নারায়ণগঞ্জ ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি পাগলাবাড়ীতে মশার কয়েল তৈরির অবৈধ কারখানা : কাজ করছে শিশু শ্রমিক

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯
  • ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাগলাবাড়ী আবাসিক এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে গড়ে তুলা হয়েছে মশার কয়েল তৈরির কারখানা। শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ে। যা শিশু শ্রমিক আইন লগ্নন। পরিবেশ নীতিমালা অমান্য করে জনস্বাস্থ্যের তিকর বিভিন্ন রকমের কয়েল তৈরি করা হচ্ছে এই কারখানায়। স্থানীয় প্রভাবশালী ও সংশ্লিষ্ট মহলকে ম্যানেজ করে অবৈধ কয়েল কারখানা গড়ে তুলায় জনমনে বিরাজ করছে ােভ। রহস্যজনক কারণে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করছেন না স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।

অভিযোগ জানা গেছে, নাসিক ১ নং ওয়ার্ড মিজমিজি পাগলাবাড়ী এলাকায় সরকারি অনুমোদন ছাড়াই মশার কয়েল তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছে মিরাজ হোসেন। তৈরি করা হচ্ছে চ্যালেন্স ব্রান্ডের কয়েল। শুধু একটি নয় কয়েক নামের কয়েল তৈরি হচ্ছে এই কারখানায়। সরকারি অনুমতি না থাকলেও এই কারখানার তৈরি কয়েল সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে বাজার জাত করা হচ্ছে। কারখানার প্রধান গেইটে তালা লাগিয়ে ভিতরে গোপনে তৈরি করা হচ্ছে এসব কয়েল।

জানা গেছে, মশার কয়েল তৈরির প্রধান উপাদান হলো পাইরোফ্রয়েড। এটি প্রাকৃতিক যৌগ পাইরোগ্রাম থেকে পাওয়া যায়। তাছাড়া অ্যালেট্রিন-এর মতো সমধর্মী যৌগ থেকেও তা পাওয়া যায়। তাপ পেলে ম্যাটের পাইরোফ্রয়েড বাষ্পীভূত হয়। নির্দিষ্ট তাপমাত্রা প্রযয়োগের জন্য ম্যাটকে ম্যাটহিটারের হিটপেস্নটে রাখতে হয়। এর আসল সক্রিয় উপাদান হলো কীটনাশক ডিডিটি বা পিন্ডেনের মতো কোরিনেটেড হাইড্রোকার্বন, প্যারাফিনের মতো আরপ্যানো ফসফরাস যৌগ এবং কার্বন। এসব উপাদান ব্যবহার করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাপ প্রয়োজন। অতিরিক্ত হলে মানব দেহের জন্য খুব তিকর। গবেষকদের মতে, একটি মশার কয়েল থেকে যে পরিমান ধোঁয়া নির্গত হয় তা একশ সিগারেটের সমান। কয়েলে নির্দিষ্ট মাত্রায় কিটনাশক ব্যবহার করলেও শ্বাসকষ্ট, কাশি ও ফুসফুসের সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয় তাহলে মানব দেহের জন্য খুব তিকর।

অভিযোগ জানা গেছে, সরকারি অনোমতি না থাকায় মিরাজ হোসেনের কারখানায় তৈরি কয়েলে কিটনাশক ব্যবহার করার পরিা-নিরীা হচ্ছে না। নিজের মনগাড়া মতেই ব্যবহার করছে কিটনাশক। ফলে কারখানার আশপাশের বাসিন্দারা রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুকিতে। কারণ, কয়েল তৈরির কারখানার চারপাশে কমপে একশ গজ পর্যন্ত গন্ধ ছড়ায়। এই গন্ধ বিষাক্ত। প্রভাবশালী মহল ম্যানেজ থাকায় এলাকায় সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে হস্তপে কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।

এ বিষয়ে কারখানা মালিক মিরাজ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে ম্যানেজার টুটুল জানায়, স্থানীয় প্রশাসন ও কাস্টম কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই কারখানা চালানো হচ্ছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি পাগলাবাড়ীতে মশার কয়েল তৈরির অবৈধ কারখানা : কাজ করছে শিশু শ্রমিক

