নারায়ণগঞ্জ ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান বিভাজন সৃষ্টির ষড়যন্ত্র শ্রমিকদল নেতা আসলামের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার গিয়াস-মামুনের পূজার অপেক্ষায় মান্নান নারায়ণগঞ্জ চারটি আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর নাম ঘোষণা ১১২ টাকায় ১৪ জনকে চাকরি দিলেন নারায়ণগঞ্জের মানবিক ডিসি নারায়ণগঞ্জ সদর ইউএনও’র সঙ্গে কুতুবপুর নাসিক অন্তর্ভুক্ত করণ বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ মাদক কারবারিদের গ্রেফতারের দাবিতে ফতুল্লায় মানববন্ধন জুলাই শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া ও স্মরণসভা অটো চালক মমিনুলকে পিটিয়ে হত্যা র‌্যাবের অভিযানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূলহোতা মামুন গ্রেফতার ফতুল্লায় যৌথ অভিযানে ১৬ জন মাদক সেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

বন্দর উপজেলায় পূজার মণ্ডপ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জে মহাসপ্তমীতে রূপগঞ্জের পর বন্দর উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে মণ্ডপ পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে বন্দর উপজেলার শ্রী শ্রী ব্রহ্মময়ী মন্দির ও উপাসনালয়, শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির পঞ্চায়েত কমিটি, শ্রী শ্রী লক্ষাকালী মন্দির ও রাজাঘাট বেনী মাধব ব্রহ্মচারী সমাধি মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় তিনি মণ্ডপ কমিটির কাছে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, যখন কোন উৎসব হয় সেই উৎসবকে কিভাবে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করা যায় সেবিষয়ে গুরুত্ব দিয়েন কাজ করি। এবং সেটি বাস্তবায়নের জন্য সভা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তর ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাদের সহযোগিতা করে।

তিনি আরও বলেন, পরিদর্শনের আগে যেমন টা ভেবেছিলাম, এসে দেখি তার থেকেও সুন্দর পরিবেশে পূজা উদযাপন করছে। এবং দেখে মনে হয়েছে আমাদের দেশের মানুষ যে, ভাবে সকল ধর্মের মানুষ পূজাকে উৎসবমুখর পরিবেশ রাখতে এগিয়ে এসেছে এতে আমরা কোন ধরনের সংজ্ঞা দেখছি না।

তিনি আরও বলেন, আমি জেলা প্রশাসক হিসাবে মনে করি যে জেলার প্রতিটি অনুষ্ঠান বা জেলার প্রতিটি মানুষের কিছুটা দায়িত্ব আমার উপরে আছে। সেই লক্ষে এই জেলার প্রতিটি কাজ কর্ম সুষ্ঠভাবে হচ্ছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব আমার। এবং সরকারি চাকুরিজিবীরা সরকার এবং জনগণের স্বার্থ ও জনগণের অধিকারে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে, সেই লক্ষে আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি।

তিনি বলেন, আপনাদের মধ্যে যে উদ্দীপনা দেখতে পেয়েছি, সেই উদ্দীপনাই আমাদের বাংলাদেশ। এবং আমরা যে সম্প্রদায় সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করি এটি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চাই। পূজা মণ্ডপ তৈরির শুরু থেকেই আমাদের বিভিন্ন কর্যক্রম পরিচালনা করছি, এবং এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট কানিজ ফারজানা শান্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ) নাঈমা ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত শাখা) মো. তারিকুল ইসলাম, বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বন্দর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, শ্রী শ্রী লক্ষাকালী মন্দিরের সভাপতি শ্রী গোবিন্দ চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস। শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মনিরাম দাস, সাধারণ সম্পাদক প্রদিপ দাস। শ্রী শ্রী লক্ষাকালী মন্দিরের সহ সভাপতি শ্রী আক্তারাম চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রী দুলাল চন্দ্র দাস। রাজাঘাট বেনী মাধব ব্রহ্মচারী সমাধি মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী দিলীপ চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক শ্রী নিমাই চন্দ্র দাস।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান বিভাজন সৃষ্টির ষড়যন্ত্র

বন্দর উপজেলায় পূজার মণ্ডপ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

আপডেট সময় : ০৮:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে মহাসপ্তমীতে রূপগঞ্জের পর বন্দর উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে মণ্ডপ পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে বন্দর উপজেলার শ্রী শ্রী ব্রহ্মময়ী মন্দির ও উপাসনালয়, শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির পঞ্চায়েত কমিটি, শ্রী শ্রী লক্ষাকালী মন্দির ও রাজাঘাট বেনী মাধব ব্রহ্মচারী সমাধি মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় তিনি মণ্ডপ কমিটির কাছে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, যখন কোন উৎসব হয় সেই উৎসবকে কিভাবে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করা যায় সেবিষয়ে গুরুত্ব দিয়েন কাজ করি। এবং সেটি বাস্তবায়নের জন্য সভা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তর ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাদের সহযোগিতা করে।

তিনি আরও বলেন, পরিদর্শনের আগে যেমন টা ভেবেছিলাম, এসে দেখি তার থেকেও সুন্দর পরিবেশে পূজা উদযাপন করছে। এবং দেখে মনে হয়েছে আমাদের দেশের মানুষ যে, ভাবে সকল ধর্মের মানুষ পূজাকে উৎসবমুখর পরিবেশ রাখতে এগিয়ে এসেছে এতে আমরা কোন ধরনের সংজ্ঞা দেখছি না।

তিনি আরও বলেন, আমি জেলা প্রশাসক হিসাবে মনে করি যে জেলার প্রতিটি অনুষ্ঠান বা জেলার প্রতিটি মানুষের কিছুটা দায়িত্ব আমার উপরে আছে। সেই লক্ষে এই জেলার প্রতিটি কাজ কর্ম সুষ্ঠভাবে হচ্ছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব আমার। এবং সরকারি চাকুরিজিবীরা সরকার এবং জনগণের স্বার্থ ও জনগণের অধিকারে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে, সেই লক্ষে আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি।

তিনি বলেন, আপনাদের মধ্যে যে উদ্দীপনা দেখতে পেয়েছি, সেই উদ্দীপনাই আমাদের বাংলাদেশ। এবং আমরা যে সম্প্রদায় সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করি এটি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চাই। পূজা মণ্ডপ তৈরির শুরু থেকেই আমাদের বিভিন্ন কর্যক্রম পরিচালনা করছি, এবং এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট কানিজ ফারজানা শান্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ) নাঈমা ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত শাখা) মো. তারিকুল ইসলাম, বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বন্দর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, শ্রী শ্রী লক্ষাকালী মন্দিরের সভাপতি শ্রী গোবিন্দ চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস। শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মনিরাম দাস, সাধারণ সম্পাদক প্রদিপ দাস। শ্রী শ্রী লক্ষাকালী মন্দিরের সহ সভাপতি শ্রী আক্তারাম চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রী দুলাল চন্দ্র দাস। রাজাঘাট বেনী মাধব ব্রহ্মচারী সমাধি মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী দিলীপ চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক শ্রী নিমাই চন্দ্র দাস।