নারায়ণগঞ্জ ০১:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ অর্জনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অবদান রাখছেন

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫২:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

সৌদি আরব থেকে, কামরুজ্জামান (শাওন):   সৌদি আরবের জাজান প্রদেশের ফারাসান দ্বীপের গভর্নর হাসান বিন হোসাইন আল-হাজিমি জানিয়েছেন ভিশন-২০৩০ অর্জনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অবদান রাখছেন।

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

শুক্রবার রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

সৌদি আরবের জাজান প্রদেশের ফারাসান দ্বীপের গভর্নর হাসান বিন হোসাইন আল-হাজিমির সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। সেখানে গভর্নর তার কার্যালয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে বলেন, ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী প্রথম বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত যিনি ফারাসান দ্বীপ পরিদর্শনে এসেছেন। এটি এ দ্বীপবাসীর জন্য একটি অত্যন্ত আনন্দের দিন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকার, সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সেদেশে বসবাসরত ২৩ লক্ষাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ হতে গভর্নরকে শুভেচ্ছা জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ এর আওতায় পর্যটনের বিষয় উল্লেখ করে ফারাসান দ্বীপের সমুদ্র এবং প্রাকৃতিক নিদর্শন ও সৌন্দর্য্য এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশেও সেন্টমার্টিনসহ এরূপ বেশ কিছু দ্বীপ রয়েছে মর্মে উল্লেখ করে দু’দেশের পর্যটন কর্তৃপক্ষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং পর্যটক বিনিময়ের প্রস্তাব করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সৌদি আরবে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগে আগ্রহের বিষয়টি গভর্নরকে অবহিত করেন। অনুরুপভাবে সৌদি আরবের ব্যবসায়ীদেরও বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান।

ফারাসান দ্বীপের গভর্নর সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ উল্লেখ করে এর অর্জনে সেখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা উল্লেখ করে ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তিনি তার পক্ষ থেকে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

রাষ্ট্রদূত ইয়েমেন থেকে হুতি মিলিশিয়া কর্তৃক এ অঞ্চলে বারবার আক্রমণের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে সৌদি আরবের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

গভর্নর জানান, ফারাসান দ্বীপ এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি অনন্য সুন্দর দ্বীপ। এ অঞ্চলে ছোট বড় ২শ’টির অধিক দ্বীপ রয়েছে যার মধ্যে তিনটি দ্বীপে মানুষ বসবাস করে। এ দ্বীপে প্রায় ৯০ হাজার বছর পূর্বে মানুষের বসবাস শুরু হয়। আফ্রিকার পাশে এবং লোহিত সাগরে অবস্থিত হওয়ায় ভারত এবং দূরপ্রাচ্যের সঙ্গে আফ্রিকা ও আরব অঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে এ দ্বীপ কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দ্বীপটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায়, রোমান সময় থেকেই এটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে অত্যন্ত সুপরিচিত। ফারাসান দ্বীপ মতি, আকিকসহ অন্যান্য মূল্যবান রত্ন ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।

গভর্নর আরও জানান, প্রায় ১ হাজার ৪শ’ বর্গ কি.মি. দীর্ঘ এ দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।

বৈঠক শেষে দু’টি ভাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দীর্ঘকালের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বিষয় উল্লেখ করে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক উন্নতি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। রাষ্ট্রদূত ফারাসান দ্বীপের কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল এস এম আনিসুল হক ও রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকনমিক কাউন্সেলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ অর্জনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অবদান রাখছেন

আপডেট সময় : ০৪:৫২:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১

সৌদি আরব থেকে, কামরুজ্জামান (শাওন):   সৌদি আরবের জাজান প্রদেশের ফারাসান দ্বীপের গভর্নর হাসান বিন হোসাইন আল-হাজিমি জানিয়েছেন ভিশন-২০৩০ অর্জনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অবদান রাখছেন।

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

শুক্রবার রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

সৌদি আরবের জাজান প্রদেশের ফারাসান দ্বীপের গভর্নর হাসান বিন হোসাইন আল-হাজিমির সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। সেখানে গভর্নর তার কার্যালয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে বলেন, ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী প্রথম বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত যিনি ফারাসান দ্বীপ পরিদর্শনে এসেছেন। এটি এ দ্বীপবাসীর জন্য একটি অত্যন্ত আনন্দের দিন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকার, সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সেদেশে বসবাসরত ২৩ লক্ষাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ হতে গভর্নরকে শুভেচ্ছা জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ এর আওতায় পর্যটনের বিষয় উল্লেখ করে ফারাসান দ্বীপের সমুদ্র এবং প্রাকৃতিক নিদর্শন ও সৌন্দর্য্য এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশেও সেন্টমার্টিনসহ এরূপ বেশ কিছু দ্বীপ রয়েছে মর্মে উল্লেখ করে দু’দেশের পর্যটন কর্তৃপক্ষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং পর্যটক বিনিময়ের প্রস্তাব করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সৌদি আরবে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগে আগ্রহের বিষয়টি গভর্নরকে অবহিত করেন। অনুরুপভাবে সৌদি আরবের ব্যবসায়ীদেরও বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান।

ফারাসান দ্বীপের গভর্নর সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ উল্লেখ করে এর অর্জনে সেখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা উল্লেখ করে ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তিনি তার পক্ষ থেকে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

রাষ্ট্রদূত ইয়েমেন থেকে হুতি মিলিশিয়া কর্তৃক এ অঞ্চলে বারবার আক্রমণের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে সৌদি আরবের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

গভর্নর জানান, ফারাসান দ্বীপ এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি অনন্য সুন্দর দ্বীপ। এ অঞ্চলে ছোট বড় ২শ’টির অধিক দ্বীপ রয়েছে যার মধ্যে তিনটি দ্বীপে মানুষ বসবাস করে। এ দ্বীপে প্রায় ৯০ হাজার বছর পূর্বে মানুষের বসবাস শুরু হয়। আফ্রিকার পাশে এবং লোহিত সাগরে অবস্থিত হওয়ায় ভারত এবং দূরপ্রাচ্যের সঙ্গে আফ্রিকা ও আরব অঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে এ দ্বীপ কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দ্বীপটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায়, রোমান সময় থেকেই এটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে অত্যন্ত সুপরিচিত। ফারাসান দ্বীপ মতি, আকিকসহ অন্যান্য মূল্যবান রত্ন ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।

গভর্নর আরও জানান, প্রায় ১ হাজার ৪শ’ বর্গ কি.মি. দীর্ঘ এ দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।

বৈঠক শেষে দু’টি ভাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দীর্ঘকালের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বিষয় উল্লেখ করে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক উন্নতি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। রাষ্ট্রদূত ফারাসান দ্বীপের কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল এস এম আনিসুল হক ও রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকনমিক কাউন্সেলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান উপস্থিত ছিলেন।