সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : দীর্ঘদিন পর ত্যাগীদের মূল্যায়নে উজ্জীবিত হয়ে উঠছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি। থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করায় নেতাকমীদের মধ্যে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। দলীয় কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরিণ কোন্দলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির অবস্থা হয়ে পড়েছিল হযবরল। দলীয় কর্মসূচিতে অনিহা দেখা দিয়েছিল নেতাকর্মীদের মধ্যে। প্রবীণ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবীদ সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করার পর শুরু হয় দল গোছানোর কাজ। বিচ্ছক্ষণ ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করে মো: মাজেদুল ইসলামকে আহবায়ক ও কাউন্সিলর মো: ইকবাল হোসেনকে সদস্য সচিব করে গঠন করা হয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি। থানা বিএনপির নেতৃত্ব পেয়ে দল গোছাতে ওয়ার্ড কমিটি গঠন কার্যক্রম শুরু করেন থানার আহ্বায়ক কমিটি। একে একে গঠন করা হচ্ছে বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি। রাজপথের লড়াকো সৈনিক পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের প্রাধান্য দিয়ে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এতে দল উজ্জীবিত হয়ে উঠছে। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসছে নেতাকর্মীদের মধ্যে।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানায়, যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি। দলীয় কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল নেতাকর্মীরা। এখন যোগ্য নেতৃত্ব ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করায় বিএনপি চাঙ্গা হচ্ছে। বহুদিন ধরে আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে যারা বিএনপিকে দেউলিয়া করে রেখেছিল তারা নাকোশ হলেও মূলধারার বিএনপিতে সন্তোষ বিরাজ করছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব নাসিক ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বলেন, বিএনপি দেশের একটি প্রথম সারির দল। তাই নেতাকর্মীর সংখ্যা অনেক। ইচ্ছা থাকলেও সবাইকে পদে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। দীর্ঘদিন ধরে যারা দলের জন্য ত্যাগ শিকার করে আসছেন তাদের প্রাধান্য দিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে গিয়ে হয়ত অনেকই পদ পাচ্ছেন না। তবে পদ না পেলেও দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর গুরুত্ব রয়েছে। কাউকে ছোট করে দেখা হচ্ছেনা। তাই পদ পাওয়া না পাওয়া মূল বিষয়না। সবাই দলের কর্মী হিসেবে কাজ করছে সবসময় করে যাবে এটাই দলীয় নীতি। পদ পেলে দলে থাকবে না পেলে থাকবেনা এমন লোক দ্বারা দলের কল্যাণ হয়না। তারা মূলত বিবেদ সৃষ্টিকারী। তাই এসব সুবিধাবাদীদের নিয়ে দল ভাবেনা।