অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে মকবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ শুরুর আগে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। পুলিশও তখন সতর্ক অবস্থানে ছিল। এক পর্যায়ে সেখানে জলকামান ও প্রিজন ভ্যান অবস্থান নেয়। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশের সোয়াত টিমও পৌঁছায় সেখানে।
পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেলে নিক্ষেপে ইতোমধ্যে খালি হয়ে পড়েছে বিএনপি অফিসের সামনের এলাকা। তবে নয়াপল্টনের সড়কের দুই প্রান্তেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহত কয়েকজন নেতাকর্মীকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন রনি (২৪), আনোয়ার ইকবাল (২৩), রাশেদ (২০), জুয়েল হাসান (৩০), খোকন (৪০), আরেফিন আহম্মদ (৩০), রাব্বি (২৮), বিল্লাল (২৫), নাজমুল (৩৫), জহির (২৬)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক ক্যাম্প পুলিশ ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া বলেন, আহতরা সকলে গুলিবিদ্ধ।
১০ ডিসেম্বর সমাবেশ সামনে রেখে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার এক পাশ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা চলছে কয়েকদিন ধরেই। মূলত, গণসমাবেশের স্থান নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি মিললেও সেখানে এই আয়োজন করতে এখন পর্যন্ত রাজি নয় বিএনপি। দলটির পক্ষ সমাবেশস্থল হিসেবে নয়াপল্টনকে চাওয়া হচ্ছিল। এরইমধ্যে নয়পল্টনের বিকল্প হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার আরামবাগের বিষয়ে প্রস্তাব জানায় দলটি।