নারায়ণগঞ্জ ০৮:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত রিয়াদে সিলেট সদর উপজেলা প্রবাসীদের উদ্যোগে সংবর্ধণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইনভেস্টার নজরুল ইসলামের রিয়াদ গালফ টুলেডো রেষ্টুরেন্টে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে ৬ দিনেও নিখোঁজ ব্যবসায়ীর সন্ধান মেলেনি রিয়াদে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে ব্যাচ ৯৫-৯৭ এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত এতিমদের সন্মানে প্রবাসী সাংবাদিক ফারুক চানের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ফতুল্লায় অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্বে আসতে দৌড়ঝাঁপ শুরু!

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:১২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘনিয়ে আসছে জাতীয় সাংসদ নির্বাচনের। নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিসহ দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে থাকা মেয়াদোত্তীর্ন কমিটিগুলো বিলুপ্তি ঘোষনা করা হয়েছে। দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে দল গোছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে।

ইতিমধ্যে উপজেলা গুলোতে ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। দলীয় হাই কমান্ডের এমন সিদ্ধান্তে নড়ে চড়ে বসেছে ফতুল্লায় আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ। সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ স্থাপনা করে আসছেন পদ পদবী প্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ।

ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন দীর্ঘদীন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন। দলের জন্য আন্দোলন সংগ্রামে সর্বদাই প্রথম সাড়িতে নেতৃত্বে দিয়ে আসছেন তিনি। বিরোধীদল থাকাকালীন সময়ে ছাত্রলীগ নেতা মোশারফ হোসেন বিএনপি জামায়াত জোটের হাজারো নির্যাতনের স্বীকার হয়েও দলের আদর্শ থেকে সামাণ্য বিচ্যুতি হননি তিনি।

মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়ে কারাভোগ করেছেন একাধিকবার। তবুও দলীয় স্বার্থে এবং বিএনপি জামাত জোটের বিরুদ্ধে ফতুল্লার রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দলের অস্তিত্ব জাগান দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছানোর মাধ্যমে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্র। সে হিসেবে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি পদে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বর্তমান ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন। দল যদি যোগ্য মনে করেন তাহলে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের শীর্ষ পদে দল তাকে মনোনীত করবেন এমনটাই তিনি প্রত্যাশা করেন। তারপরেও, দলীয় হাই কমান্ড যে সিদ্ধান্ত নিবেন সকল সিদ্ধান্তই মেনে নেয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্থ করেছেন।

এদিকে, ফতুল্লা থানা যুবলীগের শীর্ষ পদে আসতে আগ্রহ দেখা গেছে বর্তমান যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ফাইজুল ইসলামকে। অপরদিকে, সাধারন সম্পাদক পদে আসতে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলীর ছোট ভাই মীর ফয়সাল আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কাজল চেীধুরী এবং কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মীর হোসেন মীরুর নাম শোনা গেলেও পদ-পদবী প্রত্যাশীরা কেউই দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে যাবেন না বলেও জানিয়েছেন তারা। দলকে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত নিবেন তাই তারা মেনে নিবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা মীর ফয়সাল আলী ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের জানান, আমাদের পরিবার দীর্ঘদীন ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার বড় ভাই জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী দীর্ঘদীন ফতুল্লায় যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তার নেতৃত্বে যুবলীগের রাজনীতি সাংগঠনিকভাবে কতটা শক্তিশালী তা সাংবাদিকরা ভাল করেই জানেন। আমি আমার বড় ভাইয়ের দেখানো দিক নির্দেশনা অনুসরন করেই যুবলীগের নেতৃত্বে আসতে চাই। সাংসদ শামীম ওসমানের আর্দশকে বুকে লালন এবং আওয়ামীলীগ নেতা মীর সোহেল আলীর রেখে যাওয়া যুবলীগের রাজনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ফতুল্লার মাটি আওয়ামীলীগের ঘাঁটিতে রূপান্তরে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাব। তবে, পদ-পদবী পাওয়ার মাধ্যমে তা করতে হবে এমনটা নয়।

