নারায়ণগঞ্জ ০১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামেসহ অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প সরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে- বিকেএমইএর সভাপতি নানা আয়োজনে রিয়াদে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে আজ এনটিভির ২২তম জন্ম উৎসবের আয়োজন নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি হামলা শিকার মুক্তিযোদ্ধা চত্তরের স্মৃতি স্তম্ভ ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ রাজনীতি না করেও মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা আলমগীর

চাঁদা দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলছে ফিটনেসহীন লেগুনা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৯
  • ২০৩ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ষ্ট্যান্ড বানিয়ে দৈনিক চাঁদা দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে ফিটনেস বিহীন লক্কড়-ঝক্কড় লেগুনা পরিবহন। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা, পুলিশ প্রশাসন ও ট্রাফিক বিভাগকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে আবাদে চলাচল করছে যাত্রীবাহী এসব লেগুনা। অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক হেলপাড় ছাড়াও এসব লেগুনা চলাচল করছে মহাসড়কের রং সাইটে। এতে একদিকে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট অপর দিকে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারাচ্ছে পথচারীরা।
জনবহুল শিমরাইল মোড়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে চাঁন সুপার মার্কেটের সামন থেকে হাজী ইব্রাহীম খলিল শপিং টাউর পর্যন্ত সড়ক পরিণত হয়েছে লেগুনা ষ্ট্যান্ডে। মহাসড়ককে ষ্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রী উঠানামা করায় শিমরাইল মোড়ে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। শিমরাইল মোড় থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী, ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত চলাচলকারী শতাধিক লেগুনা পরিবহনের সিংহ ভাগই ফিটনেস বিহীন। নেই কনো কাগজপত্র। অনেক চালক ও হেলপার অপ্রাপ্ত বয়স্ক। এসব অপ্রাপ্ত বয়স্করা কি করে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেল তা জানতে চাইলে চালকদের হাস্যজ্জল উত্তর, টাকা হলে এ দেশে সবই সম্ভব। ট্রাফিক সার্জেন্টরা কিছু বলে না জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চালক জানায়, মালপানি পেলে সার্জেন্টরা কিছুই করেনা। মাল না দিলে সমস্যা আছে।
মহাসড়কে চলাচল কারী লেগুনা পরিবহনের চালক ও মালিকদের সরল স্বীকারোক্তি দৈনিক চাঁদা দিয়ে গাড়ী চালানো হচ্ছে। গাড়ীপ্রতি দৈনিক ৫০০ টাকা করে জিপি(প্রশাসনের জন্য) আর দেড়শ টাকা করে চাঁদা দিয়ে মূলত লেগুনা চলাচল করছে। জিপি ও চাঁদা আদায় করার জন্য লাইনম্যান রয়েছে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন লেগুনা মালিক জানায়, জিপি ও শিমরাইল মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ এবং স্থানীয় নেতাদের চাঁদা দিয়ে লেগুনা চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঢাকার দিকে যওয়ার সময় লেগুনা পরিবহন সড়কের সঠিক সাইট দিয়ে গেলেও ফিরে আসার সময় সাইনবোর্ড পর্যন্ত আসে সঠিক সাইটে। সাইনবোর্ড থেকে অধিকাংশ লেগুনা সড়কের রং সাইট দিয়ে শিমরাইল মোড় যায়। এতে যাত্রীদের জীবন চরম ঝুকির মধ্যে থাকে। কারণ রং সাইটে যাইতে গিয়ে প্রায় সময় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। ট্রাফিক পুলিশদের চোখের সামন দিয়েই এসব লেগুনা মহাসড়কের রং সাইট দিয়ে চলাচল করলেও রহস্যজনক কারণে ট্রাফিক সার্জেন্টরা নিরব। লেগুনা পরিবহনের বেপরোয়া চলাচলের কারণে শিমরাইল মোড়ে প্রতিনিয়তই তীব্র যানজট লেগে থাকে। ইটার্ণ দিয়ে এলোপাথারি চলাচল করে গাড়ীর জটলা লাগিয়ে রাখছে লেগুনা পরিবহন। অথচ ট্রাফিক পুলিশ এ নিয়ে কোন মাথাই ঘামাচ্ছেন না বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
এ বিষয়ে জানতে শিমরাইল মোড়ে দায়িত্বরত টিআই মোল্যা তাসলিম এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও নম্ভব হয়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারের একাধিক বার ফোন করলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি

