নারায়ণগঞ্জ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে – মুহাম্মাদ গিয়াসউদ্দিন ‘বিএনপির সাইনবোর্ডে’ সোনারগাঁয়ে চাঁদার নিয়ন্ত্রণ ও দখলের অভিযোগ সেলিম সরকারের বিরুদ্ধে নিজের অপকর্ম ঢাকতে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সাগরের বিরুদ্ধে শামিম ঢালীর মানববন্ধন সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজি, বিচাররের দাবিতে মানববন্ধন রূপগঞ্জের ফকির ফ্যাশন লিঃ শ্রমিকদের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী তৎপর চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ আহত-৮ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামে, অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা

সিদ্ধিরগঞ্জ ধনুহাজী রোডে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই হক কয়েল কারখানা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯
  • ৪২৬ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :নারায়ণগঞ্জ তিতাসের ভ্রাম্যমান আদালত একাধিকবার অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরও বুক ফুলিয়ে দাপটের সাথে চলছে বজলুল হকের হক কয়েল কারখানা। দেখতে বস্তি ঘরের মত মনে হলেও ভিতরে তৈরি করা হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকার মশার কয়েল। পরিবেশ নীতিমালার কোন তোয়াক্কা না করে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি ধনহাজী রোড ঘনবসতী আবাসিক এলাকায় গড়ে তুলা হয়েছে অবৈধ হক কয়েল কারখানা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর কয়েল কারখানা গড়ে তুলেছেন বজলুল হক। দিয়েছেন অবৈধ ভাবে গ্যাস লাইন সংযোগ। উপরে তীরপালের চাল। ভাঙ্গাচুরা দেয়াল। দেখতে মনে হয় একটি বস্তি ঘর। প্রধান গেইটে সবসময় লাগানো থাকে তালা। ভিতরের প্রবেশ করা হয় পিছনের একটি গোপন দরোজা দিয়ে। কারখানার সামনেই অন্য একটি বাড়ীতে হক কয়েল কারখানার অফিস। এক বাড়ীতে কারখানা আরেক বাড়ীতে অফিস। এই অভিনব কৌশলে কয়েল কারখানা চালাচ্ছে বজলু। সরকারি অনুমোদন না থাকায় হক কয়েলে কিটনাশক ব্যবহারের পরিমান ব্যবহার করা হচ্ছে মনগড়া মতে।

অভিযোগ জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে একাধিকবার হক কয়েল কারখানার অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। তিতাসের ভ্রাম্যমান আদালত লাইন বিচ্ছিন্ন করে চলে যাওয়ার পর বজলুর রহমান আবার চোরাই লাইন সংযোগ দেয়। সূত্র জানায় তিতাস গ্যাসের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বজলু অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ দেয়। ফলে উর্ধ্বতন মহল লাইন বিচ্ছিন্ন করলেও বজলুর কোন সমস্যা হয়না।

এ বিষয়ে কারখানা মালিক বজলুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে। আমি অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করছিনা।

নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মঈনুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি আগে এই এলাকার দায়িত্বে ছিলাম না। সম্প্রতি দায়িত্ব পেয়েছি। হক কয়েল কারখানার পরিবেশ ছাড়পত্র আছে কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে – মুহাম্মাদ গিয়াসউদ্দিন

সিদ্ধিরগঞ্জ ধনুহাজী রোডে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই হক কয়েল কারখানা

আপডেট সময় : ১২:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :নারায়ণগঞ্জ তিতাসের ভ্রাম্যমান আদালত একাধিকবার অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরও বুক ফুলিয়ে দাপটের সাথে চলছে বজলুল হকের হক কয়েল কারখানা। দেখতে বস্তি ঘরের মত মনে হলেও ভিতরে তৈরি করা হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকার মশার কয়েল। পরিবেশ নীতিমালার কোন তোয়াক্কা না করে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি ধনহাজী রোড ঘনবসতী আবাসিক এলাকায় গড়ে তুলা হয়েছে অবৈধ হক কয়েল কারখানা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর কয়েল কারখানা গড়ে তুলেছেন বজলুল হক। দিয়েছেন অবৈধ ভাবে গ্যাস লাইন সংযোগ। উপরে তীরপালের চাল। ভাঙ্গাচুরা দেয়াল। দেখতে মনে হয় একটি বস্তি ঘর। প্রধান গেইটে সবসময় লাগানো থাকে তালা। ভিতরের প্রবেশ করা হয় পিছনের একটি গোপন দরোজা দিয়ে। কারখানার সামনেই অন্য একটি বাড়ীতে হক কয়েল কারখানার অফিস। এক বাড়ীতে কারখানা আরেক বাড়ীতে অফিস। এই অভিনব কৌশলে কয়েল কারখানা চালাচ্ছে বজলু। সরকারি অনুমোদন না থাকায় হক কয়েলে কিটনাশক ব্যবহারের পরিমান ব্যবহার করা হচ্ছে মনগড়া মতে।

অভিযোগ জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে একাধিকবার হক কয়েল কারখানার অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। তিতাসের ভ্রাম্যমান আদালত লাইন বিচ্ছিন্ন করে চলে যাওয়ার পর বজলুর রহমান আবার চোরাই লাইন সংযোগ দেয়। সূত্র জানায় তিতাস গ্যাসের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বজলু অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ দেয়। ফলে উর্ধ্বতন মহল লাইন বিচ্ছিন্ন করলেও বজলুর কোন সমস্যা হয়না।

এ বিষয়ে কারখানা মালিক বজলুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে। আমি অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করছিনা।

নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মঈনুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি আগে এই এলাকার দায়িত্বে ছিলাম না। সম্প্রতি দায়িত্ব পেয়েছি। হক কয়েল কারখানার পরিবেশ ছাড়পত্র আছে কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।