দলের হাই কমান্ড যেমন সিদ্ধান্ত নিবেন তা অনুসরন করার মাধ্যমেই আওয়ামীলীগের ঘাটিঁ হিসেবে ফতুল্লার যে সুনাম রয়েছে তা ধরে রাখতে আমি কাজ করব। কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মীর হোসেন মীরু ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের বলেন, দলকে ভালবাসি বলেই আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। স্বার্থের জন্য আমার রাজনীতি না। দলের দুঃসময়ে আমাদের অবস্থান ছিল রাজপথে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একাধিকবার হামলা-মামলার স্বীকার হয়েছি। তবুও দলীয় স্বার্থের বাইরে অবস্থান নেইনি। বর্তমানে দল ক্ষমতায় থাকলেও ভাল নেই আমরা মাঠের নেতারা। সুবিধাভোগীরা দলে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে স্বার্থ হাছিল করা যাচ্ছে অথচ আমরা কোনঠাসাই রয়ে গেলাম। যাই হউক, শুনেছি ফতুল্লা থানা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আমি মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি থেকে উঠে এসেছি। তাই আমাদের মত পরীক্ষীত নেতৃবৃন্দের হাতে যদি দল যুবলীগের দায়িত্ব বুজিয়ে দেন তাহলে ফতুল্লার মাটিতে যুবলীগের দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে ভবিষৎ যুবলীগের জন্য আর্দশ রাজনীতি হিসেবে দলকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলা হবে বলে আশ্বস্থ করেন। তবুও দল যে সিদ্ধান্ত নিবেন সে সিদ্ধান্তই মেনে নিবেন বলে তিনি জানান। ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কাজল চেীধুরী ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের বলেন, কলেজ জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করা।

এর মধ্যে কত সময় দলের পিছনে পার হয়ে গেছে এ হিসেব কখনো মিলাতো পারবো কিনা জানি না! যুবক থেকে আজকে পর্যাপ্ত বয়সে রূপান্তরিত হয়েছি। আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন করতে গিয়ে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে কি পরিমান নির্যাতিত হয়েছি এবং হামলা-মামলার স্বীকার হয়েছি এ বিষয়ে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন। দলীয় স্বার্থে জীবনের ঝুঁকিনিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরচ্দ্ধে সংগ্রাম চালিয়েছি। আর দল যখন ক্ষমতায় এ সময় নেতার কোন অভাব নেই। দলের দুঃসময়ে যাদের কল্পনাও করতে পারিনি তারাই আজকে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে। তাই যুবলীগের মত গুরচ্ত্বপূর্ণ পদে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ত্যাগীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে গঠন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি।

সর্বোপরি, দক্ষ সংগঠকের দল আওয়ামীলীগ। দল যে সিদ্ধান্ত নিবেন সে মোতাবেকই আমরা রাজনীতিতে অগ্রসর হব। এবং দ্বাদশ নির্বাচনে আমাদের সাংসদ শামীম ওসমানকে পূনরায় নির্বাচিত করার মাধ্যমে মুজিব কন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা দেশরন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মাচিত্র বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা করি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ফতুল্লায় অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্বে আসতে দৌড়ঝাঁপ শুরু!

আপডেট সময় : ০৫:১২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘনিয়ে আসছে জাতীয় সাংসদ নির্বাচনের। নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিসহ দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে থাকা মেয়াদোত্তীর্ন কমিটিগুলো বিলুপ্তি ঘোষনা করা হয়েছে। দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে দল গোছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে।

ইতিমধ্যে উপজেলা গুলোতে ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। দলীয় হাই কমান্ডের এমন সিদ্ধান্তে নড়ে চড়ে বসেছে ফতুল্লায় আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ। সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ স্থাপনা করে আসছেন পদ পদবী প্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ।

ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন দীর্ঘদীন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন। দলের জন্য আন্দোলন সংগ্রামে সর্বদাই প্রথম সাড়িতে নেতৃত্বে দিয়ে আসছেন তিনি। বিরোধীদল থাকাকালীন সময়ে ছাত্রলীগ নেতা মোশারফ হোসেন বিএনপি জামায়াত জোটের হাজারো নির্যাতনের স্বীকার হয়েও দলের আদর্শ থেকে সামাণ্য বিচ্যুতি হননি তিনি।

মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়ে কারাভোগ করেছেন একাধিকবার। তবুও দলীয় স্বার্থে এবং বিএনপি জামাত জোটের বিরুদ্ধে ফতুল্লার রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দলের অস্তিত্ব জাগান দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছানোর মাধ্যমে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্র। সে হিসেবে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি পদে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বর্তমান ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন। দল যদি যোগ্য মনে করেন তাহলে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের শীর্ষ পদে দল তাকে মনোনীত করবেন এমনটাই তিনি প্রত্যাশা করেন। তারপরেও, দলীয় হাই কমান্ড যে সিদ্ধান্ত নিবেন সকল সিদ্ধান্তই মেনে নেয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্থ করেছেন।