আপডেট সময় : ১০:৩৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাগলাবাড়ী আবাসিক এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে গড়ে তুলা হয়েছে মশার কয়েল তৈরির কারখানা। শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ে। যা শিশু শ্রমিক আইন লগ্নন। পরিবেশ নীতিমালা অমান্য করে জনস্বাস্থ্যের তিকর বিভিন্ন রকমের কয়েল তৈরি করা হচ্ছে এই কারখানায়। স্থানীয় প্রভাবশালী ও সংশ্লিষ্ট মহলকে ম্যানেজ করে অবৈধ কয়েল কারখানা গড়ে তুলায় জনমনে বিরাজ করছে ােভ। রহস্যজনক কারণে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করছেন না স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।

অভিযোগ জানা গেছে, নাসিক ১ নং ওয়ার্ড মিজমিজি পাগলাবাড়ী এলাকায় সরকারি অনুমোদন ছাড়াই মশার কয়েল তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছে মিরাজ হোসেন। তৈরি করা হচ্ছে চ্যালেন্স ব্রান্ডের কয়েল। শুধু একটি নয় কয়েক নামের কয়েল তৈরি হচ্ছে এই কারখানায়। সরকারি অনুমতি না থাকলেও এই কারখানার তৈরি কয়েল সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে বাজার জাত করা হচ্ছে। কারখানার প্রধান গেইটে তালা লাগিয়ে ভিতরে গোপনে তৈরি করা হচ্ছে এসব কয়েল।

জানা গেছে, মশার কয়েল তৈরির প্রধান উপাদান হলো পাইরোফ্রয়েড। এটি প্রাকৃতিক যৌগ পাইরোগ্রাম থেকে পাওয়া যায়। তাছাড়া অ্যালেট্রিন-এর মতো সমধর্মী যৌগ থেকেও তা পাওয়া যায়। তাপ পেলে ম্যাটের পাইরোফ্রয়েড বাষ্পীভূত হয়। নির্দিষ্ট তাপমাত্রা প্রযয়োগের জন্য ম্যাটকে ম্যাটহিটারের হিটপেস্নটে রাখতে হয়। এর আসল সক্রিয় উপাদান হলো কীটনাশক ডিডিটি বা পিন্ডেনের মতো কোরিনেটেড হাইড্রোকার্বন, প্যারাফিনের মতো আরপ্যানো ফসফরাস যৌগ এবং কার্বন। এসব উপাদান ব্যবহার করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাপ প্রয়োজন। অতিরিক্ত হলে মানব দেহের জন্য খুব তিকর। গবেষকদের মতে, একটি মশার কয়েল থেকে যে পরিমান ধোঁয়া নির্গত হয় তা একশ সিগারেটের সমান। কয়েলে নির্দিষ্ট মাত্রায় কিটনাশক ব্যবহার করলেও শ্বাসকষ্ট, কাশি ও ফুসফুসের সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয় তাহলে মানব দেহের জন্য খুব তিকর।

অভিযোগ জানা গেছে, সরকারি অনোমতি না থাকায় মিরাজ হোসেনের কারখানায় তৈরি কয়েলে কিটনাশক ব্যবহার করার পরিা-নিরীা হচ্ছে না। নিজের মনগাড়া মতেই ব্যবহার করছে কিটনাশক। ফলে কারখানার আশপাশের বাসিন্দারা রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুকিতে। কারণ, কয়েল তৈরির কারখানার চারপাশে কমপে একশ গজ পর্যন্ত গন্ধ ছড়ায়। এই গন্ধ বিষাক্ত। প্রভাবশালী মহল ম্যানেজ থাকায় এলাকায় সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে হস্তপে কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।

এ বিষয়ে কারখানা মালিক মিরাজ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে ম্যানেজার টুটুল জানায়, স্থানীয় প্রশাসন ও কাস্টম কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই কারখানা চালানো হচ্ছে।