নারায়ণগঞ্জ ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে – মুহাম্মাদ গিয়াসউদ্দিন ‘বিএনপির সাইনবোর্ডে’ সোনারগাঁয়ে চাঁদার নিয়ন্ত্রণ ও দখলের অভিযোগ সেলিম সরকারের বিরুদ্ধে নিজের অপকর্ম ঢাকতে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সাগরের বিরুদ্ধে শামিম ঢালীর মানববন্ধন সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজি, বিচাররের দাবিতে মানববন্ধন রূপগঞ্জের ফকির ফ্যাশন লিঃ শ্রমিকদের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী তৎপর চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ আহত-৮ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামে, অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা

নারায়ণগেঞ্জ ইটভাটায় পরিবেশ দূষণ : উদাসীন সংশ্লিষ্টরা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৪৫ বার পড়া হয়েছে

 

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণঞ্জে পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অর্থ জরিমানা করা হলেও কোন লাভ হচ্ছে না। ম্যানেজ পক্রিয়ায় যথারিতি চলছে জেলার বিভিন্ন থানায় গড়ে উঠা কয়েকশ ইটভাটা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় বাংলাদেশের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর নারায়ণগঞ্জ জেলার নাম আসলেও পরিবেশ দূষণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদাসিন।
জানা গেছে, চলতি মাসের গত ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ১২টি ইটভাটাকে সাড়ে ৪১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার আগে গত ১২ মার্চ ২৫ টি ইটভাটাকে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিয়ম না মেনে ইটভাটা পরিচালনা করায় জরিমানার পাশাপাশি একটি ইটভাটার ইট ভেকু দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার ৭ টি থানার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইটভাটা ফতুল্লা ও রূপগঞ্জে। এসব ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। যথাযথ ভাবে ইটভাটার সিমিনি নির্মাণ না করায় ধোঁয়া বেশি উপরে যাচ্ছে না। এতে প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর। ফতুল্লার পাগলা, ধর্মগঞ্জ, বক্তাবলী ও আলীরটেক এলাকায় কমপক্ষে শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই এসব ইটভাটার মলিক। এসব ইট ভাটায় সরাসরি কাঠ ও কয়লা পোড়ানো হয়। যার ফলে ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে পশুপাখি গাছপালাসহ মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি করছে। রূপগঞ্জ উপজেলাতেও রয়েছে শতাধিক ইটভাটা। যা সরকারি নিয়ম মোতাবেক গড়ে উঠেনি।
নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় সাড়ে তিনশ’ ইটভাটা রয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫টি ইটভাটা চলছে নিয়ম মেনে। বাকী ১২৮টি ইটভাটা আদালতে রিট করে পরিচালনা করছে। এছাড়া বাকি সব ইটভাটাই অবৈধভাবে চলছে। পরিবেশ দূষণের মূলে এসব ইটভাটাকে দায়ি করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ, ইটভাটার চিমিনি নিয়ম না মেনে তৈরি করায় পরিবেশ দূষণ মাত্রাতিরিক্ত আকার ধারণ করেছে। যার কারণে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, কাবর্ন-মনোঅক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড, এসপিএমসহ মিশে মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি করছে। ফলে ইটভাটাগুলোর আশপাশের সাধারণ মানুষ কিডনি ও শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
অভিযোগ জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তা, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে চলছে ইটভাটা। ম্যানেজ পক্রিয়ার কারণে ইটভাটা মালিকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারি কোন নিয়মনীতি মানছেনা।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে – মুহাম্মাদ গিয়াসউদ্দিন

নারায়ণগেঞ্জ ইটভাটায় পরিবেশ দূষণ : উদাসীন সংশ্লিষ্টরা

আপডেট সময় : ০৩:৩১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০১৯

 

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণঞ্জে পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অর্থ জরিমানা করা হলেও কোন লাভ হচ্ছে না। ম্যানেজ পক্রিয়ায় যথারিতি চলছে জেলার বিভিন্ন থানায় গড়ে উঠা কয়েকশ ইটভাটা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় বাংলাদেশের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর নারায়ণগঞ্জ জেলার নাম আসলেও পরিবেশ দূষণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদাসিন।
জানা গেছে, চলতি মাসের গত ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ১২টি ইটভাটাকে সাড়ে ৪১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার আগে গত ১২ মার্চ ২৫ টি ইটভাটাকে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিয়ম না মেনে ইটভাটা পরিচালনা করায় জরিমানার পাশাপাশি একটি ইটভাটার ইট ভেকু দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার ৭ টি থানার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইটভাটা ফতুল্লা ও রূপগঞ্জে। এসব ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। যথাযথ ভাবে ইটভাটার সিমিনি নির্মাণ না করায় ধোঁয়া বেশি উপরে যাচ্ছে না। এতে প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর। ফতুল্লার পাগলা, ধর্মগঞ্জ, বক্তাবলী ও আলীরটেক এলাকায় কমপক্ষে শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই এসব ইটভাটার মলিক। এসব ইট ভাটায় সরাসরি কাঠ ও কয়লা পোড়ানো হয়। যার ফলে ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে পশুপাখি গাছপালাসহ মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি করছে। রূপগঞ্জ উপজেলাতেও রয়েছে শতাধিক ইটভাটা। যা সরকারি নিয়ম মোতাবেক গড়ে উঠেনি।
নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় সাড়ে তিনশ’ ইটভাটা রয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫টি ইটভাটা চলছে নিয়ম মেনে। বাকী ১২৮টি ইটভাটা আদালতে রিট করে পরিচালনা করছে। এছাড়া বাকি সব ইটভাটাই অবৈধভাবে চলছে। পরিবেশ দূষণের মূলে এসব ইটভাটাকে দায়ি করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ, ইটভাটার চিমিনি নিয়ম না মেনে তৈরি করায় পরিবেশ দূষণ মাত্রাতিরিক্ত আকার ধারণ করেছে। যার কারণে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, কাবর্ন-মনোঅক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড, এসপিএমসহ মিশে মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি করছে। ফলে ইটভাটাগুলোর আশপাশের সাধারণ মানুষ কিডনি ও শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
অভিযোগ জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তা, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে চলছে ইটভাটা। ম্যানেজ পক্রিয়ার কারণে ইটভাটা মালিকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারি কোন নিয়মনীতি মানছেনা।