অনেকে।