চাঁদা দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলছে ফিটনেসহীন লেগুনা

আপডেট সময় : ১০:১৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ষ্ট্যান্ড বানিয়ে দৈনিক চাঁদা দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে ফিটনেস বিহীন লক্কড়-ঝক্কড় লেগুনা পরিবহন। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা, পুলিশ প্রশাসন ও ট্রাফিক বিভাগকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে আবাদে চলাচল করছে যাত্রীবাহী এসব লেগুনা। অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক হেলপাড় ছাড়াও এসব লেগুনা চলাচল করছে মহাসড়কের রং সাইটে। এতে একদিকে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট অপর দিকে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারাচ্ছে পথচারীরা।
জনবহুল শিমরাইল মোড়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে চাঁন সুপার মার্কেটের সামন থেকে হাজী ইব্রাহীম খলিল শপিং টাউর পর্যন্ত সড়ক পরিণত হয়েছে লেগুনা ষ্ট্যান্ডে। মহাসড়ককে ষ্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রী উঠানামা করায় শিমরাইল মোড়ে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। শিমরাইল মোড় থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী, ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত চলাচলকারী শতাধিক লেগুনা পরিবহনের সিংহ ভাগই ফিটনেস বিহীন। নেই কনো কাগজপত্র। অনেক চালক ও হেলপার অপ্রাপ্ত বয়স্ক। এসব অপ্রাপ্ত বয়স্করা কি করে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেল তা জানতে চাইলে চালকদের হাস্যজ্জল উত্তর, টাকা হলে এ দেশে সবই সম্ভব। ট্রাফিক সার্জেন্টরা কিছু বলে না জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চালক জানায়, মালপানি পেলে সার্জেন্টরা কিছুই করেনা। মাল না দিলে সমস্যা আছে।
মহাসড়কে চলাচল কারী লেগুনা পরিবহনের চালক ও মালিকদের সরল স্বীকারোক্তি দৈনিক চাঁদা দিয়ে গাড়ী চালানো হচ্ছে। গাড়ীপ্রতি দৈনিক ৫০০ টাকা করে জিপি(প্রশাসনের জন্য) আর দেড়শ টাকা করে চাঁদা দিয়ে মূলত লেগুনা চলাচল করছে। জিপি ও চাঁদা আদায় করার জন্য লাইনম্যান রয়েছে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন লেগুনা মালিক জানায়, জিপি ও শিমরাইল মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ এবং স্থানীয় নেতাদের চাঁদা দিয়ে লেগুনা চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঢাকার দিকে যওয়ার সময় লেগুনা পরিবহন সড়কের সঠিক সাইট দিয়ে গেলেও ফিরে আসার সময় সাইনবোর্ড পর্যন্ত আসে সঠিক সাইটে। সাইনবোর্ড থেকে অধিকাংশ লেগুনা সড়কের রং সাইট দিয়ে শিমরাইল মোড় যায়। এতে যাত্রীদের জীবন চরম ঝুকির মধ্যে থাকে। কারণ রং সাইটে যাইতে গিয়ে প্রায় সময় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। ট্রাফিক পুলিশদের চোখের সামন দিয়েই এসব লেগুনা মহাসড়কের রং সাইট দিয়ে চলাচল করলেও রহস্যজনক কারণে ট্রাফিক সার্জেন্টরা নিরব। লেগুনা পরিবহনের বেপরোয়া চলাচলের কারণে শিমরাইল মোড়ে প্রতিনিয়তই তীব্র যানজট লেগে থাকে। ইটার্ণ দিয়ে এলোপাথারি চলাচল করে গাড়ীর জটলা লাগিয়ে রাখছে লেগুনা পরিবহন। অথচ ট্রাফিক পুলিশ এ নিয়ে কোন মাথাই ঘামাচ্ছেন না বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
এ বিষয়ে জানতে শিমরাইল মোড়ে দায়িত্বরত টিআই মোল্যা তাসলিম এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও নম্ভব হয়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারের একাধিক বার ফোন করলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।