এদিকে, ফতুল্লা থানা যুবলীগের শীর্ষ পদে আসতে আগ্রহ দেখা গেছে বর্তমান যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ফাইজুল ইসলামকে। অপরদিকে, সাধারন সম্পাদক পদে আসতে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলীর ছোট ভাই মীর ফয়সাল আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কাজল চেীধুরী এবং কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মীর হোসেন মীরুর নাম শোনা গেলেও পদ-পদবী প্রত্যাশীরা কেউই দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে যাবেন না বলেও জানিয়েছেন তারা। দলকে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত নিবেন তাই তারা মেনে নিবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা মীর ফয়সাল আলী ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের জানান, আমাদের পরিবার দীর্ঘদীন ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার বড় ভাই জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী দীর্ঘদীন ফতুল্লায় যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তার নেতৃত্বে যুবলীগের রাজনীতি সাংগঠনিকভাবে কতটা শক্তিশালী তা সাংবাদিকরা ভাল করেই জানেন। আমি আমার বড় ভাইয়ের দেখানো দিক নির্দেশনা অনুসরন করেই যুবলীগের নেতৃত্বে আসতে চাই। সাংসদ শামীম ওসমানের আর্দশকে বুকে লালন এবং আওয়ামীলীগ নেতা মীর সোহেল আলীর রেখে যাওয়া যুবলীগের রাজনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ফতুল্লার মাটি আওয়ামীলীগের ঘাঁটিতে রূপান্তরে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাব। তবে, পদ-পদবী পাওয়ার মাধ্যমে তা করতে হবে এমনটা নয়।

দলের হাই কমান্ড যেমন সিদ্ধান্ত নিবেন তা অনুসরন করার মাধ্যমেই আওয়ামীলীগের ঘাটিঁ হিসেবে ফতুল্লার যে সুনাম রয়েছে তা ধরে রাখতে আমি কাজ করব। কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মীর হোসেন মীরু ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের বলেন, দলকে ভালবাসি বলেই আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। স্বার্থের জন্য আমার রাজনীতি না। দলের দুঃসময়ে আমাদের অবস্থান ছিল রাজপথে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একাধিকবার হামলা-মামলার স্বীকার হয়েছি। তবুও দলীয় স্বার্থের বাইরে অবস্থান নেইনি। বর্তমানে দল ক্ষমতায় থাকলেও ভাল নেই আমরা মাঠের নেতারা। সুবিধাভোগীরা দলে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে স্বার্থ হাছিল করা যাচ্ছে অথচ আমরা কোনঠাসাই রয়ে গেলাম। যাই হউক, শুনেছি ফতুল্লা থানা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আমি মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি থেকে উঠে এসেছি। তাই আমাদের মত পরীক্ষীত নেতৃবৃন্দের হাতে যদি দল যুবলীগের দায়িত্ব বুজিয়ে দেন তাহলে ফতুল্লার মাটিতে যুবলীগের দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে ভবিষৎ যুবলীগের জন্য আর্দশ রাজনীতি হিসেবে দলকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলা হবে বলে আশ্বস্থ করেন। তবুও দল যে সিদ্ধান্ত নিবেন সে সিদ্ধান্তই মেনে নিবেন বলে তিনি জানান। ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কাজল চেীধুরী ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের বলেন, কলেজ জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করা।

এর মধ্যে কত সময় দলের পিছনে পার হয়ে গেছে এ হিসেব কখনো মিলাতো পারবো কিনা জানি না! যুবক থেকে আজকে পর্যাপ্ত বয়সে রূপান্তরিত হয়েছি। আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন করতে গিয়ে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে কি পরিমান নির্যাতিত হয়েছি এবং হামলা-মামলার স্বীকার হয়েছি এ বিষয়ে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন। দলীয় স্বার্থে জীবনের ঝুঁকিনিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরচ্দ্ধে সংগ্রাম চালিয়েছি। আর দল যখন ক্ষমতায় এ সময় নেতার কোন অভাব নেই। দলের দুঃসময়ে যাদের কল্পনাও করতে পারিনি তারাই আজকে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে। তাই যুবলীগের মত গুরচ্ত্বপূর্ণ পদে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ত্যাগীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে গঠন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি।

সর্বোপরি, দক্ষ সংগঠকের দল আওয়ামীলীগ। দল যে সিদ্ধান্ত নিবেন সে মোতাবেকই আমরা রাজনীতিতে অগ্রসর হব। এবং দ্বাদশ নির্বাচনে আমাদের সাংসদ শামীম ওসমানকে পূনরায় নির্বাচিত করার মাধ্যমে মুজিব কন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা দেশরন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মাচিত্র বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা করি।