নারায়ণগঞ্জ ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রি-পেইড মিটার বাতিল চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম সিদ্ধিরগঞ্জের বিক্ষুব্দ গ্রাহকদের সিদ্ধিরগঞ্জের মামলার ফাঁদে চুনা কারখানা মালিকরা আড়াইহাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর উদ্ধোধন চাঁদপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আড়াইহাজারে নৈরাজ্য, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিএনপির শান্তি সমাবেশ যৌথবাহিনীর অভিযান: আড়াইহাজারে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

রত্নগর্ভা ভাষাসৈনিক নাগিনা জোহার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১
  • ১৯১ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ সংবাদ :  ভাষাসৈনিক ও রত্নগর্ভা মা নাগিনা জোহার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৭ই মার্চ। ২০১৬ সালের এই দিনে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রয়াত নাগিনা জোহাকে স্মরণ করবে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারসহ বিভিন্ন সংগঠন।

পরিবারের পক্ষ থেকে বন্দরের নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয়ে বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও বাদ এশা ঢাকার হাই কোর্ট মাজারে মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় কোরআন শরিফ খতম ও দোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নাগিনা জোহা ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেম নগরের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই গ্রামটির নাম কাশেম নগর রাখা হয়। তার বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজ হিতৈষী ও কাশেম নগরের জমিদার। শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় তার বিশেষ সুনাম ছিল। মরহুম নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলীম লীগের সেক্রেটারি ও এম.এল.এ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্যসভার স্পিকার ছিলেন।

১৯৫০ সালে মেট্রিক পাস করেন নাগিনা জোহা। পরের বছর ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের সন্তান আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য একেএম শামসুজ্জোহার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়িতে এসেই ১৯৫২ সালের ‘রাষ্ট্র ভাষা’ বাংলার জন্য আন্দোলনে অংশ নেন।

এই দম্পতির বড় ছেলে প্রয়াত নাসিম ওসমান জাতীয় পার্টির হয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। মেজ ছেলে বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির এমপি। আর ছোট ছেলে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য।

নাগিনা জোহার শ্বশুর খান সাহেব ওসমান আলী ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠকদের অন্যতম। চাষাঢ়ায় তার বাড়ি বায়তুল আমানেই দল গঠনের প্রথম বৈঠক হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ঢেউ নারায়ণগঞ্জে ছড়িয়ে পড়লে ওই বাড়ি হয়ে ওঠে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।

সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে মৃত্যুর কয়েক বছর পূর্বে নাগিনা জোহা একটি সংবাদপত্রকে বলেছিলেন, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জে ছাত্রজনতার মিছিলে আরও কয়েকজন নারীর সঙ্গে তিনিও অংশ নিয়েছিলেন। পরে বৈঠকের খবর পেয়ে সিপাহিরা বায়তুল আমানে ঢোকার চেষ্টা করলে শ্বশুর-বউ মিলে তা ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ

রত্নগর্ভা ভাষাসৈনিক নাগিনা জোহার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেট সময় : ১০:০২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১

নারায়ণগঞ্জ সংবাদ :  ভাষাসৈনিক ও রত্নগর্ভা মা নাগিনা জোহার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৭ই মার্চ। ২০১৬ সালের এই দিনে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রয়াত নাগিনা জোহাকে স্মরণ করবে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারসহ বিভিন্ন সংগঠন।

পরিবারের পক্ষ থেকে বন্দরের নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয়ে বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও বাদ এশা ঢাকার হাই কোর্ট মাজারে মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় কোরআন শরিফ খতম ও দোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নাগিনা জোহা ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেম নগরের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই গ্রামটির নাম কাশেম নগর রাখা হয়। তার বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজ হিতৈষী ও কাশেম নগরের জমিদার। শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় তার বিশেষ সুনাম ছিল। মরহুম নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলীম লীগের সেক্রেটারি ও এম.এল.এ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্যসভার স্পিকার ছিলেন।

১৯৫০ সালে মেট্রিক পাস করেন নাগিনা জোহা। পরের বছর ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের সন্তান আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য একেএম শামসুজ্জোহার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়িতে এসেই ১৯৫২ সালের ‘রাষ্ট্র ভাষা’ বাংলার জন্য আন্দোলনে অংশ নেন।

এই দম্পতির বড় ছেলে প্রয়াত নাসিম ওসমান জাতীয় পার্টির হয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। মেজ ছেলে বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির এমপি। আর ছোট ছেলে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য।

নাগিনা জোহার শ্বশুর খান সাহেব ওসমান আলী ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠকদের অন্যতম। চাষাঢ়ায় তার বাড়ি বায়তুল আমানেই দল গঠনের প্রথম বৈঠক হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ঢেউ নারায়ণগঞ্জে ছড়িয়ে পড়লে ওই বাড়ি হয়ে ওঠে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।

সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে মৃত্যুর কয়েক বছর পূর্বে নাগিনা জোহা একটি সংবাদপত্রকে বলেছিলেন, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জে ছাত্রজনতার মিছিলে আরও কয়েকজন নারীর সঙ্গে তিনিও অংশ নিয়েছিলেন। পরে বৈঠকের খবর পেয়ে সিপাহিরা বায়তুল আমানে ঢোকার চেষ্টা করলে শ্বশুর-বউ মিলে তা ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন।