নারায়ণগঞ্জ ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামেসহ অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প সরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে- বিকেএমইএর সভাপতি নানা আয়োজনে রিয়াদে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে আজ এনটিভির ২২তম জন্ম উৎসবের আয়োজন নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি হামলা শিকার মুক্তিযোদ্ধা চত্তরের স্মৃতি স্তম্ভ ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ রাজনীতি না করেও মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা আলমগীর

বন্দরে করোনায় ঝুঁকি নিয়েও মাঠ ছাড়েনি ইউএনও শুক্লা সরকার

স্টাফ রিপোর্টার:- বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেওয়া মরণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শুক্লা সরকারের দায়িত্বশীল কর্মতৎপরতা উপজেলার সর্বমহলে প্রশংসিত হয়ে উঠেছেন। করোনা মোকাবেলায় জনসমাগম এড়াতে কর্মহীন হয়ে পড়া দিন মজুর, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের বাড়িতে গিয়ে রাতের আঁধারে ঘুরে ঘুরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন ইউএনও শুক্লা সরকার । কখনো ছুটে চলেছেন শিশু খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে শিশুর বাড়িতে। এছাড়াও খাদ্য সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছেন হোম কোয়ান্টাইনে থাকা করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিবারের মাঝে। জানা গেছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি আতংকে পরিনত হওয়ার সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৯ টি ওয়ার্ডে সকল হাট-বাজার, বাস স্টেশন, গ্রামীন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বিভিন্ন সড়ক-উপসড়কে মাইকিং করে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার শুরু করেন। তাছাড়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং হোম কোয়ারেন্টাইন আইন অমান্যকারী বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের জরিমানা এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহন করেন। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও স্টেশনে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিকারি দোকানদার ও বিদেশ ফেরত ব্যাক্তিরা হোম কোয়ারেন্টাইন আইন না মানার অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার। এবং পুরো উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আড্ডা-জমায়েত বন্ধে প্রচারনা চালান। এ ভাইরাস সংক্রমন রোধ ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টি এবং দ্রব্যমূল্যের কৃত্রিম সংকট ও উর্দ্ধগতি নিয়ন্ত্রণে বিগত ১ মাস ধরে তিনি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যাক্তিদের স্যাম্পলকালেক সনের জন্য বুথ,পিপিইসহ যখন যা আমাদের প্রয়োজন ছিলো তিনি তাই আমাদের দিয়েছেন। বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার জানান, করোনা প্রথম থেকে আমাদের সাথে কিছু সেচ্ছাসেবকরা কাজ করেছেন, বিভিন্ন সাংবাদিক ভাইয়েরাও ছিলেন যারা আমাদের সঙ্গে ক্রান কার্যক্রমে তালিকা বাছাইয়েও সাহায্য করেছেন। বন্দর উপজেলায় সরকারি ত্রান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ১২ টি কিস্তিতে ১৬১ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি প্রনোদনা বরাদ্ধ পেয়েছি ১২ টি কিস্তিতে ৫ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা যা ইতিমধ্যে বিতরন করা হয়েছে। শুক্লা সরকার বলেন, আমরা বেসরকারি ভাবে ক্রান দিচ্ছি বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন কোম্পানি’র সহযোগীতায় আকিজ, এসিআই, আশা এনজিও যার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য। তাছাড়াও কলাগাছিয়া ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাদেরকে অনেক সহযোগীতা করছেন। আমাদের কাছে প্রতিদিনই ৩৩৩ এর মাধ্যমে যে ফোন আসে আমরা সেখান থেকে ১৫-২০ জনকে খাবার দিয়ে আসি। আমাদের উপজেলা প্রশাসনের কাছে ক্রান আসলে আমরা মানবিক বিবেচনা করে সিটিতেও দিচ্ছি, এছাড়া লাঙ্গলবন্দ বেদে পল্লিতে ক্রান দিয়েছি ৩ বার মদনগঞ্জের বেদে পল্লিতে দিয়েছি ২ বার, উপজেলার খামারিদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে ডিম ও গরুর দুধ কিনে এবং ডাল, সুজি শিশু খাদ্য হিসেবে বিতরন করেছি। করোনায় আক্রান্ত আমাদের ৩ জন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ও উপজেলা কর্মকর্তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগীতা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষ আতংকিত। বন্দর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে রিক্সা চালক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষ, অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের অনেকেই আর্থিক সংকটে পড়তে পারে। সংকটময় এ মুহুর্তে তাদের সাহায্যে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসা দরকার। তিনি করোনা সংক্রমন রোধে নিজের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে ভালভাবে বেঁচে থাকার সুবিধার্থে সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে চলে ঘরে অবস্থান করার অনুরোধ জানান।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি

বন্দরে করোনায় ঝুঁকি নিয়েও মাঠ ছাড়েনি ইউএনও শুক্লা সরকার

আপডেট সময় : ০৪:০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার:- বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেওয়া মরণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শুক্লা সরকারের দায়িত্বশীল কর্মতৎপরতা উপজেলার সর্বমহলে প্রশংসিত হয়ে উঠেছেন। করোনা মোকাবেলায় জনসমাগম এড়াতে কর্মহীন হয়ে পড়া দিন মজুর, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের বাড়িতে গিয়ে রাতের আঁধারে ঘুরে ঘুরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন ইউএনও শুক্লা সরকার । কখনো ছুটে চলেছেন শিশু খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে শিশুর বাড়িতে। এছাড়াও খাদ্য সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছেন হোম কোয়ান্টাইনে থাকা করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিবারের মাঝে। জানা গেছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি আতংকে পরিনত হওয়ার সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৯ টি ওয়ার্ডে সকল হাট-বাজার, বাস স্টেশন, গ্রামীন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বিভিন্ন সড়ক-উপসড়কে মাইকিং করে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার শুরু করেন। তাছাড়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং হোম কোয়ারেন্টাইন আইন অমান্যকারী বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের জরিমানা এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহন করেন। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও স্টেশনে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিকারি দোকানদার ও বিদেশ ফেরত ব্যাক্তিরা হোম কোয়ারেন্টাইন আইন না মানার অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার। এবং পুরো উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আড্ডা-জমায়েত বন্ধে প্রচারনা চালান। এ ভাইরাস সংক্রমন রোধ ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টি এবং দ্রব্যমূল্যের কৃত্রিম সংকট ও উর্দ্ধগতি নিয়ন্ত্রণে বিগত ১ মাস ধরে তিনি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যাক্তিদের স্যাম্পলকালেক সনের জন্য বুথ,পিপিইসহ যখন যা আমাদের প্রয়োজন ছিলো তিনি তাই আমাদের দিয়েছেন। বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার জানান, করোনা প্রথম থেকে আমাদের সাথে কিছু সেচ্ছাসেবকরা কাজ করেছেন, বিভিন্ন সাংবাদিক ভাইয়েরাও ছিলেন যারা আমাদের সঙ্গে ক্রান কার্যক্রমে তালিকা বাছাইয়েও সাহায্য করেছেন। বন্দর উপজেলায় সরকারি ত্রান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ১২ টি কিস্তিতে ১৬১ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি প্রনোদনা বরাদ্ধ পেয়েছি ১২ টি কিস্তিতে ৫ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা যা ইতিমধ্যে বিতরন করা হয়েছে। শুক্লা সরকার বলেন, আমরা বেসরকারি ভাবে ক্রান দিচ্ছি বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন কোম্পানি’র সহযোগীতায় আকিজ, এসিআই, আশা এনজিও যার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য। তাছাড়াও কলাগাছিয়া ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাদেরকে অনেক সহযোগীতা করছেন। আমাদের কাছে প্রতিদিনই ৩৩৩ এর মাধ্যমে যে ফোন আসে আমরা সেখান থেকে ১৫-২০ জনকে খাবার দিয়ে আসি। আমাদের উপজেলা প্রশাসনের কাছে ক্রান আসলে আমরা মানবিক বিবেচনা করে সিটিতেও দিচ্ছি, এছাড়া লাঙ্গলবন্দ বেদে পল্লিতে ক্রান দিয়েছি ৩ বার মদনগঞ্জের বেদে পল্লিতে দিয়েছি ২ বার, উপজেলার খামারিদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে ডিম ও গরুর দুধ কিনে এবং ডাল, সুজি শিশু খাদ্য হিসেবে বিতরন করেছি। করোনায় আক্রান্ত আমাদের ৩ জন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ও উপজেলা কর্মকর্তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগীতা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষ আতংকিত। বন্দর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে রিক্সা চালক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষ, অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের অনেকেই আর্থিক সংকটে পড়তে পারে। সংকটময় এ মুহুর্তে তাদের সাহায্যে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসা দরকার। তিনি করোনা সংক্রমন রোধে নিজের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে ভালভাবে বেঁচে থাকার সুবিধার্থে সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে চলে ঘরে অবস্থান করার অনুরোধ জানান।